Inqilab Logo

শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আবার ভারী বর্ষণ : পানিবদ্ধতা ও ভাঙন অব্যাহত

| প্রকাশের সময় : ২৪ জুলাই, ২০১৭, ১২:০০ এএম

মঠবাড়িয়ার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত, মুহুরী ও হালদার ভাঙন বাড়ছে, আনোয়ারার বিস্তীর্ণ এলাকা পানির নিচে
ইনকিলাব ডেস্ক : বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপে গত কয়েকদিনের অবিরাম ভারি বর্ষণে মঠবাড়িয়া উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। চট্টগ্রামের হালদার ভাঙনে তলিয়ে যাচ্ছে কবরস্থান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ধানিজমি, বসতবাড়ি, মসজিদ ও মন্দির। ২১২ কোটি টাকা ব্যয়ে হালদার ভাঙনের তীর সংরক্ষণ প্রকল্পের কাজ এখনো শুরু হয়নি। প্রবল বর্ষণে আনোয়ারার ২০ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। ফেনীর ফুলগাজীর জনগন ত্রান চায়না বাঁধ চায়, পরশুরামে বন্যা আড়াই কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। দীর্ঘদিন পানি জমে থাকার কারণে সৃষ্টি হচ্ছে নানা ধরণের পানিবাহিত রোগ। বন্যা-ভাঙন কবলিত ও পানিবন্দি মানুষ খাদ্য ও আশ্রয় সংকটে মানবেতর জীবন কাটাচ্ছেন। দেশে চলমান বানভাসি মানুষের দু:খ কষ্টের কথা তুলে ধরে আমাদের সংবাদদাতাদের পাঠানো তথ্যের আলোকে ডেস্ক রিপোর্ট-
মঠবাড়িয়া (পিরোজপুর) থেকে আবদুল হালিম দুলাল জানানা, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের কারণে গত কয়েকদিন ধরে অবিরাম ভারি বর্ষণে মঠবাড়িয়া উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। ভারিবর্ষণে বলেশ্বর নদী তীরবর্তী তুষখালী, বড়মাছুয়া, বেতমোর রজপাড়া ও সাপলেজা ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলসহ পৌরসভার বেশ কিছু নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে পানিবদ্ধতার সৃষ্টি করেছে। আবাদি নিচু জমি, রাস্তাঘাট, বাড়িঘর, মাছের ঘের, রান্নাঘরসহ অনান্য ফসলাদি জমি পানিতে তলিয়ে গেছে। ফলে নিম্ন আয়ের মানুষরা অবর্ণনীয় দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ড (থানাপাড়া) এর নিম্নাঞ্চল জলাবদ্ধ হয়ে পড়ে চরম ভোগান্তির সৃষ্টি হয়েছে। পানি জমে থাকার কারণে সৃষ্টি হচ্ছে নানা ধরণের পানিবাহিত রোগ।
মঠবাড়িয়া পৌর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক স্থানীয় সমাজ সেবক ও ৯নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা আলহাজ্ব নুরুজ্জামান তালুকদার জানান, ভারি বর্ষণে রাস্তাঘাট বাড়িঘর তলিয়ে গেছে। রান্নাঘর তলিয়ে যাওয়ায় লোকজনকে হোটেল থেকে খাবার কিনে খেতে হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে দ্রæত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তিনি দাবি জানিয়েছেন।
হাটহাজারী (চট্টগ্রাম) থেকে আসলাম পারভেজ জানান, চট্টগ্রাম জেলার হাটহাজারী রাউজান ও ফটিকছড়ি উপজেলার উপর দিয়ে প্রবাহিত হালদা নদী। মৎস্য খাতে এই নদীর যেমন নাম রয়েছে ঠিক তেমনিভাবে স্থানীয়দের কাছে দুর্নামও রয়েছে। তবে দুর্নামটি হলো হালদা নদীর ভাঙন। হাটহাজারী উপজেলার সীমানায় রয়েছে বেশ কয়েকটি ইউনিয়ন। প্রতিবছর বর্ষা ও বৃষ্টি হলে নদী ভাঙন শুরু হয়। বর্ষার মৌসুমে নদী ভাঙনটি এখনো পর্যন্ত রুখতে পারছে না কেউ। এই ভাঙন বর্তমান সরকারের প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা একনেকের এক বৈঠকে হালদা নদীর হাটহাজারী ও রাউজান দুই উপজেলার সীমানায় নদী পাড়ের উভয় তীর রক্ষাকল্পে তীর সংরক্ষণ কাজের জন্য অর্থ বরাদ্দ দিলেও কয়েক মাস অতিবাহিত হওয়ার পরও প্রকল্পের কাজ এখনো শুরু হয়নি। এই প্রকল্পটির জিওবি (সরকারি) অর্থায়নে বাস্তবায়িত হওয়ার কথা রয়েছে। হাটহাজারী উপজেলার গড়দুয়ারা, উত্তর মাদার্শা, দক্ষিণ মাদার্শা কান্তর আলী হাট, নাঙ্গলমোড়া, ছিপাতী, গুমানমর্দ্দনসহ প্রভৃতি ইউনিয়নের মানুষের মাঝে বৃষ্টি হলে আতঙ্ক দেখা দেয় হালদার ভাঙন নিয়ে। হালদার করাল গ্রাসে বহু পরিবার হারিয়েছে বাপ-দাদার আমলের ভিটা বাড়ির স্মৃতি। এমনকি বহু পরিাবারে হারিয়েছে কয়েকশত একরের ধানি জমি। পাশাপাশি হালদা নদীর ভাঙনের কারণে বহু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ইতিমধ্যে হারিয়ে গেছে। আরো বহু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে বাড়ি ঘর হারানোর আশঙ্কা রয়েছে। প্রতিবছর বর্ষা ও বৃষ্টি আসলেই হালদার তীরবর্তী বসবারত মানুষের আর্তনাতের ডাক এখনো বন্ধ করতে পারিনি কেউ। কিছু কিছু এলাকায় হালদায় ভাঙন রোধ করতে কিছু পাথর বসানো হলেও কিন্তু তাও সম্পূর্ণ করা হয়নি। হালদা নদী ভাঙতে ভাঙতে হাটহাজারীর সীমানা হতে ভ‚-সম্পত্তি কমে যাচ্ছে। হালদার ভাঙনে শুধু ধানি জমি মানুষের ঘর বাড়ি নয়, মসজিদ-মাদ্রাসা এমনকি মন্দির-গির্জা প্যাগোড়া থেকে শুরু করে গরু-ছাগল, হাঁস-মুরগী লালন-পালন নিয়ে যন্ত্রনায় ভোগছে হালদার তীরবর্তী বসবাসরত অসহায় মানুষ। বিশেষ করে লাগাতার কয়েকদিন বৃষ্টি হলে পাহাড়ী ঢলের তীব্রতার মাত্রা অতিরিক্ত বৃদ্ধি পেলে পানির স্রোতে নদী ভাঙন শুরু হয়। হালদার তীরবর্তী এলাকার মানুষ অভিযোগ করেন নদীর যেখান সেখান থেকে অবৈধ ভাবে ঘন ঘন বালি উত্তোলনের ফলে হালদার মানুষের বসত ভিটা ও ধানি জমি ঘিলে খাচ্ছে। এই রাক্ষুসে হালদা নদীর ভাঙনে কবলে পড়ে উপজেলার বেশ কয়েকটি বাজার ও তছনছ হয়ে পড়েছে। এইসব এলাকায় বাজারের কোন স্মৃতিও খুজে পাওয়া যাচ্ছে না। যার ফলে ঐসব এলাকার মানুষ বাজার করতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। সরোজমিনে ঘুরে এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা যায় ১০/১২ বছর পূর্বে এই এলাকায় যা ছিল তার তুলনায় বর্তমানে কিছুই নেই। হালদা নদীর তীরবর্তী মানুষের জীবনে বর্তমানে যাযাবর ও চিহৃমূল বস্তিবাসীর মত। হাটহাজারী উপজেলার মদুনা ঘাট শুরু করে হাটহাজারী ফটিকছড়ি ও রাউজান সীমানা পর্যন্ত বিশাল বিস্তৃর্ন এলাকা ভাঙন দেখা দিয়েছে। পূর্ব গুমানমর্দ্দন এলাকার নদী ভাঙনে বাইগ্যার বাড়ি আমিনুল্লা কেরানীর বাড়ি মাওলানা নূর উদ্দীনের বাড়ি, বজল চৌধুরী বাড়ি, মিনা গাজী চৌধুরী বাড়িসহ বিভিন্ন এলাকায় কোন অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।
আনোয়ারা (চট্টগ্রাম) থেকে জাহেদুল হক জানান, প্রবল বর্ষণ ও অস্বাভাবিক জোয়ারের পানিতে চট্টগ্রামের আনোয়ারায় বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। জলমগ্ন হয়ে পড়েছে এই উপজেলার বিশটির অধিক গ্রাম।
জানা যায়, গতকাল ভারী বর্ষণ ও অস্বাভাবিক জোয়ারের কারণে আনোয়ারা উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের দক্ষিণ সরেঙ্গা, পূর্ব গহিরা,দক্ষিণ গহিরা,ফকিরহাট, ধলঘাট, বার আউলিয়া, দক্ষিণ রায়পুর, জুঁইদন্ডী ইউনিয়নের পশ্চিম জুঁইদন্ডী, দক্ষিণ জুঁইদন্ডী, লামারবাজার ও খুরুস্কুল গোদারপাড়, বারখাইন ইউনিয়নের দক্ষিণ তৈলারদ্বীপ ও পূর্ব বারখাইন এবং বরুমচড়া গ্রামে পানি ওঠানামা করছে। এছাড়া, উপজেলার চাতরী ইউনিয়নের ডুমুরিয়া, রূদুরা, চাতরী, মহতরপাড়া, কৈনপুরা, কেঁয়াগড়, পরৈকোড়া ইউনিয়নের কৈখাইন, মাহাতা, ভিংরোল, পাটনীকোঠা, পরৈকোড়া, হাইলধর ইউনিয়নের খাসখামা ও আনোয়ারা সদরে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে।
এদিকে, রবিবার দুপুরে আনোয়ারা উপজেলার রায়পুরের ফকিরহাট, কোস্টগার্ড ও জুঁইদন্ডী এলাকার লামারবাজার এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে শঙ্খনদের পানি এলাকায় প্রবেশ করছে ব্যাপক হারে। কোন কোন স্থানে রাস্তার উপর হাটু সমান পানি দেখা গেছে। এছাড়া অধিকাংশ খাল-বিল,পুকুর পানিতে তলিয়ে গেছে। এলাকার চাষাবাদ জমির বীজতলা রোপা-আউশ সবজি ক্ষেত পানিতে ভাসছে।
রায়পুর ইউনিয়নের ফকিরহাট এলাকার বাসিন্দা শাহাবুদ্দিন বলেন, জোয়ারের পানি বাড়ায় পুরো গ্রাম তলিয়ে গেছে। এ নিয়ে আমরা আতংকে আছি। আনোয়ারা উপজেলা ভারপ্রাপ্ত প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আবুল হোসেন বলেন, উপজেলার জলাবদ্ধতার ব্যাপারে খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জানতে চাইলে পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী কাইছার উদ্দিন বলেন, আনোয়ারা উপকূলের বিভিন্ন এলাকার খোলা বেড়িবাঁধ দিয়ে পানি প্রবেশ করেছে। কিছু কিছু স্থানে বেড়িবাঁধ নিচু হওয়ায় পানি উপচে পড়েছে বলে শুনেছি।
আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) গৌতম বাড়ৈ বলেন, টানা বর্ষণে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতার খবর আমরা পাচ্ছি। স্থানীয় চেয়ারম্যানদের কাছ থেকে তথ্য নিয়ে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ছাগলনাইয়া (ফেনী) থেকে মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন জানান, ফুলগাজীর জনগনের প্রতিবছরের নিত্যদিনের সমস্যা মুহুরী, কহুয়া,সিলোনিয়া নদীর বাঁধ ভাঙন। মুহুরী নদীর ভাঙন আর নিজ ঘরের খাটের উপর বসে পা ধৌত করা ফুলগাজীর মানুষের জন্য নতুন কিছু নয়। প্রতি বছরই ফুলগাজীর মানুষ মুহুরী নদী ভাঙনের হিস্রতার শিকার হয়ে সর্বস্ব হারিয়ে মাথা ঠুকে মরছে। যেন ফুলগাজীর মানুষের কপালে এই দুর্দশা লিপিবদ্ধ করা আছে। তাই ফুলগাজীর সর্বস্তরের মানুষের দাবি মুহুরী নদীর টেকসই বাঁধ। এজন্যই ফুলগাজী জনগন ত্রান চায় না চায় নদীর বাঁধ। প্রতি বছরের ন্যায় গত দুই দিন ধরে আমরা দেখেছি জনপ্রতিনিধিদের সরব পরিদর্শন ও চিড়া মুড়ি দিয়ে ত্রান বিতরণ। গতকাল বানবাসি মানুষদের সরেজমিনে দেখতে গিয়ে সাংবাদিক দেখে তারা ভীড় জমায়, তাদের অনেকের দাবি আমরা ত্রাণ চাইনা, চাই টেকসই মুহুরী নদীর বাঁধ। গত বছর বর্ষা মৌসুমে ফুলগাজী মুহুরী কহুয়া, ও সিলোনিয়া নদীর বিভিন্ন জায়গা বাঁধ ভেঙ্গে প্রায় কয়েকশ কোটি টাকার ক্ষতি হয় সেই ক্ষতি কেটে উটতে না উটতে আবার ফুলগাজী ছয়টি ভাঙনের প্রায় ২১ গ্রাম প্লাবিত হয়, এতে প্রায় ৮ কোটি টাকার মাছ বন্যার পানিতে ভাসিয়ে নিয়ে যায়, কয়েকশ হেক্টর আমন বীজতলা নস্ট হয়ে যায়, এজন্য তিন নদী এলাকার মানুষের প্রশাসনের কাছে প্রানেরদাবি আর ত্রান দিয়ে নয় বাঁধ দিয়ে সহযোগিতার করার। এদিকে গত কয়েকদিনের টানা বর্ষনে ও ভারতের উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে মুহুরী ও কহুয়া নদির ঘনিয়ামোড়া, দৌলতপুর ও দেড়পাড়া অংশে মোট ৫ স্থানে ভাঙনের ফলে ফুলগাজী ও পরশুরামে প্রায় ২১ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে ক্ষয় - ক্ষতি হয়েছে রাস্তাঘাট, পুল কালভার্ট, ঘড়বাড়ি ও পুকুরের মাছ। অপরদিকে, পরশুরামে টানা বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে ক্ষতি হয়েছে প্রায় আড়াই কোটি টাকা। বন্যার পানিতে ভেসে গেছে মৎস ও মুরগীর খামার, রোপা আমন ও বীজতলা। পরশুরাম উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুহুল আমিন এসব তথ্য জানিয়েছেন। জানা গেছে, মির্জানগর, চিথলিয়া, বকসমাহমুদ ইউনিয়নের মুহুরী, কহুয়া ও সিলোনিয়া নদীর বেড়িবাঁধের ৩টি স্থানে ভাঙনের সৃষ্টি হয়েছে। বকসমাহমুদ ইউনিয়নে কহুয়া নদীর ভাঙনে বাগমারা, উত্তর টেটেশ্বর,দক্ষিন টটেশ্বর, সাতকুচিয়া, বেড়াবাড়িয়া, জমিয়ারগাঁও, গুথুম (একাংশ)ও ফুলগাজীর বেকের বাজারে মূহুরী নদীর ভাঙনে দক্ষিন শালধর,মালিপাথরসহ ১৮ গ্রাম বন্যার পানিতে তলিয়ে যায়। শনিবার থেকে পানি কমতে থাকলেও এসব গ্রামের এখনও ৪২০ টি পরিবারের প্রায় ১৫শ মানুষ পানিবন্দী হয়ে রয়েছে। আসবাবপত্র নষ্ট হয়ে গেছে অনেকের। ক্ষতি হয়েছে প্রায় ১ কোটি টাকার মতো।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বন্যা

১৫ অক্টোবর, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ