Inqilab Logo

শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

চিঠিপত্র

| প্রকাশের সময় : ২২ জুলাই, ২০১৭, ১২:০০ এএম

বংশী নদী
ঢাকার আশপাশের চারটি নদীর অন্যতম একটি হলো বংশী নদী। সাভারের সেই বংশী নদী মারাত্মকভাবে দখল আর দূষণের শিকার হচ্ছে। নদীর তীর দখল করে শিল্পকারখানা ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা হচ্ছে। শিল্প কলকারখানার দূষিত বর্জ্য সরাসরি নদীতে এসে পড়ছে। ফলে নদী তার অস্তিত্ব হারাতে বসেছে।
নদীর তীরে বাঁধ দিয়ে বালু কিংবা মাটি ফেলে প্রভাবশালী কয়েকটি চক্র দখল উৎসবে মেতেছে। বালু ব্যবসায়ীরা নদী দখল করে ব্যবসা করছেন। একশ্রেণির নদীখেকো চক্র নদীর তীর দখল করে আধা পাকা স্থাপনা ও পোশাক কারখানা করেছে। ফলে নদীর স্বাভাবিক গতিপ্রবাহ নষ্ট হচ্ছে, দূষিত হচ্ছে সামগ্রিক পরিবেশ।
দখল ও দূষণের হাত থেকে বংশী নদী বাঁচাতে সঠিকভাবে তদারক করতে হবে। নদীর যেসব অংশ দখল হয়েছে, সেসব অংশ পুনরুদ্ধার করে দখলদারদের আইনের আওতায় আনতে হবে।
ঢাকার আশপাশের সব নদীই দখল-দূষণে ধুঁকে ধুঁকে মরছে। এখন প্রশাসন কঠোর না হলে এই নদী বাঁচানোও কঠিন হয়ে পড়বে।
সাধন সরকার, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা।

উপবৃত্তি বিড়ম্বনা
প্রাথমিক পর্যায়ে সরকার শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি মায়েদেরও উপবৃত্তি দিচ্ছে। সন্তানদের পাশাপাশি মায়েদের উপবৃত্তি প্রদান করলে প্রাথমিক শিক্ষাপ্রাপ্তি প্রায় শতভাগ নিশ্চিত হবে। মায়েদের এই উপবৃত্তির টাকা প্রদান করা হচ্ছে মোবাইল ব্যাংকিং সেবার মাধ্যমে। কিন্তু গ্রামাঞ্চলের মায়েরা উপবৃত্তির এই স্বল্প টাকা তুলতে গিয়ে চরম দুর্ভোগ ও বিপাকে পড়ছেন। যে কোম্পানির মাধ্যমে এই সেবা দেওয়া হচ্ছে, গ্রামগঞ্জে সেটার তেমন প্রসার নেই। ফলে তাঁদের এই টাকা তুলতে উপজেলা শহরে যেতে হয়। ভুক্তভোগী মায়েদের অভিযোগ, এ যেন খাজনার চেয়ে বাজনাই বেশি হয়ে যায়। এছাড়া উপজেলা শহরের ওই মোবাইল ব্যাংকের এজেন্টরা ৩০০ টাকা ক্যাশ-আউট দিতে একরকম অনিচ্ছা ও বিরক্তি বোধ করেন, নেটওয়ার্ক ত্রুটির বাজে অজুহাত দেখান। এর জন্য ২০-৩০ টাকা অতিরিক্ত চার্জ দিতে হয়। উপজেলা শহরে যাতায়াত ও এজেন্টদের অতিরিক্ত টাকা দিয়ে মায়েদের হাতে আর কিছুই থাকে না বললেই চলে। তাই যে কোম্পানির সেবা অধিক বিস্তৃত ও উন্নত, সেই কোম্পানির মাধ্যমে উপবৃত্তি দেওয়া হলে এই বিড়ম্বনা থেকে তাঁরা মুক্তি পাবেন।
মোহাম্মদ অংকন, ঢাকা।


স্বাস্থ্য প্রযুক্তি শিক্ষা
এখন থেকে বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের স্বাস্থ্য প্রযুক্তি ও সেবা শিক্ষাক্রমের আওতায় চার বছর মেয়াদি ডিপ্লোমা ইন মেডিকেল টেকনোলজি কোর্সে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা সরকারি চাকরির আবেদন করতে পারবেন। এতে দীর্ঘদিনের ভ্রান্ত ধারণা এবং কুতর্কের অবসান হলো।
জানা গেছে, কারিগরি শিক্ষা বোর্ড উক্ত কোর্সে ভর্তির আগের নীতিমালা পরিবর্তন করবে। শুধু জীববিজ্ঞানসহ এসএসসি পাসকৃত শিক্ষার্থীরা ভর্তি হতে পারবে এই মর্মে স্ববিরোধী নীতিমালা তৈরি করা হচ্ছে। বর্তমান নীতিমালা অনুযায়ী যেকোনো বোর্ড থেকে এসএসসি বিজ্ঞান, মানবিক ও বাণিজ্য শাখায় জিপিএ ২ দশমিক ৫ পয়েন্টধারীরা ভর্তি হওয়ার সুযোগ পায়।
কিন্তু নতুন প্রস্তাবিত নীতিমালা অনুযায়ী শুধু জীববিজ্ঞানসহ এসএসসি উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা ভর্তি হওয়ার সুযোগ পেলে কারিগরি শিক্ষা বোর্ডে এসএসসি ভোকেশনাল শিক্ষার্থীরাই ভর্তি হতে পারবে না। দেশে মাত্র ৮-১০ শতাংশ শিক্ষার্থী বিজ্ঞান নিয়ে লেখাপড়া করে, আবার তাদের মাঝে সবাই আবার জীববিজ্ঞান নিয়ে লেখাপড়া করে না। ফলে শিক্ষার্থীদের বড় একটা অংশ মেডিকেল টেকনোলজির শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হবে।
মো. গোলাম মোস্তফা, নেত্রকোনা।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন