Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

যুক্তরাষ্ট্রে যদি রেক্সিট ঘটে বিস্মিত হবার কিছু নেই

পদত্যাগের কথা বিবেচনা করছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী টিলারসন

| প্রকাশের সময় : ২৭ জুলাই, ২০১৭, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতিতে এখন বহুল আলোচিত নাম এটর্নি জেনারেল জেফ সেশনস ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসন। এরই মধ্যে সেখানে খবর ছড়িয়ে পড়ে জেফ সেশনকে বরখাস্ত করতে পারেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। এর বাইরে কয়েকদিন ধরেই আলোচনায় আছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী টিলারসন। তাকে নিয়েও নানা খবর যুক্তরাষ্ট্রের মিডিয়ায়। কিন্তু সিএনএনের সাংবাদিক জন কিং গত সোমবার রিপোর্টে বলেছেন, হোয়াইট হাউজের সঙ্গে টিলারসনের মতপার্থক্যের তালিকা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে ইরান নীতি ও ব্যক্তিগত পর্যায়ের নতুন বিতর্ক। জন কিং বলেছেন, রেক্স টিলারসনের হতাশার বিষয়টি গোপনীয় নয়। এটা বিভিন্ন সময়ে মানুষের সামনে প্রকাশ পেয়েছে। দুটি সূত্র সিএনএন’কে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রে যদি রেক্সিট ঘটে তাহলে বিস্মিত হবেন না তারা। সর্বশেষ খবরে বলা হচ্ছে, পররাষ্ট্রমন্ত্রী টিলারসন হতাশাগ্রস্ত। তিনি তিনি পদত্যাগের বিষয় বিবেচনা করছেন। এ জন্য নতুন একটি শব্দ চালু হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে। ইংরেজিতে শব্দটি হলো ‘রেক্সিট’। রেক্স টিলারসনের নামের প্রথম শব্দ থেকে রেক্স ব্যবহার করা হয়েছে এতে। এক্সিট বা বিদায়ের শেষ অংশ যুক্ত করে বানানো হয়েছে রেক্সিট। ফলে বিষয়টির গভীরতা কতটা তা সহজেই অনুমেয়। কিন্তু পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হিদার নাউয়ার্ট গত মঙ্গলবার এটা বলতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন যে, রেক্স টিলারসন তার বর্তমানের কর্মকাÐ বা ভূমিকা নিয়ে সন্তুষ্ট কিনা। তবে বলা হচ্ছে, তিনি আগেভাগেই বিদায় নিতে পারেন। এক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র পররাষ্ট্র নীতিতে বহু চ্যালেঞ্জের মুখে। এমন সময়ে তিনি কালক্ষেপণ করে বিবেচনা করছেন বা সিদ্ধান্ত নেয়ার চেষ্টা করছেন। পররাষ্ট্রনীতিতে হোয়াইট হাউজের সিদ্ধান্ত গ্রহণের সঙ্গে রেক্স টিলারসনের জড়িত থাকার বিষয়ে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে তা এড়িয়ে যান হিদার নাউয়ার্ট। এ খবর দিয়েছে অনলাইন সিএনএন। হিদার নাউয়ার্ট বলেছেন, অন্য মন্ত্রীদের মতো পররাষ্ট্রমন্ত্রীও প্রেসিডেন্ট, প্রেসিডেন্টের জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ক উপদেষ্টা ও মন্ত্রীপরিষদের সদস্যদের সঙ্গে দেখা সাক্ষাত করেন। এটাই তো স্বাভাবিক। এটাই তো রীতি। তারা একসঙ্গে বসেন। তাদের মধ্যে সুষ্ঠু আলোচনা হয়। ভারি ভারি পররাষ্ট্র বিষয়ক ইস্যুতে কথা হয়। রেক্স টিলারসন যে পদত্যাগ করার কথা বিবেচনা করছেন এমনটা স্বীকার করতে অস্বীকৃতি জানান হিদার নাউয়ার্ট। এ নিয়ে মিডিয়ায় যে রিপোর্ট প্রকাশ হচ্ছে তাকে তিনি মিথ্যা খবর বলে আখ্যায়িত করেন। তিনি বলেন, এটা পরিষ্কার যে, টিলারসন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়েই থাকতে চান। আমাদের সামনে অনেক কাজ আছে যা আমাদেরকে করতে হবে। তিনি সেটা স্বীকার করেন। এসব কাজ নিয়ে তিনি ভীষণ ব্যস্ত আছেন। উল্লেখ্য, এই সপ্তাহে ছুটিতে অবকাশ যাপনে গিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী টিলারসন। খবরে বলা হচ্ছে, অসন্তোষ থেকে তিনি এই ছুটিতে গিয়েছেন। কিন্তু হিদার নাউয়ার্ট বলেন, তার এই সফর অল্প সময়ের পরিকল্পনায় করা হয়েছে। প্রতিরক্ষামন্ত্রী জেমস মাতিসও বর্তমানে ছুটি কাটাচ্ছেন। গতকাল টিলারসনের কাজে যোগ দেয়ার কথা। সিএনএন।

 



 

Show all comments
  • Hira ২৭ জুলাই, ২০১৭, ২:০০ এএম says : 0
    Everything good. Please go everybody to do good work for the family and friends thats will give you honour and dignity. It is better than get sack.
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: যুক্তরাষ্ট্র


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ