Inqilab Logo

মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৩ বৈশাখ ১৪৩১, ০৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ইসরাইলে আল জাজিরার স¤প্রচার বন্ধ হচ্ছে

| প্রকাশের সময় : ৮ আগস্ট, ২০১৭, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : ইসরাইলে কাতারভিত্তিক স¤প্রচার মাধ্যম আল জাজিরা’র প্রচার বন্ধের পরিকল্পনা করেছে দেশটির কর্তৃপক্ষ। ইসরাইলের যোগাযোগ মন্ত্রী আইয়ুব কারা এক ঘোষণায় চ্যানেলটির বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে বলেছেন, আল জাজিরা সন্ত্রাসবাদকে সমর্থন করে। জেরুজালেমে এর আরবি ও ইংরেজি শাখার সব স¤প্রচার বন্ধ করে দেয়া হবে। এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, আল-জাজিরা’র সাংবাদিকদের ক্রেডেনশিয়াল বাতিল করা হবে এবং চ্যানেলটির জেরুজালেম অফিস বন্ধ করে দেওয়া হবে। এর আগে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু আল-জাজিরা বন্ধের হুমকি দিয়ে বলেছিলেন, এই স¤প্রচার মাধ্যমটি ‘উস্কানিমূলক খবর’ প্রকাশ করে। আল জাজিরা কর্তৃপক্ষ এই সিদ্ধান্তের নিন্দা জানিয়েছে।
সন্ত্রাসবাদে মদদ দেয়ার অভিযোগে কাতারের সঙ্গে কয়েকটি আরব দেশ কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করার পর তারা কাতারভিত্তিক আল জাজিরা টেলিভিশন চ্যানেলটিও বন্ধ করে দেয়। ইসরাইলের সরকার বলছে, সুন্নী আরব দেশগুলোর আল-জাজিরার স¤প্রচার বন্ধের সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা।
সংবাদ সম্মেলনে যোগাযোগ মন্ত্রী মি: কারা জানিয়েছেন, ক্যাবল টিভি মালিকরা চ্যানেলটি বন্ধে তাদের সহায়তা করবেন, তবে জেরুজালেমে আল জাজিরার স¤প্রচার বন্ধের জন্য আরো কিছু কাজ করতে হবে।
‘দায়েশ (ইসলামিক স্টেট জঙ্গি গোষ্ঠী, হামাস, হিজবুল্লাহ এবং ইরানের কর্মকাÐের প্রধান মাধ্যম হয়ে উঠেছে আল জাজিরা। ফলে এর স্যাটেলাইট স¤প্রচার বন্ধ করতে হবে’ -সংবাদ সম্মেলনে বলেন ইসরাইলের যোগাযোগমন্ত্রী।
এমন ঘোষণার পর মি: নেতানিয়াহু মি: কারাকে শুভেচ্ছা জানিয়ে একটি টুইট করেন, ‘আল জাজিরার উস্কানিমূলক কর্মকান্ড বন্ধের জন্য আমার নির্দেশাবলী মেনে যিনি সঠিক ও শক্ত পদক্ষেপ নিয়েছেন‘।
কাতারের রাজধানী দোহায় কর্মরত আল জাজিরা›র একজন কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন ‘মধ্যপ্রাচ্যের এমন একটি দেশ থেকে এই ঘোষণা এলো যাদের কিনা এ অঞ্চলের একমাত্র গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে গণ্য করা হয়। কিন্তু তারা যা করছে তা বিপদজনকঙ।
স¤প্রতি জেরুজালেমের পবিত্র স্থান টেম্পল মাউন্ট বা হারাম-আল-শরিফকে ঘিরে যে সংকট তৈরি হয়েছিল সেখানে সহিংসতা ছড়াতে আল জাজিরা উস্কানি দিয়েছে- এমন অভিযোগ করেছিলেম ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।
জেরুজালেমে ওই পবিত্র এলাকায় এক হামলায় দুজন ইসরাইলি পুলিশ নিহত হবার পর ইসরাইল কর্তৃপক্ষ হারাম-আল-শরীফ এলাকায় মেটাল ডিটেক্টর বসিয়ে নিরাপত্তা জোরদার করে। নিরাপত্তা বেষ্টনী বসানোকে কেন্দ্র করে সহিংস পরিস্থিতি তৈরি হয়। তুমুল বিক্ষোভ সহিংসতার পর পর্যায়ে আল-আকসা মসজিদ প্রাঙ্গন থেকে মেটাল ডিটেক্টর সরিয়ে নেয় ইসরাইল।
জুলাই মাসের শেষ দিকে ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, আল জাজিরা জেরুজালেমের উত্তেজনা নিয়ে স্পর্শকাতর সংবাদ প্রকাশ করছে এবং সেখানে তিনি চ্যানেলটির স¤প্রচার বন্ধ করতে চানগ্ধ। যদিও আল জাজিরা বলেছে, তারা ‘প্রফেশনাল’ এবং সবসময় ‘সত্য ও বিষয়ভিত্তিক খবর প্রচার করে’।
জেরুজালেমে আল জাজিরা নেটওয়ার্কের সম্পাদক এক প্রতিক্রিয়ায় বলেছিলেন, ‘মি: নেতানিয়াহুর এমন মন্তব্য তার মিত্র আরব দেশগুলোর মতোই বিদ্বেষপূর্ণ ও শত্রুতাপূর্ণ এবং সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতার ওপর চরম হস্তক্ষেপ’। সূত্র : বিবিসি



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ