Inqilab Logo

মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

পাহাড় ধস বন্ধে ব্যবস্থাপনা কমিটি গঠনের আহ্বান

| প্রকাশের সময় : ২২ জুলাই, ২০১৭, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : পাহাড়ে ভূমিধস ঠেকাতে পাহাড়ের সংখ্যা নির্ধারণ করে পাহাড়ী অঞ্চলকে সার্বিক পরিকল্পনার আওতায় আনতে একটি পাহাড় ব্যবস্থাপনা কমিটি গঠনের আহŸান জানানো হয়েছে এক সেমিনারে।
গতকাল এশীয় প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের সমন্বিত পল্লী উন্নয়ন কেন্দ্রের (সিরডাপ) মিলনায়তনে ‘বাংলাদেশে ভূমিধস, কারণ, পরিণতি ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা’ শীর্ষক এই সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন বলেন, দেশের টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করতে পরিবেশ সুরক্ষার কোন বিকল্প নেই। এ জন্য আমাদেরকে পরিবেশের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ সার্বিক পরিকল্পনা নিতে হবে।
বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা), বাংলাদেশ-চীন চেম্বার অব কমার্স এ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (বিসিসিআই), বাংলাদেশ-চীন সাংস্কৃতিক ও অর্থনৈতিক কেন্দ্র (সিসিসিইসি) এবং চীন দূতাবাস যৌথভাবে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত¡ ও পরিবেশ ডিপার্টমেন্টের প্রফেসর ড. এম শহীদুল ইসলাম অনুষ্ঠানে মূল নিবন্ধ উপস্থাপন করেন। এতে বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আলী আহমদ খান ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. বদরুল আলম বক্তৃতা করেন।
মন্ত্রী বলেন, এক্ষেত্রে বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জন করেছে। কিন্তু এই সাফল্যকে একই সঙ্গে উন্নয়ন ও পরিবেশের সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত সার্বিক পরিকল্পনার ভিত্তিতে এগিয়ে নিতে হবে। ড. শহীদুল ইসলাম পাহাড় ধস বন্ধে ব্যবস্থা নিতে আইনি ক্ষমতাসহ একটি পাহাড় ব্যবস্থাপনা কমিটি গঠনের প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করেন।



 

Show all comments
  • S. Anwar ২২ জুলাই, ২০১৭, ৮:৫৪ পিএম says : 0
    পার্বত্য চট্টগ্রামে সাম্প্রতিক কালের পাহাড় ধসের পর উপজাতীয় পাঁতি নেতারাতো বটে, সেই সঙ্গে সরকারের কোন কোন মন্ত্রী ও বাঙ্গালী আওয়ামী নেতাদের বক্তব্যেও পার্বত্যবাসী বাঙ্গালীদের দোষ দেওয়া হয় এই পাহাড় ধসের জন্য। সরকারের উচ্চপদস্থ অতিকথক কেউতো সরাসরি জিয়াউর রহমানকেই দায়ী করেছেন এই ধসের জন্য।কারন, জিয়া পার্বত্য চট্টগ্রামে বাঙ্গালী বসতি স্থাপন করেছেন বলে বাঙ্গালীরা পাহাড় কেটেছে, এজন্য পাহাড় ধসেছে। অতএব এই ধসের মূল হোঁতা একমাত্র জিয়া। অথচ তারা জানে না, যে পাবর্ত্য চট্টগ্রামে দাঁড়িয়ে এখন তারা চাপাবাজি করছে ওখানে পা রাখার মাটিও পেতো না যদি জিয়া বাঙ্গালী বসতি স্থাপন না করতেন। এই পাহাড়ধস সম্পুর্ন প্রাকৃতিক ঘটনা। রাঙ্গামাটি গেলে দেখা যাবে ছোট-বড় একটি পাহাড়ও বাকি নেই যেটি ধসেনি। তার মধ্যে অন্তত ৯০% পাহাড়ে কোন বসতি নেই। বিশাল পাথুরে পাহাড়ের বিশাল অংশেও ধস নেমেছে যেখানে পাহাড় কর্তন দূরের কথা কোনদিন মানুষের পাও পড়েনি। সেমিনার-বক্তৃতা ওখানেই সীমাবদ্ধ থেকে যাবে। কমিটি গঠন করা হবে, সরকারী অর্থ অপচয় হবে কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হবে না। কমিটি গঠনের আগে আল্লাহর সাথে একটু যোগাযোগ করে নিলে ভালো হতো।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ