Inqilab Logo

শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

পথশিশুদের পুনর্বাসনে প্রয়োজন সম্মিলিত প্রয়াস

| প্রকাশের সময় : ২৭ জুলাই, ২০১৭, ১২:০০ এএম

এম. জাহাংগীর হোসেন
জাতীয় শিশুনীতি ২০১১-এর ৬.২.৩ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে ‘পথশিশুসহ সকল দরিদ্র শিশুর পুনর্বাসন ও যথাযথ বিকাশ নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে সামাজিক নিরাপত্তা বলয় স¤প্রসারিত করতে হবে।’ আন্তর্জাতিক শিশু অধিকার সনদের ২০ নং অনুচ্ছেদের উপধারা (১)-এ বলা হয়েছে ‘পারিবারিক পরিবেশ থেকে যে শিশু সাময়িক বা চিরতরে বঞ্চিত বা স্বার্থ রক্ষায় যে সকল শিশুর পারিবারিক পরিবেশ উপযুক্ত নয় সে সকল শিশু রাষ্ট্র থেকে বিশেষ সুরক্ষা ও সহায়তার অধিকারী।’ সরকারের সহযোগী প্রতিষ্ঠান হিসেবে বেসরকারি সংস্থাগুলো সুবিধাবঞ্চিত ও পথশিশুদের অধিকার প্রতিষ্ঠা, তাদের শারীরিক, মানসিক ও নৈতিক বিকাশ, একাডেমিক শিক্ষার ব্যবস্থা, ভরণ-পোষণ এবং ভবিষ্যত জীবনে স্বাবলম্বী করে গড়ে তোলার মানসে সম্মিলিত উদ্যোগ নেয়া খুবই জরুরি হয়ে পড়েছে।
বাংলাদেশ শিশু আইন ২০১৩-এর ৮৯ অনুচ্ছেদে ১৬টি ক্যাটাগরিতে সুবিধাবঞ্চিত শিশুর কথা বলেছে। বিশ্ব শিশু দিবস ও শিশু অধিকার সপ্তাহ ২০১৫-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে পথশিশু পুনর্বাসনের বিষয়ে সুস্পষ্ট নির্দেশনা প্রদান করেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের শিশুরা কেন রাস্তায় ঘুরবে? একটা শিশুও রাস্তায় ঘুরবে না। একটা শিশুও এভাবে মানবেতর জীবন যাপন করবে না।’ এ লক্ষ্যে সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসহ সবাইকে একযোগে পথশিশুদের পুনর্বাসনের জন্য কাজ করার জন্য পরামর্শ দেন। এই নির্দেশনার উপর ভিত্তি করে মহিলা ও শিশু মন্ত্রণালয় ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটিতে একটি জরিপের কাজ করে। পরে ২০১৬ সাল থেকে পথশিশু পুনর্বাসনের লক্ষ্যে কার্যক্রম হাতে নেয়।
পথশিশু কারা: ইউনিসেফের মতে পথশিশু বলতে, যে সকল শিশুর জন্য রাস্তা বসবাসের স্থান অথবা জীবিকার উপায় হয়ে গেছে তাদের পথশিশু বলে।
২০০৫ সালে সমাজসেবা অধিদপ্তরের এক গবেষণায় ৪১% শিশুর ঘুমানোর কোন বিছানা নেই; ৪০% শিশু প্রতিদিন গোসল করতে পারে না; ৩৫% শিশু খোলা জায়গায় পায়খানা করে; ৮৪% শিশুর কোন শীতবস্ত্র নেই; ৫৪% শিশুর অসুস্থতায় দেখার কেউ নেই; ৭৫% শিশু অসুস্থতায় ডাক্তার দেখাতে পারে না; মাদকাসক্তির চিত্র ভয়াবহ। শিশু অধিকার ফোরামের এক প্রতিবেদনে দেখা যায়, ৮৫% পথশিশু মাদকাসক্ত, ১৯% হেরোইনসেবী, ৪৪% শিশু ধূমপানে, ২৮% টেবলেট, ৮% ইঞ্জেকশনে আসক্ত, ৮০% শিশু কাজ করে জীবন টিকিয়ে রাখতে; ২০% শারিরীকভাবে নির্যাতিত হয়; ৪৬% মেয়ে শিশু যৌন নির্যাতনের শিকার হয়; ১৪.৫% শিশু সার্বিকভাবে যৌন নির্যাতনের শিকার হয়।
পথশিশুর সংখ্যা নিয়ে বিভিন্ন মহলে মতদ্বৈততা দেখা যায়। ২০০৪ সালে বিআইডিএস জরিপ বলছে, ২০২৪ সালে গিয়ে দাঁড়াবে ১৬ লাখ। বর্তমানে এইসংখ্যা প্রায় ১৩ বলে অনেকে মনে করছেন। প্রকৃতপক্ষে কারা পথশিশু? যারা সার্বক্ষণিকভাবে পথে থাকে, খেলে, ঘুমায়, জীবিকা নির্বাহ করে তারা যদি পথশিশু হয় তাদের সংখ্যা কত হবে? এ নিয়ে একটি বাস্তবসম্মত জরীপ হওয়া সর্বাগ্রে জরুরি। অবস্থাদৃষ্টে এই স্টাডি অনেক পুরাতন হয়ে গেছে। প্রতিনিয়ত ঝুঁকিপূর্ণ শিশুদের সংখ্যা বাড়ছে এবং নতুন সমস্যা তৈরি হচ্ছে। তাই পথশিশুদের প্রকৃত সংখ্যা বর্তমানে কত এটা না জানলে পথশিশু কার্যক্রমের জন্য বাস্তবভিত্তিক পরিকল্পনা তৈরি করা দুরুহ হবে
পথশিশু সংশ্লিষ্ট তথ্য সহায়ক পুস্তিকা: পথশিশুদের জন্য সরকারি বেসরকারি কার্যক্রমগুলো কি আছে? কারা কি কাজ করছে সেটা সবার জানা থাকা দরকার। কে কি করছে এবং কিভাবে করছে? এ বিষয়ে একটি সহায়ক তথ্যপুস্তিকা থাকা আবশ্যক। সরকার এবিষয়ে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিয়ে দেশব্যাপী যেসব কাজ হচ্ছে তার একটি তথ্যপুস্তিকা তৈরি করতে পারে। স্ট্রিট চিলড্রেনএক্টিভিস্টস্নেটওয়ার্ক সম্প্রতি ২০১৭ সালের জন্য একটি ডিরেক্টরি প্রকাশ করেছে। কিন্তু এই তথ্য যথেষ্ট নয়। পথশিশু সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো যখন তার নিজস্ব সেবা সম্পন্ন করছে তখন শিশুটি পরবর্তী প্রয়োজনীয় সেবা কোথায় পাবে এসম্পর্কে কোন পূর্বধারণা না থাকার ফলে আংশিক সেবা নিয়ে শিশু আবার পূর্বের জীবনে ফিরে যাচ্ছে। তাই এমন একটি তথ্যপুস্তিকা থাকা আবশ্যক যেখানে সারা দেশে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের নিয়ে কোথায় কি হচ্ছে, যোগাযোগ ঠিকানা, ক্যাপাসিটি ইত্যাদি বিষয়ে বিস্তারিত বিবরণ দেয়া থাকবে যাতে এই তথ্যের সহায়তা নিয়ে শিশুদের সহায়তা দিতে সবাই সক্ষম হবে।
শেল্টারহোম ব্যবস্থাপনায় স্ট্যান্ডার্ড কমন গাইডলাইন, মনিটরিং ও সমন্বয়: বাংলাদেশে সুবিধাবঞ্চিত ও পথশিশুদের নিয়ে বিভিন্ন সরকারী বেসরকারী শেল্টার হোম রয়েছে। কিন্তু এদের অনেকেই কোন নিয়ম মেনে চলে না। শিশু অধিকার বা শিশু সুরক্ষার বিধান মেনে এসব হোম পরিচালিত হওয়া বাঞ্চনীয়। এ সংক্রান্ত একটি মানসম্মত নির্দেশিকা তৈরি করতে পারে। সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্ট বিভাগ ও বেসরকারি সংস্থাগুলোকে নিয়ে সবার উপযোগী শিশু হোম পরিচালনার জন্য একটি স্ট্যান্ডার্ড কমন নির্দেশিকা প্রণয়ন করা আবশ্যক। পাশাপাশি নির্দেশিকা অনুসরণ করে শেল্টার হোম পরিচালিত হচ্ছে কিনা তা একটি মনিটরিং সেলের মাধ্যমে যাচাই করে দেখার জন্য সমাজসেবা এবং মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের নেতৃত্বে নেটওয়ার্ক প্রতিনিধির সমন্বয়ে গঠন করা যেতে পারে। এ ব্যাপারে একটি সুষ্পষ্ট নীতিমালা থাকবে। প্রতিটি সংস্থা যথায়থভাবে শিশু সুরক্ষা নীতি অনুসরণ করে শিশু যতœ নিশ্চিত করছে কিনা এটা মনিটরিং সেল কর্তৃক খতিয়ে দেখার ব্যবস্থা থাকবে। মনিটরিং সেল প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়ে উন্নয়নের জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগের নিকট সুপারিশ করবে।
পথশিশু উৎসমুখ বন্ধে ক্যাম্পেইন ও জনসচেতনতা: পথশিশুর উৎসস্থলসমূহে ব্যাপক প্রচারণা চালাতে হবে। জাতীয়ভাবে সচেতনতামূলক সাইকেল র‌্যালির আয়োজন করে স্থানীয় প্রশাসন ও স্থানীয় সরকারকে অর্ন্তভুক্ত করে ব্যাপক কার্যক্রম নিতে পারে। প্রতিটি শিশু স্কুল সময়ে রাস্তায় থাকতে পারবে না এ বিষয়ে ব্যাপক জনসচেতনতাসহ বিশেষ প্রণোদনার ব্যবস্থা নিতে হবে। রেল স্টেশন, বাস টার্মিনাল, লঞ্চ ঘাটে বিশেষ প্রহরার ব্যবস্থা থাকবে। অভিভাবকবিহীন কোন শিশুকে পাওয়া গেলে ওখান থেকেই শিশুটিকে উদ্ধার করে কোন শেল্টারে পাঠাতে হবে। পরে কাউন্সিলিং সেবা দিয়ে পরিবারে যোগাযোগ করা হবে। শিশুটি ঝুঁকিপূর্ণ হলে কোন শেল্টারে পুনর্বাসনের জন্য প্রেরণ করা হবে।
প্রতিষ্ঠান, স্বেচ্ছাসেবী ও কর্মীদের সক্ষমতা বৃদ্ধি: প্রয়োজনের তুলনায় এখন অনেক বেশি সংস্থা কাজ করছে। কিন্তু ঘাটতি হচ্ছে তাদের অদক্ষতা ও অসচেতনতা। শিশুদের সাথে কিভাবে কাজ করবে, কাজ করার জন্য বিশেষ দক্ষতা, শিশু হোম পরিচালনার জন্য আবশ্যকীয় বিষয়সহ শিশু অধিকার ও সুরক্ষা সম্পর্কে জানা প্রয়োজন। অধিকাংশ স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন এসব না বুঝে কাজ শুরু করে আর জড়িয়ে পড়ে নানান জটিলতায়। সংগঠনগুলোর সক্ষমতা বৃদ্ধিতে প্রকল্প প্রস্তাবনাসহ বাজেট প্রণয়ন, শিশু বান্ধব কাজের পরিবেশ তৈরি, কেস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম উন্নয়ন, পিয়ার এডুকেটর প্রশিক্ষণ, শিশু ডাটাবেইজ তৈরি, কাউন্সেলিং ও শিশু যতœ প্রশিক্ষণ সহায়তা দিতে পারে।
মনোসামাজিক সেবা: সুবিধাবঞ্চিত ও পথশিুরা নানা প্রতিকূলতার মাঝে বেড়ে উঠে। সাধারণত পথশিশুদের আচরণ- অসত্য বলা, অতিমাত্রা আবেগপ্রবণ, নিজ প্রয়োজনে অন্যকে প্রভাবিত করা, অপরাধ করতে কুণ্ঠাবোধ না করা, কাউকে সহজে বিশ^াস করে না, ধ্বংসাত্মক কাজে আগ্রহ, নেতিবাচক আচরণ, খোলামেলা স্বাধীন জীবনে অভ্যস্ত, সহজে কাউকে মান্য করে না। এদের মানসিকতার ইতিবাচক পরিবর্তনে মনোসামাজিক সহায়তা অত্যন্ত জরুরি। সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের নিয়ে কাজ করে তাদের কাউন্সেলিং বিচক্ষণতার সাথে সম্পন্ন করা দরকার। মনোসামাজিক বিশেষজ্ঞ সমন্বয়ে একটি মনোসামাজিক সহায়ক সেল গঠন করে সেবা নিশ্চিত করা যায়। একইভাবে হোমে অবস্থানরত জটিল শিশু রেফারাল কেস নিয়ে কাজ করবে।
প্রশিক্ষণ ও কর্মসংস্থান: সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের জন্য বিশেষ আনন্দময় শিক্ষাদান পদ্ধতি নিশ্চিত করা আবশ্যক। বড় শিশুদের জন্য অনানুষ্ঠানিক স্বল্পমেয়াদী শিক্ষা চালু করে এই শিশুদের জন্য সময়োপযোগী বাস্তবমুখী বৃত্তিমূলক কারিগরি প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা যেতে পারে। বিভিন্ন ট্রেডে প্রশিক্ষণের পর তাদের জন্য কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হবে। কিংবা স্বল্প সুদে ব্যাংক ঋণের মাধ্যমে উদ্যোক্তা হিসেবে তাদেরকে গড়ে উঠতে সহায়তা করতে পারে। শিশুদের শেল্টার হোমভিত্তিক হাতে কলমে কৃষিকাজ, মৎস চাষ, পশুপালন বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিয়ে বাস্তব জীবনের জন্য প্রস্তুত করা যেতে পারে।
মাদকাসক্ত চিকিৎসা: সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের অধিকাংশ কোন না কোনভাবে মাদকের সাথে পরিচিত হয়ে পড়ে। এইসকল শিশুরা মাদকাসক্তির কারণে সুন্দর ভবিষ্যৎ বিসর্জন দেয়। তাই এই শিশুদের মাদকাসক্তি চিকিৎসার জন্য প্রতিটি সেবা কেন্দ্রে বিনামূল্যে চিকিৎসার ব্যবস্থা থাকবে। শিশু হোমে প্রেরণের পূর্বেই তাদের মাদকাসক্তি চিকিৎসা নিশ্চিত করা আবশ্যক।
পরিচয় ও জন্ম নিবন্ধন: সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের পরিচয় ও ঠিকানা অনেক ক্ষেত্রে পাওয়া যায় না। অনেক সময় শিশুদের পিতামাতার নাম বলতে পারে না। সেক্ষেত্রে প্রতিটি শিশুর জন্ম নিবন্ধন জটিলতার কারণে সম্ভব হয় না। ফলে এইসব শিশু ভবিষ্যৎ নাগরিক সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়। ছোট পরিত্যক্ত শিশুদেরকে কোন পরিবারের তত্ত¡াবধানে দেয়াটা আইনী জটিলতার মধ্যে পড়ে। তাই জন্মনিবন্ধন, শিশুর অভিভাবকত্ব সংক্রান্ত বিষয়গুলো নিয়ে বিশেষজ্ঞ মতামত নিয়ে আইনী বাধাগুলো অপসারন করা খুবই অত্যাবশ্যক।
শিশুপ্রতি (টাকা) ব্যয়: শিশুপ্রতি ব্যয় সংস্থাগুলো তার নিজস্ব নিয়মে এই ব্যয় নির্ধারিত হয়। সার্বিক বাজার ব্যবস্থা বিবেচনা করে শিশুপ্রতি ব্যয় মানসম্মত, সময়োপযোগী ও অভিন্ন হওয়া জরুরি। শিশুদের পুনর্বাসনে একই ব্যয় নীতি অনুসরন করা দরকার। খাবারের মেন্যু, শিক্ষার উপকরণ, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা, স্বাস্থ্য সেবা, পোশাক পরিচ্ছেদ, আবাসন ফ্যাসিলিটিজ, বিছানাপত্র, টয়লেট সুবিধাদি একই মানদন্ড বজায় রেখে ব্যয় নীতিমালা করা দরকার।
শিশুরা হচ্ছে জাতির ভবিষ্যৎ। দেশের মোট জনসংখ্যার ৪৫ ভাগ হচ্ছে শিশু। এদের বড় অংশ আবার সুবিধাবঞ্চিত। পরিপূর্ণ শিশু বিকাশ ও শিশু উন্নয়ন ব্যাহত হলে জাতি মেধাশূন্য নেতৃত্ব পাবে। থেমে যাবে জাতির অগ্রগতি। তাই সকল বিষয়ে শিশুর স্বার্থ হবে সর্বোত্তম। দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা একটি পৃথক শিশু অধিদপ্তর। যারা শিশুদের স্বার্থে দেশব্যাপী কার্যক্রম পরিকল্পনা, বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ, মূল্যায়ণ ও সমন্বয় করে থাকবে।
পরিশেষে বলতে চাই, সকল সুবিধাবঞ্চিত ও পথশিশুর কল্যাণে প্রয়োজন সরকারি-বেসরকারি সম্মিলিত উদ্যোগ, সক্রিয় অংশগ্রহণ ও বাস্তবসম্মত পরিকল্পনা।
লেখক: প্রোগ্রাম ম্যানেজার, আহ্ছানিয়া মিশন শিশু নগরী এবং সাধারণ সম্পাদক, স্ট্রিট চিলড্রেন এক্টিভিস্টস্ নেটওয়ার্ক-স্ক্যান

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন