Inqilab Logo

শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

দুই গাম্বিয়ানে জামালের স্বস্তি

| প্রকাশের সময় : ৯ আগস্ট, ২০১৭, ১২:০০ এএম

স্পোর্টস রিপোর্টার : ঘরোয়া ফুটবলের মর্যাদাপূর্ণ আসর বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) এগিয়ে যাবার লড়াইয়ে দুই গাম্বিয়ানে জয় হলো শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের। গতকাল বিকালে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে লিগের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে তারা মুখোমুখি হয় শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্রের। ম্যাচে শেষ মুহূর্তের গোলে শেখ জামাল ২-১ ব্যবধানে হারায় শেখ রাসেলকে।
ঘরোয়া আসরে মোহামেডান-আবাহনীর মতোই আরেক চিরপ্রতিদ্ব›দ্বী হয়ে দাড়িয়েছে জামাল ও রাসেল। এ দু’দল যখন মুখোমুখি হয় তখন ম্যাচটি হয়ে ওঠে হাইভোল্টেজ। কাল বৃষ্টি না হওয়ায় রোদ্রজ্জ্বল আবহাওয়ায় বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে মাঠ ছিলো চমৎকার। ফলে দু’দলই শুরু থেকে গতিময় ফুটবল উপহার দেয়। আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণে খেলা চললেও বল দখলের লড়াইয়ে অপেক্ষাকৃত এগিয়ে ছিলো শেখ জামাল। যার ফল তারা পায় খুব শিঘ্রই। ম্যাচের বয়স যখন মাত্র ৮ মিনিট তখনি এগিয়ে যায় শেখ জামাল। এসময় কর্ণার থেকে দারুণ নৈপুন্যে বক্সে বল ফেলেন জামালের অভিজ্ঞ ফরোয়ার্ড এনামুল হক। দুর্দান্ত হেডে তা জালে জড়ান গামবিয়ান ফরোয়ার্ড মামাদৌ বাহ (১-০)। এগিয়ে যাবার পর দ্বিতীয় গোল পেতে মরিয়া হয়েই লড়ে শেখ জামাল। সুযোগও আসে তাদের সামনে। কিন্তু ম্যাচের ১৭ মিনিটে তা নষ্ট করেন জোসেফ আফুসির শিষ্যরা। এসময় রাসেলের বক্সের বাইরে বামপ্রান্ত থেকে এনামুলের বাকানো ফ্রি-কিক অল্পের জন্য খুঁজে পায়নি জালের ঠিকানা। ২২ মিনিটে এনামুলের বাড়িয়ে দেয়া বল বক্সে পান নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ড রাফায়েল। কিন্তু গোলরক্ষক জিয়াউর রহমানকে কাটিয়ে পোস্টের কাছে পৌছে গিয়েও শট বাইরে মারেন তিনি। ৩৪ মিনিটে জামালের গাম্বিয়ান ফরোয়ার্ড দাওদা সিসে বল নিয়ে ঢুকে পড়েন রাসেলের বক্সে। তাকে দুই দিক থেকে চেপে ধরেন প্রতিপক্ষ দলের দুই ডিফেন্ডার। বিশেষ করে দিদারুলের নিখুঁত মার্কিংয়ের কারণে শেষ পর্যন্ত গোল পাননি দাওদা।
৩৬ মিনিটে শেখ জামালের গোলরক্ষক মিতুল হোসেন পোস্ট ছেড়ে বক্সের বাইরে এসে হাত দিয়ে বল ক্লিয়ার করতে যান। হ্যান্ডবলের কারণে তাকে হলুদ কার্ড দেখান রেফারী আজাদ রহমান। ফ্রি-কিক পায় শেখ রাসেল। দাউদা সিসের ফ্রি-কিকের বল বক্সে পেয়ে উত্তম কুমার বনিক শট নিলে তা বাইরে চলে যায়। পরের মিনিটেই স্বস্তি ফিরে রাসেল শিবিরে। ম্যাচের ৩৭ মিনিটে দুই ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে রাসেলের মিডফিল্ডার খালেকুরজামান সবুজ পেনাল্টি বক্সের বাইরে থেকে কোনাকোনি শটে গোল করে ম্যাচে সমতা আনেন (১-১)। অমিমাংসিতভাবে প্রথমার্ধ শেষ হলেও দ্বিতীয়ার্ধেও আক্রমণের ধার বজায় রাখে শেখ জামাল। আক্রমণের কেন্দ্রবিন্দুতে ছিলেন এনামুল। তিনি প্লে-মেকারের ভুমিকায় অবতীর্ণ হন এই ম্যাচে। ৫৫ মিনিটে আবারও সুযোগ পায় বিজয়ী দল। এসময় ডানপায়ে ক্রস করেন এনামুল। কিন্তু বক্সে বল পেয়েও সুযোগটা কাজে লাগাতে পারেননি নাইজেরিয়ান রাফায়েল। ৭০ মিনিটে রাসেল ডিফেন্ডার আতিকুর রহমান মিশু বল নিয়ে জামালের বক্সে ঢুকতে গেলে তাকে অবৈধভাবে বাধা দেন দিদারুল। ফ্রি-কিক পায় শেখ রাসেল। কিন্তু সুযোগ কাজে লাগাতে ব্যর্থ হয় মানিকের শিষ্যরা। ৭৫ মিনিটে রাসেল বক্সের খুব কাছ থেকে পোস্ট লক্ষ্য করে শট নেন দাউদা সিসে। কিন্তু তার শট চলে যায় বারের অনেক উপর দিয়ে। একের পর এক সুযোগ যখন নষ্ট নষ্ট করে যখন হতাশা নিমজ্জিত জামাল শিবির তখনই গোলের দেখা পায় তারা। ম্যাচের যোগকরা সময়ে (৯০+২) রাসেল বক্সে সতীর্থের কাছ থেকে বল পান জামালের গাম্বিয়ান ফরোয়ার্ড সলোমন কিং। চলন্ত বলে বাম পায়ের গড়ানো শটে গোল করে তিনি দলকে আনন্দে ভাসান (২-১)। একই ভেন্যুতে সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে রহমতগঞ্জ এমএফএস ১-০ গোলে হারায় ব্রাদার্স ইউনিয়ন ক্লাবকে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ