Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ইকবাল মাহমুদ দুদকের নতুন চেয়ারম্যান : কমিশনার আমিনুল ইসলাম

প্রকাশের সময় : ১১ মার্চ, ২০১৬, ১২:০০ এএম

বিশেষ সংবাদদাতা : সাবেক সিনিয়র সচিব ইকবাল মাহমুদকে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) নতুন চেয়ারম্যান নিয়োগ দেয়া হয়েছে। মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম গতকাল বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, ইকবাল মাহমুদ ও অবসরপ্রাপ্ত জেলা জজ এএফএম আমিনুল ইসলামকে দুদকের কমিশনার নিয়োগ করা হয়। এর মধ্য থেকে ইকবাল মাহমুদকে চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়। দুদকের চেয়ারম্যান মো. বদিউজ্জামান ও কমিশনার মো. সাহাবুদ্দিন চুপ্পুর মেয়াদ শেষ হচ্ছে ১৩ মার্চ। এ দুটি শূন্য পদে নিয়োগ পেলেন ইকবাল মাহমুদ ও এএফএম আমিনুল ইসলাম। বর্তমানে দুদকে কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালনরত নাসিরউদ্দীন আহমেদসহ তিন সদস্যের কমিশন পুনর্গঠিত হলো।
ওই দুই পদে নিয়োগের জন্য গত ২ ফেব্রুয়ারি আপিল বিভাগের বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের বাছাই কমিটি গঠন করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি এম মোয়াজ্জাম হোসেন, মহা হিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক মাসুদ আহমেদ, বাংলাদেশ সরকারি কর্মকমিশনের চেয়ারম্যান ইকরাম আহমেদ এবং অবসরপ্রাপ্ত মন্ত্রিপরিষদ সচিব এম আবদুল আজিজ। এর মধ্যে অবসরপ্রাপ্ত মন্ত্রিপরিষদ সচিব এম আবদুল আজিজকে কমিটির সাচিবিক দায়িত্ব দেয়া হয়। এ কমিটি ‘বাছাই’ শেষে দুদকে নিয়োগ উপযোগী চারজনের নাম প্রেসিডেন্টের কাছে সুপারিশ করেন। সেখান থেকে এ দু’জনকে নিয়োগ দেয়া হয়।
বিসিএস ১৯৮১ ব্যাচের কর্মকর্তা ইকবাল মাহমুদ দুদক চেয়ারম্যান মো. বদিউজ্জামানের স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন। ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব থাকা অবস্থায় ২০০৮ সালের জুন মাসে পদোন্নতি পেয়ে সচিব হন ইকবাল মাহমুদ। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর তাকে সংস্থাপন মন্ত্রণালয়ের (বর্তমান জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়) সচিব করা হয়। এরপর ২০১২ সালে সরকার ‘সিনিয়র সচিব’ নামে নতুন পদ সৃষ্টি করলে আরও সাতজনের সঙ্গে ইকবাল মাহমুদও ওই পদ পান। সে সময় তিনি ছিলেন অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব। ওই বছর নভেম্বরে তিনি এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের (এডিবি) বিকল্প নির্বাহী পরিচালকের দায়িত্ব পান। ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে তার ওই দায়িত্বের মেয়াদ শেষ হয় এবং তিনি অবসরোত্তর ছুটিতে যান। অবসরোত্তর ছুটিতে থাকা অবস্থায় গতবছর আগস্টে ইকবাল মাহমুদকে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের চেয়ারম্যান নিয়োগ দেয় সরকার। কিন্তু এক মাসের মাথায় ওই সিদ্ধান্ত বদলে যায়, বিটিআরসির চেয়ারম্যান হন প্রকৌশলী শাহজাহান মাহমুদ।
২০০৪ সালে দুর্নীতি দমন কমিশন গঠিত হলে বিচারপতি সুলতান হোসেন খানকে চেয়ারম্যান এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি মনিরুজ্জামান মিঞা ও অডিট বিভাগের কর্মকর্তা মনিরুদ্দীন আহমেদকে কমিশনার নিয়োগ দেয়া হয়। ২০০৭ সালে এক-এগারোর তত্ত্বাবধায়ক সরকার ‘চায়ের দাওয়াতের’ মাধ্যমে তাদের সরিয়ে দিয়ে চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ দেয় সাবেক সেনাপ্রধান হাসান মশহুদ চৌধুরীকে। কমিশনার হন অবসরপ্রাপ্ত জেলা জজ হাবিবুর রহমান ও মনযুর মান্নান। ২০০৯ সালে মহাজোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর হাসান মশহুদ চৌধুরী পদত্যাগ করে দুদক থেকে সরে গেলেও থেকে যান দুই কমিশনার। চেয়ারম্যানের শূন্যপদে নিয়োগ পান সাবেক সচিব গোলাম রহমান। ২০১১ সালের ১৪ মার্চ কমিশনারের পদ দুটি শূন্য হলে সাবেক অতিরিক্ত সচিব মো. বদিউজ্জামান ও অবসরপ্রাপ্ত জেলা জজ মো. সাহাবুদ্দিনকে নিয়োগ দেয়া হয়। ২০১৩ সালে গোলাম রহমানের মেয়াদ শেষে চেয়ারম্যান হন মো. বদিউজ্জামান এবং কমিশনার হিসেবে নিয়োগ পান এনবিআরের সাবেক চেয়ারম্যান নাসিরউদ্দীন আহমেদ। দুদকের মূল আইনে কমিশনারদের মেয়াদ চার বছর হলেও ২০১৩ সালে এক সংশোধনীর মাধ্যমে মেয়াদ এক বছর বাড়িয়ে পাঁচ বছর করা হয়। সে হিসেবে বদিউজ্জামান ও মো. সাহাবুদ্দিন চুপ্পুর মেয়াদ শেষ হচ্ছে ১৩ মার্চ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ইকবাল মাহমুদ দুদকের নতুন চেয়ারম্যান : কমিশনার আমিনুল ইসলাম
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ