Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

বেহাল সড়কে চলতে গিয়ে দুর্ভোগে যানবাহন চালক ও পথচারীরা

| প্রকাশের সময় : ২১ জুলাই, ২০১৭, ১২:০০ এএম


নজির হোসেন নজু, সৈয়দপুর (নীলফামারী) থেকে : সৈয়দপুর-পাবর্তীপুর সড়কের পাউবো মোড় থেকে খোদা হাফেজ গেট পর্যন্ত সড়কটির বেহাল দশা। অসংখ্য খানাখন্দে ভরা সড়কটি দেখলে মনে হবে পাকা সড়কতো নয়, যেন মরণ ফাঁদ। প্রতি পদে পদেই বিপদ। চলাচলের একেবারে অনুপযোগী ওই সড়কে চলতে গিয়ে যানবাহনগুলো বিকল হয়ে পড়ছে প্রতিনিয়িত। বর্তমানে সড়কটির এমন করুণ দশা যে পথচারীরাও যাতায়াতে অবর্ণনীয় দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। সৈয়দপুর-পার্বতীপুর আঞ্চলিক মহাসড়কের কাজ শেষ হয়েছে অনেক আগে। কিন্তু সৈয়দপুর শহরের পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) মোড় থেকে খোদা হাফেজ গেট পর্যন্ত প্রায় ৩ কিলোমিটার সড়ক নির্মাণ কাজ হয়নি। সে সময় বাইপাস সড়ক নির্মাণের জন্য ওই সড়কটির কাজ বন্ধ রাখা হয়। কিন্তু কয়েক বছরেরও আর ওই বাইপাস সড়ক নির্মাণের কোন উদ্যোগ লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। ফলে সৈয়দপুর-পার্বতীপুর সড়কের পাউবো মোড় থেকে খোদা হাফেজ গেট পর্যন্ত প্রায় ৩ কিলোমিটার সড়ক যানবাহন চলাচলের সম্পূর্ণ অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। দীর্ঘদিন যাবৎ কোন রকম মেরামত ও সংস্কার না করায় ওই সড়কে ছোট বড় অসংখ্যক গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। আর এ সব গর্তে সামান্য বৃষ্টিতেই জমছে বৃষ্টি পানি। অনেকটা নিরুপায় হয়ে জমে থাকা পানি মাড়িয়ে চলাচল করতে হচ্ছে পথচারীসহ যানবাহনগুলোকে। ফলে খানাখন্দে ভরা ও জলাবদ্ধ সড়ক দিয়ে যাতায়াত করতে গিয়ে যানবাহনের চালক ও পথচারীরা চরম দুর্ভোগে পড়ছেন।
মূলতঃ সৈয়দপুর-পার্বতীপুর আঞ্চলিক মহাসড়কের সৈয়দপুর অংশে ৩ কিলোমিটার দিয়ে দিনাজপুরের পার্বতীপুর, রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলার মানুষ ও সকল প্রকার যানবাহন চলাচল করে। আর এ সড়কের পার্শ্বে সৈয়দপুর সেনানিবাসের অবস্থিত বাংলাদেশ আর্মি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। রয়েছে আর্মি বিশ্ববিদ্যালয়ের আব্বাস উদ্দিন ছাত্রাবাস ও বীর মুক্তিযোদ্ধা তারামন বিবি ছাত্রীনিবাস। ফলে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষার্থী, শিক্ষক-শিক্ষিকারা সড়কটি যাতায়াতে ব্যবহার করে থাকেন। মাঝে মধ্যে সড়কের গর্তের মধ্যে পড়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা মূল্যবান কাপড়-চোপড় ও বইপত্র নষ্ট হচ্ছে। সড়কটির বেহাল দশায় ব্যাটারিচালিত অটোরিক্সা, রিক্সা ও রিক্স্যাভ্যান ওই সড়কে ভাড়ায় যেতে চায় না। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী,শিক্ষক-শিক্ষিকা ও কর্মকর্তা- কর্মচারীদের চরম বিপাকে পড়তে হচ্ছে। অনেক সময় নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে অনেক বেশি ভাড়া গুনতে হচ্ছে তাদের। ওই সড়ক দিয়ে নিয়মিত সৈয়দপুর শহরে যাতায়াত করেন বেসরকারি সংস্থায় কর্মরত এক কর্মকর্তা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই কর্মকর্তা আক্ষেপ করে বলেন বলেন, বাংলাদেশের কোথাও এমন রাস্তা আছে কিনা জানি না। এই রাস্তার কোন বাপ-মা নেই।



 

Show all comments
  • kamal ২১ জুলাই, ২০১৭, ১২:৫৪ পিএম says : 0
    কি আর করার অপেক্ষা করুন মন্ত্রী সাহেব এখন বিএনপির সমলোচনায় ব্যাস্ত
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ