Inqilab Logo

শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

শাহরাস্তির প্রধান সড়কের বেহাল দশা

| প্রকাশের সময় : ২৯ জুলাই, ২০১৭, ১২:০০ এএম

চাঁদপুর জেলা সংবাদদাতা : চাঁদপুরের শাহরাস্তি উপজেলার প্রধান সড়কের বেহাল দশায় ঝুকি নিয়ে চলছে যানচলাচল। উপজেলার মেহের-লোট্রা ও উঘারিয়া-চিতোষী সড়কের খানাখন্দে জনজীবনকে অতিষ্ঠ ওঠেছে। রাস্তাটি দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় এটি এখন জনদুঃখের সড়কে পরিনত হয়েছে। ওই জনপদে বসবাসকারী অধিবাসীরা খানাখন্দের দুর্ভোগ মাথায় নিয়ে প্রতিদিন ছুটছেন গন্তব্যে। এ রাস্তার দুর্ভোগের কথা ইতিমধ্যে সরকারি ও বিরোধীদলীয় জনসভা সমাবেশে চাউর শেষে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুক এবং টুইটারেও শোভা পাচ্ছে। তাতেও ভুক্তভোগীরা প্রতিকার পায়নি।
সড়কের দু’পাশের বাসিন্দা, এলাকাবাসী, পথচারী, পরিবহন শ্রমিক সূত্রে জানায়, গত ১০ বছর ধরে মেহের কালিবাড়ী বাজার থেকে রামগঞ্জ উপজেলার পানিওলা বাজার এবং সূচীপাড়া-চিতোষী ভায়া উঘারিয়া পর্যন্ত এ দূরবস্থা বিরাজ করছে। এরই মধ্য পৌর এলাকার ছিকুটিয়া, গুদাড়া-গন্ধ্যব্যপুর, এসুরবাড়ী, শোরসাক বাজার, রাগৈ স্কুল, হাসেমের দোকান, রাগৈ দক্ষিণ, লোটরাবাজারসহ কোমরতলা পর্যন্ত খানাখন্দের স্বর্গে পরিণত হয়েছে। রাগৈ গ্রামের পুস্তক ব্যবসায়ী আ.রাজ্জাক বলেন, গত তিন বছর আগে রাস্তাটির বিভিন্ন স্থানে ঘষা মাজা না করে সামান্য সিলকোট দেওয়ায় দু’মাসের মাথায় তা স্বরূপে ফিরে যায়। এর পর রাস্তাটির পিচের প্রলেপ নষ্ট হয়ে বিভিন্ন স্থানে কাঁচা সড়কে রূপ নেয়। ওই ক্ষতবিক্ষত রাস্তাটিতে ভারি যানবাহনের দাপিয়ে বেড়ানোয় বিভিন্ন স্থানে সৃষ্টি হয় বিশাল বিশাল গতের্র। ওই দুরবস্থা শুষ্ক মৌসুমে যেনতেনভাবে পার হলেও, বর্ষার আগমনে রাস্তায় গর্তে পানি জমে যানচলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এলাকাবাসী আরো জানায়, গত ১০ বছরে মধ্যে সড়কে সংস্কার করা হলেও তা ছিল আইওয়াশ, ব্রিকওয়ার্ক ও সিলকোটের মতো দায়সারা গোছের কাজ। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বলছেন, অর্থের যোগান কম থাকায় এ অবস্থার উত্তোরণ হচ্ছে না।
এ সড়কটি এলজিইডি থেকে (ফিডার সড়ক) হিসেবে সড়ক ও জনপথ বিভাগ অধিগ্রহণ করে বহু আগে রাস্তাটিকে জেলা সড়ক কাগজপত্রে রূপান্তর করে, যা গত ১৩ বছরেও আলোর মুখ দেখেনি। এদিকে এ সড়ক পথ চলতে গিয়ে বহু লোক মৃত্যুসহ অনেকে পঙ্গুত্ব বরণ করেছে। ২০১৬ সালে সূচীপাড়া দক্ষিণ ইউপির যুবলীগের সভাপতি মনির হোসেন (৩৫) সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হয়ে ৬ মাস অসুস্থ থাকেন। চলতি বছরে রাগৈ মুন্সীবাড়ীর সুমাইয়াকে (৫) ট্রাক্টর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে চাপ দিলে ঘটনাস্থলে তার মৃত্যু হয়। এভাবে এসড়কের খানাখন্দের উপর দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ৪টি ডিগ্রি কলেজ, ৬টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ৩টি মাদরাসা ও ১০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৮টি কেজি স্কুলের শিক্ষার্থীরা অবর্ণনীয় দুঃখ দুর্দশা নিয়ে প্রতিনিয়ত যাতায়াত করছেন। আবার ১৫ কি. মি. চৌহদ্দির মধ্যে শাহ্রাস্তির ৫০ শয্যার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি একমাত্র সরকারি চিকিৎসা সেবা কেন্দ্র হওয়ায় রোগীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এ রাস্তায় চলাচল করছেন। এহেন বেহাল সড়কে গর্ভবতী ও হার্টের বেশির ভাগ রোগী শাহরাস্তি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স না আসতে পেরে ল²ীপুর, রামগঞ্জ ও চাটখিলের হাসপাতালে ছুটছেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ