Inqilab Logo

বুধবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৪ বৈশাখ ১৪৩১, ০৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

নির্বাচন এলেই সীমান্তে অস্ত্র চোরাচালান বাড়ে -বিজিবি মহাপরিচালক

| প্রকাশের সময় : ৩ আগস্ট, ২০১৭, ১২:০০ এএম

বিশেষ সংবাদদাতা : যেকোনও নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সীমান্তে অস্ত্র চোরাচালান বেড়ে যায়। সামনে নির্বাচন আছে, তাই অস্ত্র চোরাচালান বাড়তে পারে। সাধারণত রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও শিবগঞ্জসহ ঝুঁকিপূর্ণ সীমান্ত এলাকা থেকে অস্ত্র আসে। তবে এসব ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় আমাদের সদস্যরা টহলে রয়েছেন।
গতকাল বুধবার দুপুরে বিজিবি সদর দফতরে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আবুল হোসেন এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, অস্ত্র বেচা-কেনা ব্যবসা। যে ব্যবসায় লাভ বেশি সেই ব্যবসায় মানুষ বেশি ঝুঁকি নেয়। আমাদের বিজিবি সদস্যরা এই চোরাচালান প্রতিরোধে কাজ করে যাচ্ছে। সীমান্ত দিয়ে দেশীয় অস্ত্রও আসে। সেই অস্ত্রও যাতে না আসতে পারে সে বিষয়েও আমরা কাজ করছি। গরু চোরাচালানের বিষয়ে বিজিবি প্রধান বলেন, আমি দায়িত্ব নেয়ার পর এ বিষয়ে গুরুত্ব দিয়ে কাজ করেছি। যেসব করিডোর দিয়ে বৈধভাবে গরু আসে, সেগুলো আমরা চিহ্নিত করেছি। যারা গরু ব্যবসায়ী তাদের সঙ্গে আমরা বসেছি, আলোচনা করেছি। বর্তমানে কোনও ঝামেলা নেই, আমরা রাখালদের সঠিক মজুরি দিতে অনুরোধ করেছি। কোরবানিতে গরুর কোনও সমস্যা হবে না। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সীমান্ত হত্যা কমেছে। তবে এটা সাস্টেন্যাবল না। যেকোনও সময় বাড়তে পারে, আবারও আরও কমতে পারে। এবছর ৯ জন সীমান্ত হত্যার শিকার হয়েছে। আমাদের আশা এটা জিরোতে চলে আসবে। আমরা চাই না একজন মানুষও সীমান্তে খুন হোক। সীমান্ত— হত্যা যৌথভাবে তদন্তের বিষয় থেকে সরে আসার কারণ জানতে চাইলে বিজিবি মহাপরিচালক বলেন, যৌথভাবে তদন্ত করা বিষয়টিতে তাদের (বিএসএফ, ভারত) আইনি বাধ্যবাধকতা আছে। তাই তারা তদন্ত করতে পারছে না। তবে তারা আমাদের তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করছে। আমরা তাদের তথ্য দিচ্ছি, তারাও যেকোনও বিষয় আমাদের তথ্য দিচ্ছেন তদন্তের আদলেই। ইয়াবা ও মাদকের বিষয় তিনি বলেন, মাদকপাচার প্রতিরোধে আমরা কাজ করছি। গডফাদার চিহ্নিত করার কাজ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী করছে। মিয়ানমার সীমান্ত এলাকার রামুতে একটা রিজিয়ন স্থাপনের অনুমতি সরকার দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী সেটা উদ্বোধন করবেন। মিয়ানমারের সঙ্গে আমাদের ২৭১ কিলোমিটার সীমান্তে যৌথবাহিনী করে মাদক অস্ত্র ও মানবপাচারের বিরুদ্ধে কাজ করার উদ্যোগ নিয়েছি। বিজিবিতে আরও ১৫ হাজার জনবল নিয়োগ দেয়া হবে জানিয়ে তিনি বলেন, সম্পূর্ণ সীমান্ত সুরক্ষায় আমরা ৫ কি. মি. পরপর বিওপি স্থাপনসহ প্রয়োজনীয় ব্যাটালিয়ান, সেক্টর ও রিজিয়ন স্থাপন এবং স্পর্শকাতর সীমান্ত এলাকা চিহ্নিত করে ওই সব এলাকার জনপ্রতিনিধি, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও স্থানীয়দের নিয়ে সীমান্ত অপরাধ মোকাবিলা করা হবে। এছাড়া ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের ৯৩৫ কি. মি. এর মধ্যে ২৮৫ কি. মি. রাস্তা ও কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণের প্রস্তাব মন্ত্রণালয় দেয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি। তিনি আরও বলেন, সীমান্তে হেলিকপ্টার টহলের জন্য আমরা কপ্টার কেনার প্রস্তুতি নিয়েছি। এজন্য রাশিয়াতে কথা বলেছি। এম সিরিজের কপ্টার কেনা হবে। আমাদের বিজিবিতে এভিয়েশনের কোনও বিভাগ নেই। কপ্টার চালানোর জন্য বিজিবি বা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কোনও পাইলট নেই, এয়ারফোর্স থেকে নিতে হবে। বিজিবি বর্ডার ট্যুরিজম নামে একটি প্রতিষ্ঠান গঠন করেছে জানিয়ে মহাপরিচালক বলেন, একটি ওয়েবসাইট রয়েছে। এখানে বিজিবির ৪ হাজার ৪২৭ কিলোমিটার বর্ডার সংলগ্ন সব দর্শনীয় স্থানের নাম-ঠিকানা থাকবে। ট্যুর প্যাকেজ দেয়া থাকবে। সেসব জায়গায় যেকেউই নিরাপদে ঘুরতে পারবেন। বিজিবি মহাপরিচালক গত ৭ মাসে দেশের সীমান্ত এলাকাসহ অন্যান্য স্থানে বিজিবি’র অভিযানের সফলতার তথ্য তুলে ধরে জানান, গত ৭ মাসে বিজিবি ৮১৮ কোটি ১৫ লক্ষ ৮৪ হাজার ১৯৯ টাকা মূল্যের বিভিন্ন প্রকারের চোরাচালান ও মাদক দ্রব্য আটক করতে সক্ষম হয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: নির্বাচন

২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ