Inqilab Logo

শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ফিলিং স্টেশন বন্ধের জের চৌদ্দগ্রামে গ্যাস সঙ্কটে সিএনজি চালকরা

| প্রকাশের সময় : ৩ আগস্ট, ২০১৭, ১২:০০ এএম

মো ঃ আকতারুজ্জামান চৌদ্দগ্রাম থেকে ঃ একদিকে মালিক জমা, অন্যদিকে পৌরসভাসহ বিভিন্ন ধার্য্য পুরণে যখন দিশেহারা সিএনজি চালিত অটোরিক্সা চালকরা তখনই আরেক ভোগান্তির সম্মুখিন চৌদ্দগ্রাম উপজেলার হাজারো সিএনজি চালক। ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কের উপজেলা সদর অংশের সিএনজি গ্যাস পাম্পগুলো বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি (বিজিডিসিএল) কর্তৃক বন্ধ ঘোষিত হওয়ার পর থেকেই উপজেলা সদর এবং দক্ষিণ অংশের সিএনজি চালকরা ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখিন হয়। এর মধ্যে কালিরবাজারের এমএ খালেক সিএনজি ফিলিং ষ্টেশন, আমজাদের বাজারের চিওড়া ফিলিং ষ্টেশন ২টি চলতি বছরের ৬ এপ্রিল বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ এনে বন্ধ করে দেয় বাখরাবাদ কর্তৃপক্ষ।
উপজেলা সদরের অধিকাংশ সিএনজি ফিলিং ষ্টেশন বন্ধ হওয়ায় বর্তমানে সিএনজি চালকরা গ্যাস নিচ্ছেন ফেণী সংলগ্ন ভাজনকরার প্রিমিয়াম ও কাইচ্ছুটির ইউনিভার্সেল সিএনজি ফিলিং ষ্টেশন থেকে। এর মধ্যে জগন্নাথের ভূইয়া এন্ড সন্স রানিং থাকলেও এখানে গ্যাসের প্রেসার কম থাকায় চালকরা বাধ্য হয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ছুটে যায় ফেনী সংলগ্ন এসব পাম্পে। প্রশাসন নির্ধারিত সকাল ৬-৮ টার মধ্যে গ্যাস নেওয়ার বাধ্যবাধকতার কারনে নির্দিষ্ট সময়ে গ্যাস নেওয়ার তাগিতে অনেক সময় দুর্ঘটনায় পতিত হচ্ছে চালকরা। ইতিপূর্বে বেশ কয়েকটি সিএনজি গাড়ি দুর্ঘটনায় আহত এবং নিহত হওয়ার ঘটনাও ঘটেছে। সর্বশেষ গত ২৩ জুলাই রবিবার সকালে মহাসড়কের বাতিসা এলাকায় একটি ট্রাকের ধাক্কায় সিএনজিতে থাকা এক মহিলা নিহত হয়। আহত হয় চালকসহ বাকী যাত্রী।
অনেক সময় ভাজনকরা ও কাইচ্ছুটি পাম্পে নির্দিষ্ট সময়ে বড় বাস ও কন্টেইনার সিরিয়ালে থাকলে সময়ের তাগিতে গ্যাসের জন্য ছুটে যেতে হয় ফেনীর মোহাম্মদ আলী কিংবা ষ্টার লাইন পাম্পে। গ্যাস নিয়ে ফেনী থেকে চৌদ্দগ্রাম আসার পথেই চলে যায় প্রায় ৭০-৮০ পয়েন্ট। ভাজনকরা কিংবা কাইচ্ছুটি থেকেও চৌদ্দগ্রাম লাকসাম সিএনজি ষ্ট্যানে আসাতে গ্যাস চলে যায় প্রায় ৪০ পয়েন্ট। এক্ষেত্রে দিনের অর্ধেক সময় পার করেই আবার জীবিকা ও মালিক জমা পুরনের টার্গেটে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে অনেক চালক দুপুরে কিংবা বিকেলেই গ্যাসের জন্য ছুটে যায় এসব পাম্পে। চৌদ্দগ্রাম লাকসাম সড়কের মোঃ রিয়াদ নামের এক সিএনজি চালক দু:খ ভরাক্রান্ত মনে বলেন, প্রশাসন নির্ধারিত সময়ে গ্যাস আনাতে তারাহুড়া করতে গিয়ে অনেক সময় দুর্ঘটনার আশংকা দেখা দেয়। আশেপাশের সকল পাম্প বন্ধ থাকায় ফেনীর কাছাকাছি থেকে গ্যাস আনতে গিয়ে দেখা যায় পথেই এক তৃতীয়াংশ গ্যাস শেষ হয়ে যায়।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ