Inqilab Logo

শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

৫৭ ধারা তুমি কার?

| প্রকাশের সময় : ৩ আগস্ট, ২০১৭, ১২:০০ এএম

স্টালিন সরকার / মালেক মল্লিক : ওবায়দুল কাদের ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। দল ও সরকারের নীতি নির্ধারণীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পরই তাঁর অবস্থান। সবার কাছেই স্পষ্টভাষী-পরিশ্রমী-করিৎকর্মা নেতা হিসেবে পরিচিত। মাঝে মাঝে তাঁর হাটেহাড়ি ভেঙ্গে দেয়া কথাবার্তায় দল ও সরকারের ভিতরে থাকা সুযোগ সন্ধানীরা বিক্ষুব্ধ হলেও পরিস্থিতির সার্বিক চিত্র উঠে আসায় মিডিয়াকর্মী-সাধারণ মানুষ খুশিই হয়। ক্ষমতাসীন দলের এই দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি তথ্য-প্রযুক্তি আইন-২০১৩ এর ৫৭ ধারার অপব্যবহার নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে গতকাল বলেছেন, ‘আমি মনে করি ৫৭ ধারার অপপ্রয়োগ ঠেকাতে মাননীয় তথ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ করা উচিত।
ছাগল মরার ঘটনায় ফেসবুকে শেয়ারের মামলা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তুচ্ছ কারণে হুট করে একটা মামলা ঠুকে দেয়া, এটা সঠিক নয়’। ক্ষমতাসীন দলের প্রভাবশালী এবং দায়িত্বশীল এই নেতা যখন ৫৭ ধারার অপপ্রয়োগ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন; তখন বুঝতে বাকী থাকে না ‘৫৭ ধারার ভয়াবহতা’ এখন কোন পর্যায়ে। যুগে যুগে মিডিয়ার কণ্ঠরোধের চেষ্টা হয়েছে; স্বৈরশাসকরা নিজেদের অপকর্মের প্রকাশ ঠেকাতে আইনের বেড়াজালে সে চেষ্টা করেছেন। কিন্তু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ও গোপনীয়তা নিশ্চিত করার নামে তথ্য-প্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারার যে ব্যবহার হচ্ছে; তা সর্বমহলে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে।
প্রধান তথ্য কমিশনার অধ্যাপক গোলাম রহমান, মানবাধিকার কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান, প্রবীণ সাংবাদিক গবেষক আফসান চৌধুরী, মিডিয়া ব্যক্তিত্ব মনজুরুল আহসান বুলবুল, মিডিয়া ব্যক্তিত্ব এম এ আজিজ, সাংবাদিক নেতা কবি আবদুল হাই সিকদার, সাংবাদিক নেতা শাবান মাহমুদ, আইনজীবী ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়–য়া, সংবিধান বিশেষজ্ঞ অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন ৫৭ ধারার অপব্যবহারের চিত্রে উদ্বেগ প্রকাশ করে ধারাটি বাতিলের দাবি জানিয়েছেন। ইনকিলাবের কাছে দেয়া তাদের বক্তব্যের নিরিখেই প্রশ্ন আসে আওয়ামী লীগের মতো উদার গণতান্ত্রিক এবং মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দেয়া গণমানুষের রাজনৈতিক দলের শাসনামলে এ ধরনের নিপীড়নমূলক আইন কি কল্পনা করা যায়?
তথ্য-প্রযুক্তি আইন-২০১৩ এর ৫৭ ধারা বাতিলের দাবিতে কার্যত জাতীয় ঐক্য প্রতিষ্ঠা হয়েছে। মিডিয়াকর্মীদের পাশাপাশি দেশের সাধারণ মানুষ, বুদ্ধিজীবী, সুশীল সমাজ, মানবাধিকারকর্মী, সংবিধান বিশেষজ্ঞ, রাজনৈতিকগুলো এ ধারা বাতিলের দাবি করছেন। এমনকি ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের অনেক নেতা এবং মন্ত্রিসভার অনেক সদস্য এ আইন বাতিলের পক্ষ্যে। গণবিচ্ছিন্ন ও জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন কিছু নেতা এ আইনের প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরে ‘তথ্য-প্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারা’ রাষ্ট্রের রক্ষাকবচ দাবি করলেও অধিকাংশ নেতাই ধারাটি দল ও সরকারের ভাবমর্যাদা ক্ষতিগ্রস্ত করছে বলে মনে করছেন। রাজনৈতিক বিভাজনের কারণেই দেশের সাংবাদিকদের স্বার্থ সংরক্ষণকারী সংগঠনগুলো দুই ধারায় বিভক্ত। কেউ আওয়ামী লীগ পন্থী কেউ বিএনপি পন্থী। আদর্শ ও দর্শনগত কারণেই তাদের মতভেদ এতো বিস্তর যে কেউ উত্তর দিকে গেলে অন্য পক্ষ হন দক্ষিণমুখী। কিন্তু এই ৫৭ ধারা বাতিলের দাবিতে সবাই ঐক্যবদ্ধ। প্রিন্ট মিডিয়া ও ইলেকক্টোনিক্স মিডিয়ার মালিক-সম্পাদক-সাংবাদিক-সংবাদকর্মী সকলেই ৫৭ ধারা বাতিলের দাবিতে সোচ্চার। দেশের সংবিধান বিশেষজ্ঞরাও এই ধারা বাতিলের দাবি জানাচ্ছেন। তাদের বক্তব্য হলো তথ্য-প্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারা সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। সংবিধানের ৩৯ (২)-এর ‘ক’ ধারা নাগরিকের বাক ও ভাব প্রকাশের যে স্বাধীনতার অধিকার দিয়েছে; তথ্য-প্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারা নাগরিকের সে অধিকার খর্ব করেছে।
তথ্য-প্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারায় যখন একের পর এক সাংবাদিক নির্যাতিত হতে থাকে; তখন সর্বমহল থেকে আইনের এই ধারাটি বাতিলের দাবি ওঠে। এ অবস্থায় গত মে মাসে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, ‘আইসিটি আইনের বহুল আলোচিত ও সমালোচিত ৫৭ ধারা থাকবে না। অনলাইনে প্রকাশিত সংবাদের ক্ষেত্রে এ ধারা প্রযোজ্য হবে না। জামিন অযোগ্য ৫৭ ধারায় সাংবাদিকদের আর গ্রেফতার করা হবে না। নতুন ডিজিটাল আইন প্রণয়ন করা হচ্ছে। সরকার বাকস্বাধীনতায় বিশ্বাস করে।’ দুঃখজনক হলো আইনমন্ত্রীর এ বক্তব্যের পরও আইনটি বাতিল দূরের কথা অপব্যবহার বাড়ছে। বর্তমানে মিডিয়াকর্মীদের মধ্যে আতঙ্কের নাম ৫৭ ধারা। এ প্রসঙ্গে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে প্রধান তথ্য কমিশনার অধ্যাপক গোলাম রহমান বলেন, আমি ব্যক্তিগতভাবে তথ্য-প্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারা প্রত্যাহারের পক্ষে। এই আইন করা হয়েছিল মানুষ যেন নিরাপদে তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহার করতে পারে। কিন্তু আইনটি করার সময় প্রণয়নকারীরা অতি আবেগপ্রবণ হয়ে ধারাটিকে জামিন অযোগ্য করেছেন। অতিরিক্ত রূঢ় হওয়ার জন্য এটির অপব্যবহারও হচ্ছে। মানবাধিকার কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান বলেন, যে আইন হোক না কেন সে আইনের প্রতিটি শব্দের ব্যাখ্যা থাকা দরকার। না থাকলে আইন প্রয়োগকারীদের মধ্যে সুযোগসন্ধানীরা আইনের প্রয়োগের চেয়ে বেশি অপপ্রয়োগ করে। এ কারণে তথ্য-প্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারায় যে দুর্বলতা আছে, সেগুলো দ্রুত শোধরানো দরকার। বিবিসি খ্যাত প্রবীণ সাংবাদিক গবেষক আফসান চৌধুরী বলেন, তথ্য-প্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারা যেমন আতঙ্কের; তেমনি ধারাটির অপপ্রয়োগ নিয়ে হাস্যরসের সৃষ্টি হয়েছে। এ ধারায় যারা মানহানির মামলা করেন; মামলার মাধ্যমে তাদের মান বাড়ে না কমে সেটা বিরাট প্রশ্ন। এ ধারাটি যেভাবে অপপ্রয়োগ হচ্ছে তা সত্যিই মিডিয়ার জন্য আতঙ্কের। সরকারও এই ৫৭ ধারা ব্যবহার করে লাভবানের বদলে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এ ধারা সরকারের ইমেজ ক্ষুণœ করছে। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সমর্থিত বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মিডিয়া ব্যক্তিত্ব মনজুরুল আহসান বুলবুল বলেন, অপরাধ দমন বিভিন্ন আইন থাকবে। এটাই স্বাভাবিক বিষয়। তবে এমন কোন আইন করা ঠিক না যা সাংবাদিকদের জন্য হুমকি হয়। তথ্য-প্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারা বাতিল হওয়া করা উচিত। বিএনপি সমর্থিত বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন সাবেক মহাসচিব মিডিয়া ব্যক্তিত্ব এম এ আজিজ বলেন, এই আইনটির কোন প্রয়োজন নেই। কারণ মানহানি, ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতসহ অন্যন্য বিষয়ের জন্য আলাদা আলাদা আইন আছে। এটা দ্রুত সময়ের মধ্যে বাতিল করা দাবি জানাচ্ছি। সাংবাদিকরা সমাজের বাইরে নয়, তারা অপরাধ করলে তাদের প্রচলিত আইনে বিচার হবে সমস্যা নেই। তবে কোন প্রমাণ ছাড়াই, তদন্ত না করে গ্রেফতার তো মেনে নেয়া যায় না। অপরাধ করলে সমন জারি হবে এরপর আদালতে জড়তিদের বিরুদ্ধে তথ্য প্রমাণ সত্য হলে জেলে যাবে। কিন্তু কোন তদন্ত নেই, মামলা হলে গ্রেফতার হবে এরপর জেলে পাঠাবে কেন। সাংবাদিকদের নিয়ে প্রত্যেকটি আইন সংবাদ প্রকাশে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছে। আমরা বহু দিন যাবত বিভিন্নভাবে ১৯৭৪ সালের অ্যাক্টটিও পুনরুজ্জীবিত করার দাবি জানিয়ে আসছি। কিন্তু সরকার এ নিয়ে কোন উদ্যোগ নেয়নি।
ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএনপি পন্থী) সভাপতি নজরুল গবেষক কবি আব্দুল হাই শিকদার বলেন, আইনটির প্রয়োগ অপপ্রয়োগ চেয়ে বড় কথা হল এটা সুস্পষ্ট ব্যক্তি গণমাধ্যমের, ব্যক্তির ও মত প্রকাশের স্বাধীনতার পরিপন্থী একটি আইন। জনগণের দ্বারা নির্বাচিত কোন সরকার এধরনের একটি অসভ্য বর্বর ও আইন প্রণয়ন করতে পারে না। অবিলেম্বে এই কালো আইনটি বাতিল করতে হবে। যদি বর্তমান সরকার এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী আইনটি বাতিল না করেন আগামীতে জনগণের ভোটের নির্বাচিত সরকার এসে এই আইনের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের আদালতের কাঠ গড়ার তুলে বিচারের ব্যবস্থা করবে। তথ্য-প্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারা মুক্তিযুদ্ধ চেতনা এবং আমাদের সংবিধান বিরোধী আইন। এটা বাংলাদেশের সভ্যতা, সংস্কৃতি বিবর্জিত একটি নিষ্ঠুর আইন। এটা কোন মতেই মেনে নেয়া যায় না। আইনটির অপপ্রয়োগ বন্ধে সংশোধনের কথা অন্তঃসারশূন্য বক্তব্য। ব্যাখ্যা বিশ্লেষণের প্রয়োজন নেই্। এটা বাতিল করতে হবে। তথ্যমন্ত্রী বর্তমান সরকারের উপর চেপে বসে দেশের সংবিধান বিরোধী আইন করা নিয়ে নানাভাবে চেষ্টা চালাচ্ছেন। অবিলম্বে এই অযোগ্য ও অপদার্থ মন্ত্রী অপসারণ করারও দাবি জানাচ্ছি। যিনি গণমাধ্যমে স্বাধীনতা বিরোধী একজন ব্যক্তি। ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (আওয়ামী লীগ পন্থী) সভাপতি শাবান মাহমুদ বলেন, সম্প্রতি সময়ে তথ্য-প্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারার অপপ্রয়োগ যেভাবে শুরু হয়েছে, তা দেখে মনে হচ্ছে শুধুমাত্র গণমাধ্যমের জন্য নয় বরং সমস্ত জাতির জন্য ধারাটি উদ্বেগজনক। বিষয়টি উপলব্ধি করে সম্প্রতি মন্ত্রী সভাও কয়েকজন সিনিয়র মন্ত্রী এই ধারার মাধ্যমে সাংবাদিকদের হরয়ানি বিষয়টি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে তুলে ধরেছেন। ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের নেতা হিসেবে আমি মনে করি এই ধারার মাধ্যমে ঢাকাসহ সারাদেশে নিরপরাধ অনেক সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মামলা হচ্ছে। যা সাংবাদিকদের মত প্রকাশের স্বাধীনতার হরণ করার সামিল। আমাদের সংবিধানে সাংবাদিকসহ দেশের প্রত্যেকটি নাগরিক মুক্তভাবে মত প্রকাশের স্বাধীনতা রয়েছে। কিন্তু ৫৭ ধারা কারণে তা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। তাই আমরা এই কালো আইনটি বাতিলের দাবি জানাচ্ছি। সাংবাদিক সমাজ আইনটি বাতিলের আন্দোলন করে যাচ্ছি। যত দিন পর্যন্ত আইনটি বাতিল না করা হবে তত দিন আমাদের আন্দোলন কর্মসূটি অব্যাহত থাকবে। যদি কেউ হলুদ সাংবাদিকতা করেন তাহলে প্রচলিত আইনে বিচার হবে এ নিয়ে আমাদের কোন বক্তব্য নেই। ৫৭ ধারা বাতিল চেয়ে রিট আবেদনকারীর আইনজীবী ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়–য়া বলেন, আইনটি করা হয় মূলত মানুষের মত প্রকাশের স্বাধীন তাকে হনন করার উদ্দেশ্যে। আমি শুরু থেকে এই আইনটির বাতিলের দাবি জানি আসছি। কারণ আমাদের সংবিধানেও নাগরিকদের মত প্রকাশের স্বাধীনতা দিয়েছেন। এখন তাহলে আবার ৫৭ ধারা কেন। এ ধারাটি সর্বমহলের ব্যক্তি স্বাধীনতা খর্ব করেছেন। সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, আইনটি সাংবাদিক, শিক্ষক, বুদ্ধিজীবী ও সাধারণ মানুষের বাক-স্বাধীনতা খর্ব করা হয়েছে। এটি দেশের গণতন্ত্র ও বাকস্বাধীনতার জন্য হুমকিস্বরূপ। ৫৭ ধারা সাংবাদিকদের কণ্ঠরোধ করা একটি হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে। সাংবাদিকের সংবাদের যে কোন অংশ নিয়ে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ৫৭ ধারা মামলা করতে পারেন। এতে করে সাংবাদিকরা সংবাদ প্রকাশে ইতস্তবোধ করেন। এইভাবে স্বাধীন গণমাধ্যমের অধিকার খর্ব করা হচ্ছে। এর কারণে সবাই এ আইনটির বাতিলের দাবি জানিয়েছে আসছে। ৫৭ ধারা বাতিলের দাবি করছে অ্যাটকো, সংবাদপত্র মালিকদের সংগঠন নিউজপেপার ওনারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (নোয়াব), সম্পাদক পরিষদ, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের দুই গ্রুপ, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি, রেডিও-টিভির সর্বস্তরের সাংবাদিক, আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতা, মন্ত্রিসভার সদস্য, বুদ্ধিজীবী, সুশীল সমাজ, আইনজীবী, সংবিধান বিশেষজ্ঞরা। সরকারের নতুন নতুন আইন প্রণয়নে যিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন সেই আইনমন্ত্রী নিজেও নিবর্তনমূলক আইনটি না রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। সরকারের দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ওবায়দুল কাদেরও আইনটির অপব্যবহার নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। প্রশ্ন হলো কার স্বার্থে তথ্য-প্রযুক্তি আইনের বিতর্কিত ওই ধারাটি এখনো রাখা হয়েছে? ৫৭ ধারা তুমি কার স্বার্থ রক্ষা করছো?



 

Show all comments
  • মামুন ৩ আগস্ট, ২০১৭, ২:১২ এএম says : 0
    ক্ষমতাসীনদের
    Total Reply(0) Reply
  • সুমন শাহা ৩ আগস্ট, ২০১৭, ২:১৩ এএম says : 0
    ৫৭ ধারাকে ব্যবহার করে প্রতিদিন গণমাধ্যমের নেতা ও সাংবাদিকদের ওপর আক্রমণ করা হচ্ছে, গ্রেফতার করা হচ্ছে, জেলে পাঠানো হচ্ছে। এর একটা সমাধান হওয়া জরুরী
    Total Reply(0) Reply
  • Murad ৩ আগস্ট, ২০১৭, ১২:০৯ পিএম says : 0
    ৫৭ ধারা সাংবাদিকদের কণ্ঠরোধ করা একটি হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে।
    Total Reply(0) Reply
  • kamal ৩ আগস্ট, ২০১৭, ১২:১০ পিএম says : 0
    Thanks to daily inqilab for this news
    Total Reply(0) Reply
  • শরীফ ৩ আগস্ট, ২০১৭, ১২:১১ পিএম says : 0
    সরকার কী এগুলেঅ দেখে না এগুলো বুঝে না ? নাকি দেখেও না দেখার ভান করছে ?
    Total Reply(0) Reply
  • শামীম ৩ আগস্ট, ২০১৭, ১২:১২ পিএম says : 0
    সরকারের কাছে অনুরোধ দয়া করা এই ধারাটি বাতিল করুন।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ