Inqilab Logo

রোববার, ০৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

কোরবানিতে নিত্য পণ্যের দাম বাড়বে না : বাণিজ্যমন্ত্রী

| প্রকাশের সময় : ৩ আগস্ট, ২০১৭, ১২:০০ এএম

অর্থনৈতিক রিপোর্টার : আসন্ন কোরবানি ঈদকে সামনে রেখে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়বে না বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। বুধবার সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে জাপানের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ মত প্রকাশ করেন।
দুইদিনের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম কেজিতে ২০ টাকা বাড়ার কারণ জানতে চাইলে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, এটা সাময়িক, দাম দ্রæত কমে যাবে। চালের দাম বাড়ার বিষয়ে তিনি বলেন, চালের দাম কিন্তু কমেছে। এ সময় সাংবাদিকরা বলেন, চালের দাম কেজিপ্রতি ১০ টাকা বাড়লেও কমেছে মাত্র এক টাকা। তখন বাণিজ্য সচিব সুভাশিষ বোস বলেন, বাজারে চালের দাম কমেছে চার টাকা। তবে খুচরা বাজারে একেক ধরনের পণ্যের দাম একেক ধরনের। তাই সব মনিটরিং করা কষ্টসাধ্য।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, হাওড়ে যে বন্যা হয়েছে, তাতে আমাদের উৎপাদন কম হয়েছে। এটা বাস্তব কথা। একটা জিনিস ভালো যে, যেটা বলা উচিত না, যেহেতু মানুষের ক্রয় ক্ষমতা আছে এখন, তাই বাজারে যা চায়, তাই দিয়ে কেনে। তার এই বক্তব্যের প্রেক্ষিতে বিভিন্ন বাজারে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দামের পার্থক্যের তথ্য তুলে ধরে সাংবাদিকরা মন্ত্রীকে প্রশ্ন করতে থাকেন।
জবাবে তোফায়েল বলেন, মোহাম্মদপুর বাজারে যে পণ্যের দাম ১০ টাকা, কারওয়ান বাজারে হয়ত তা ১৫ টাকা। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষে তা নিয়ন্ত্রণ করা ‘সম্ভব না’। তবে প্রত্যেক বিভাগ ও জেলায় জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কার্যক্রম রয়েছে, তারা এসব বিষয় দেখবে।
দ্রব্যমূল্য আরও বাড়বে কি-না, এমন প্রশ্নে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, আশা করি- না। কারণ বাড়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। আমাদের দপ্তরকে নির্দেশ দেওয়া হবে, যাতে কোরবানির ঈদে আরও ভালো করে মনিটরিং করা হয়। মোবাইল কোর্টের বিষয়ে আরও দুই সপ্তাহ সময় পাওয়া গেছে সুপ্রিম কোর্ট থেকে।
এ সময় এক সাংবাদিক মন্ত্রীকে বলেন, রোজার আগে যেদিন তার সঙ্গে ব্যবসায়ীদের মিটিং হয়, সেদিন চিনির কেজি ছিল ৫৪ টাকা। ওই বৈঠকের পর দাম চার টাকা বেড়ে যায়। উত্তর দিতে গিয়ে বাণিজ্য মন্ত্রী হাসতে হাসতেই বলেন, না না, এটাতো খারাপ কথা। আমার সাথেই...। ওই সাংবাদিক তখন বলতে থাকেন, গত এক সপ্তাহে চিনির দামে বেড়েছে ১৪ টাকা। মিল গেটের দাম।
জবাবে মন্ত্রী বলেন, আমার বাসার নিচে একটা মুদি দোকান আছে। আমার ড্রাইভার সেখানে গিয়ে দেখে দাম বেশি। পরে ওরে নিয়া আমি ল্যাভেন্ডারে গেলাম। সেখানে ২০টাকা কম। শেষে মন্ত্রী বলেন, যাই হোক, আমরা খোলামেলা আলোচনা করলাম, আমরা জানতে পারলাম, অ্যান্ড উই উইল টেক প্রোপার অ্যাকশান।
১৯৯৮ ও ২০০৮ সালের বন্যার প্রসঙ্গ তুলে মন্ত্রী বলেন, দশ বছর পর পর আমরা এ রকম একটা বন্যা লক্ষ্য করেছি। আমি অনেকবার মন্ত্রী ছিলাম। সচিবালয়ে এ রকম পানি আমি দেখিনি। আমি এখান থেকে যাওয়ার সময় সিঁড়ি থেকে গাড়িতে উঠেছি। আগামী বছর এগুলো আমাদের এ সমস্যা থাকবে না। অত্যন্ত ভালোভাবে এটার ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যাতে ঢাকা শহরে জলাবদ্ধতা না হয়।
জাপানের নতুন রাষ্ট্রদূত সম্পর্কে তোফায়েল আহমেদ বলেন, তিনি নতুন এসেছেন। কাজ শুরু করেছেন। এটা তার প্রথম সাক্ষাৎ। জাপান আমাদের পুরাতন বন্ধু। তারা চাইলে সে দেশের ব্যবসায়ীদের জন্য একটি স্পেশাল ইকোনোমিক জোন দেওয়া হবে। জাপান তৈরি পোশাক খাতে বিনিয়োগ করতে পারবে কিনা- প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তারা স্পেশাল ইকোনোমিক জোনে পোশাক খাতে বিনিয়োগ করতে পারবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বাণিজ্যমন্ত্রী


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ