Inqilab Logo

শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

গুটিকয়েক মানুষকে ঋণ দেয়ার সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসতে ব্যাংকগুলোকে নির্দেশ গভর্নরের

খেলাপি ঋণের ৬৬ শতাংশ ১০ ব্যাংকে

| প্রকাশের সময় : ১ আগস্ট, ২০১৭, ১২:০০ এএম

অর্থনৈতিক রিপোর্টার : নির্দিষ্ট খাতের গুটি কয়েক মানুষকে ঋণ দেওয়ার সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসতে সব বাণিজ্যিক ব্যাংককে নির্দেশ দিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির। গতকাল বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের জাহাঙ্গীর আলম কনফারেন্স হলে আয়োজিত ‘ফিন্যান্সিয়াল ইন্সট্যাবলিটি রিপোর্ট-২০১৬’ প্রকাশ অনুষ্ঠানে তিনি এ নির্দেশ দেন। অনুষ্ঠানে দেশের সব বাণিজ্যিক ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীরা উপস্থিত ছিলেন। ফজলে কবির বলেন, খেলাপি সংস্কৃতি থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে। এজন্য বড় অঙ্কের ঋণ দেওয়া থেকে সরে এসে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প উদ্যোক্তাদের ঋণ দিতে হবে। ঋণ দেওয়ার আগেই দেখতে হবে তারা ঋণ ফেরত দেওয়ার উপযোগী কিনা। এ জন্য গুণগত মানের ঋণ বিতরণের পরামর্শ দিয়ে গভর্নর বলেন, ঋণ যাতে একক খাতে পুঞ্জিভূত না হয় সে বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে। রিপোর্ট প্রকাশ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন- বাংলাদেশ ব্যাংকের ডিপুটি গভর্নর এসকে সুর চৌধুরী। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন- ডেপুটি গভর্নর আবু হেনা মোহাম্মদ রাজি হাসান, এসএম মনিরুজ্জামান, চেঞ্জ ম্যানেজমেন্ট অ্যাডভাইজার আল্লা মালিক কাজেমি, প্রধান অর্থনীতিবিদ ফয়সাল আহমেদ প্রমুখ।
এদিকে ফাইন্যান্সিয়াল স্ট্যাবিলিটি রিপোর্টে উঠে এসেছে- ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে খেলাপি ঋণের পরিমাণ। আর এই খেলাপি ঋণ কেন্দ্রীভূত হয়ে আছে গুটিকয়েক ব্যাংকে। মোট খেলাপি ঋণের প্রায় ৫২ শতাংশ আছে দেশের ৫ ব্যাংকের কাছে। আর ১০ ব্যাংকের কাছে মোট খেলাপি ঋণের ৬৫ দশমিক ৯ শতাংশ। বাকি ৪৭ ব্যাংকে খেলাপি রয়েছে মাত্র ৩৪ দশমিক ১ শতাংশ। প্রতিবেদনে দেখা গেছে, দেশের মোট খেলাপি ঋণের হার ও পরিমাণ বেড়েছে। ২০১৫ সালে ব্যাংকগুলোর খেলাপি ঋণ ছিল ৮ দশমিক ৮ শতাংশ। ২০১৬ সালে তা বেড়ে হয়েছে ৯ দশমিক ২ শতাংশ। এ সময়ে মোট খেলাপি দাঁড়িয়েছে ৬২ হাজার ১৭০ কোটি টাকা।
প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, খাতভিত্তিক হিসেবে বাণিজ্যিক ব্যাংকে খেলাপির হার সবচেয়ে বেশি। যা মোট খেলাপির ২৩ দশমিক ৪ শতাংশ। এছাড়াও তৈরি পোশাক খাতে ১২ দশমিক ৬ শতাংশ, বস্ত্র খাতে ৮ দশমিক ৪ শতাংশ ও বড় শিল্পে মোট খেলাপির ৯ দশমিক ৮ শতাংশ রয়েছে। প্রসঙ্গত, ফাইন্যান্সিয়াল স্ট্যাবিলিটি রিপোর্ট মূলত বাংলাদেশের সামগ্রিক আর্থিক খাতের স্থিতিশীলতা ও সক্ষমতার চিত্র তুলে ধরে। পাশাপাশি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর কার্যক্রম মূল্যায়ন করে থাকে। আর্থিক খাতের গতি প্রকৃতি, স্থিতিশীলতা ও তার প্রভাব এবং তা মোকাবেলায় বাংলাদেশ ব্যাংকের গৃহীত পদক্ষেপ, সম্পদের মান, ঝূঁকি ব্যবস্থাপনা ও তারল্যের নির্দেশকগুলো এখানে বিশ্লেষণ করা হয়ে থাকে। এছাড়া গুরুত্বপূর্ণ সূচকগুলো উঠে আসে এই প্রতিবেদনে।####



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ব্যাংক


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ