Inqilab Logo

মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৩ বৈশাখ ১৪৩১, ০৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

কলারোয়ার চান্দুড়িয়া গাড়ালবাড়ি ফেনসিডিল পাচারের স্বর্গরাজ্য

| প্রকাশের সময় : ৩ আগস্ট, ২০১৭, ১২:০০ এএম

কলারোয়া (সাতক্ষীরা) উপজেলা সংবাদদাতা: ব্যাপক কড়াকড়ির মধ্যে কলারোয়ার চান্দুড়িয়া গাড়ালবাড়ি সীমান্ত দিয়ে হাজার হাজার বোতল ফেনসিডিল পাচারের হয়ে আসছে। সরেজমিনে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কতিপয় ব্যক্তি জানায়, চোরাচালান, নারী ও শিশু পাচর এবং অনুপ্রবেশ রোধে কলারোয়া সীমান্তে রাত ৯ টার পরে দোকানপাট বন্ধ এবং রাস্তাঘাটে মানুষ চলাচলে কঠোর বিধি নিষেধ আরোপ করা হয়েছে। কিন্তু রাতে রাস্তাঘাট জনমানব শূন্য হওযার সুযোগে গাড়ালবাড়ি সীমান্তে নিরবে নিভৃতে চোরাচালানের ঢল নামছে। গাড়ালবাড়ি কলারোয়ার উত্তর পশ্চিম সীমান্তে চান্দুড়িয়া গ্রামের ইছামতি নদীর তীরে অবস্থিত। সাতক্ষীরা জেলার এবং যশোর জেলার সংযোগ স্থলে কলারোয়ার চান্দুড়িয়া সীমান্তের গাড়ালবাড়ি ঘাটের অবস্থান। কলারোয়া উপজেলা সীমান্তে কড়াকড়ি আরোপ হলে গাড়ালবাড়ি ঘাট কয়েক গজ উত্তরে সরায়ে শার্শা উপজেলার ভিতরে নিয়ে যাওয়া হয়। আবার শার্শা সীমান্তে কড়াকড়ি আরোপ হলে ঘাট কয়েক গজ দক্ষিণে সরায়ে কলারোয়া এলাকায় নিয়ে আসা হয়। ফলে গাড়ালবাড়ি ঘাট দিয়ে চোরাচালান কোন সময় বন্ধ হয় না। বরং গাড়ালবাড়ি দক্ষিণপশ্চিম সীমান্তে ফেনসিডিল চোরচালানের স্বর্গরাজ্যে পরিণত হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী চান্দুড়িয়া ইছমতি নদী তীরের অধিবাসি নজু সহ কয়েক ব্যক্তি জানায়, রাত ৯ টার পরে বিজিবি’র পক্ষ থেকে দোকান পাট বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। বাড়ি থেকে লোকজন বের হতে বা রাস্তা ঘাটে চলাচল করতে কঠোর ভাবে বিধি নিষেধ আরোপ করা হয়েছে। ফলে রাত ৯ টার পরে রাস্তাঘাট জনমানব শূন্য হয়ে পড়ে। আর রাত ১০ টার পরে বাংলাদেশ থেকে কখনো ঝাকে ঝাকে লেবার ইলিশ মাছের কার্টুন নিয়ে, কখনো তেলাপিয়া পাঙ্গাস মাছের পোনার কণ্টেনার নিয়ে ইছামতি নদীর ঘাটের দিকে যেতে দেখা যায়। কখনো আবার ঝাকে ঝাকে মানুষ খালি হাতে নদী তীরের দিকে ছুটতে দেখা যায়। কিছুক্ষণ পরে বস্তা বা কার্টুনে ভরে ফেনসিডিল নিয়ে ফিরে আসতে দেখা যায়। জনৈক আজগর ও ইশারুল এই সীমান্তের পাচার কাজের যাবতীয় তত্ববধান করে। যশোরের শার্শা উপজেলার কায়বা গ্রামের কাশেমের পুত্র নাসিরের নেতৃত্বে এই মাছ পাচার, ফেনসিডিল পাচার করে যাচ্ছে বলে একাধিক সূত্র জানায়। নাসির প্রায় ৪০ বছর যাবত এই সীমান্তে দাপটের সংগে চোরাচালান ঘাট পরিচালনা করে সুরম্য অট্টালিকা বিপুল সহায় সম্পদসহ কোটি কোটি টাকার মালিক হয়ে চোরাচালানের গডফাদার বনে গেছে। বর্তমানে গডফদার নাসির মাড়োয়ারী ব্যবসায়ীদের নির্দেশনা মোতাবেক যাবতীয় ভারতীয় পণ্য অবৈধভাবে বাংলাদেশের ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালীসহ বিভিন্ন স্থানে পৌছে দেওয়া ছাড়াও চাহিদামত ফেনসিডিল সরবরাহের কাজ করে থাকে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ