Inqilab Logo

শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

নেছারাবাদ জগৎপট্টি এলাকার জরাজীর্ণ সড়কে চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ

স্বরূপকাঠি পৌরসভার রাস্তার করুণ হাল

| প্রকাশের সময় : ২৬ জুলাই, ২০১৭, ১২:০০ এএম

নেছারাবাদ (পিরোজপুর) থেকে মো: হাবিবুল্লাহ : পিরোজপুর জেলার নেছারাবাদ উপজেলার স্বরূপকাঠি পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের জগৎপট্টি গ্রামের মোদাচ্ছের মিস্ত্রির বাড়ি হয়ে শামসু সেতু সংলগ্ন প্রায় আধা কিলোমিটারের পৌরসভার জন্মলগ্নে নির্মিত সেকেলের রাস্তাটি এখন বেহাল অবস্থায়। পুরনো ওই রাস্তাটির কোনো কোনো জায়গায় ছড়ানো ছিটানো ভাঙা ইট। রাস্তাটি সংস্কারের অভাবে অধিকাংশ জায়গার ইট লাপাত্তা হয়ে সৃষ্টি হয়েছে রাস্তাজুড়ে কেবল গর্ত আর গর্ত। বর্ষা মৌসুমে রাস্তায় জন্মানো শেওলা আর কাঁদায় পিচ্ছিল হয়ে ভাঙাচোরা এ রাস্তাটি বলতে গেলে কয়েক বছর আগেই ব্যবহারের অনুপোযোগী হয়ে গেছে। এ নিয়ে একাধিকবার বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় লেখালেখি হলেও আমলে নিচ্ছে না কর্তৃপক্ষ। রাস্তাটি দিয়ে নিয়মিত যাতায়াত করছে স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসার শিক্ষার্থীসহ নানা শ্রেণী পেশার মানুষ। বর্তমানে রাস্তার এ বেহাল দশায় ওই সব পৌরবাসীর অনেকেই নিরুপায় হয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে।
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, কোনো কোনো পাশ দিয়ে রাস্তাটি ভেঙে গেছে খাল সংলগ্ন জোয়ারের পানিতে। আর বর্ষা মৌসুমে জোয়ারে রাস্তাটি তলিয়ে যায় দেড় থেকে দু’ফুট পানির নিচে। তখন আর বোঝার উপায় থাকে না সেটা রাস্তা না খাল। বিশেষ করে তখনই নেমে আসে এলাকায় বসবাসরত মানুষের যত বিপত্তি। মেয়র আসে মেয়র যায়। এ রাস্তাটির করুণ হাল দেখলে সহজে বোঝা যায় উন্নয়নের বাস্তব চিত্র। এ ওয়ার্ডের নাগরিকরা পৌর সুবিধার বদলে নিভৃতেই কাঁদে।
জানা যায়, পৌরসভার জন্মলগ্ন ১৯৯৮ সালে এটি সলিং রাস্তায় নির্মিত হয়েছিল। সেই থেকে রাস্তা দিয়ে ছোটখাটো হালকা যানবাহনের চলাচল ছিল। এছাড়াও রাস্তা দিয়ে সহসা ওয়ার্ডে অবস্থিত হাসপাতাল, স্কুলে আসা-যাওয়া করা যেত। এলাকাবাসী আধা কিলোমিটারের রাস্তাটি দিয়ে খুব সহজেই উপজেলা সদরের সাথে বাজারঘাটসহ যাবতীয় কাজে বের হতে পারত। রাস্তার বেহাল অবস্থায় এ বর্ষার পানিতে তাদের অনেককেই প্রায় দু’কিলোমিটারের বেশি পথ পাড়ি দিয়ে বাজারঘাটে আসতে হচ্ছে। বর্তমানে রাস্তার রুগ্ন দশায় এখানে রিকশা, ভ্যানসহ চলাচল তো দূরের কথা, অন্ধকারে রাস্তা দিয়ে পায়ে হাঁটাও ক্রমেই অতীব ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে।
ওয়ার্ডের মোদাচ্ছের মিস্ত্রির বাড়ি হয়ে শামসু সেতু সংলগ্ন ওই রাস্তা এলাকায় ৫০টির বেশি বাসাবাড়ি আছে। এছাড়াও পার্শ্ববর্তী ৬ নং ওয়ার্ড, ৯ নং ওয়ার্ডসহ ওই রাস্তায় রয়েছে বিভিন্ন এলাকার মানুষের চলাচল। ৭ নং ওয়ার্ডের সীমান্তবর্তী ওই রাস্তা এলাকায় রয়েছে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়, একটি স্বাস্থ্যকেন্দ্র, মসজিদ, মাদরাসা। ভাঙাচোরা রাস্তার কারণে শিক্ষার্থীদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ও অসুস্থ রোগীদের স্বাস্থ্যকেন্দ্রে আসতে হচ্ছে পায়ে হেঁটে। কোনো যানবাহনই প্রবেশ করেছে না ওই রাস্তায়। চলতি বর্ষায় রাস্তাটিতে পায়ে হেঁটে চলাও যেন ভীষণ দায় হয়ে দাঁড়িয়েছে। এলাকাবাসীর দাবি স্বরূপকাঠি পৌরসভার জন্মলগ্নের জরাজীর্ণ রাস্তায় বালু ফেলে কয়েক ফুট উঁচু করে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব রাস্তাটি পাকা করা হোক। এ জন্য ওই এলাকার পৌরবাসী এখন এমপি হোদয়ের সুদৃষ্টি কামনা করছেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ