Inqilab Logo

শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সিয়েরা লিয়নে কাদামাটির স্রোতে ভাসছে লাশ

| প্রকাশের সময় : ১৬ আগস্ট, ২০১৭, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : প্রবল বর্ষণ আর ভূমিধসে পশ্চিম আফ্রিকার বিপন্ন দেশ সিয়েরা লিয়ন এখন অচেনা মৃত্যুপুরী। রাজধানী ফ্রিটাউনের কাছের এক অঞ্চল ঢেকে গেছে কাদামাটিতে। তলিয়ে গেছে অধিকাংশ লাশ। কাদামাটির স্রোতে ভেসে বেড়াচ্ছে মানুষের লাশ আর লাশ। চারপাশ জুড়ে কেবল মৃত্যুর গন্ধ। তবু জীবন বাজি রেখে কাদামাটির স্তূপ থেকে প্রাণের স্পন্দন শোনার চেষ্টা করছেন উদ্ধারকারীরা। যারা বেঁচে আছেন সর্বস্ব হারানোর বেদনা নিয়ে, তাদের জন্য জরুরি সহায়তার আহŸান জানিয়েছে আফ্রিকান ইউনিয়ন। ইবোলা আর গৃহযুদ্ধে জর্জরিত দেশটিতে ত্রাণ তৎপরতা শুরু হয়েছে। স্থানীয় রেডক্রস এই প্রতিবেদন রচনার সময় পর্যন্ত ৩২১ জনের প্রাণহানি নিশ্চিত করেছে। এ সংখ্যা বাড়বে বলে জানিয়ে দিয়েছে তারা। ফ্রিটাউনে কোনাট হাসপাতালের মর্গের একজন টেকনিশিয়ান মোহাম্মদ সিন্নেহ। তিনি বলেছেন, শুধু তাদের মর্গেই নেয়া হয়েছে কমপক্ষে ১৮০টি লাশ। এর মধ্যে অনেক শিশুর লাশ রয়েছে। এখন তাদের মর্গ উপচে পড়ছে। সেখানে লাশ রাখার মতো আর কোনো স্থান নেই। আরো অনেক লাশ নিয়ে যাওয়া হয়েছে বেসরকারি মর্গগুলোতে। খবরে বলা হয়, রাজধানী ফ্রিটাউনের কয়েক কিলোমিটারের মধ্যেই পাহাড়সংলগ্ন অঞ্চল রিজেন্ট। সেখানে কোথাও পা রাখার জন্য একটু শুকনো জায়গা নেই। রাস্তার ওপর দিয়ে যেভাবে স্রোত যাচ্ছে তাতে একে আর রাস্তা বলে ভাবার কোনো সুযোগ নেই। দেখে যে কারো মনে হতে পারে এ এক কাদামাটির নদী। তীব্র স্রোত বইছে রাস্তার ওপর দিয়ে। গত সোমবার ভয়াবহ বর্ষণ আর ভূমিধসে কাদাপানিতে ডুবে গেছে সব। চারদিকে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে লাশের সংখ্যা। এরইমধ্যে তিন শতাধিক মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়েছে। ফরাসি বার্তা সংস্থার একজন সাংবাদিক ঘটনাস্থল থেকে লাশ সরিয়ে নিতে দেখেছেন। তিনি জানাচ্ছেন, রাজধানী ফ্রিটাউনের বড় দুটি এলাকার বাড়িঘর সব পানির নিচে। লাশগুলো রাস্তার ওপরে স্রোতের সঙ্গে ভেসে বেড়াচ্ছে। উদ্বিগ্ন মানুষেরা স্বজনদের খুঁজে ফিরছেন রুদ্ধশ্বাসে। দেশটির কর্মকর্তারা বলছেন, উদ্ধার কাজ চলছে। যারা বেঁচে আছেন, প্রিয়জনদের হারানোর শোকে তারা মুহ্যমান হয়ে পড়েছেন। তারাও উদ্ধারকর্মীদের সঙ্গে খুঁজে ফিরছেন তাদের কাছের মানুষদের। উল্লেখ্য, ফ্রিটাউন সিয়েরা লিয়নের উপকূলীয় একটি শহর। এখানে বসবাস প্রায় ১২ লাখ মানুষের। প্রায় বছরই এখানে কয়েক মাসের বৃষ্টি হয়। তাতে দেখা দেয় বন্যা। ভেসে যায় মানুসের বসতি। দেখা দেয় কলেরা সহ পানিবাহিত রোগের প্রকোপ। ২০১৫ সালের বন্যায় সেখানে মারা যায় কমপক্ষে ১০ জন। গৃহহারা হন কয়েক হাজার মানুষ। এর আগে ২০১৪ সালে এখানে দেখা দেয় ইবোলা ভাইরাসের প্রকোশ। এএফপি, বিবিসি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ