Inqilab Logo

শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

বাংলাদেশের রাজনীতিতে খালেদা জিয়ার নতুন সূচনা?

ভারতের দ্য হিন্দুর নিবন্ধ

ইনকিলাব ডেস্ক : | প্রকাশের সময় : ২১ আগস্ট, ২০১৭, ১২:০০ এএম

আগামী ২০১৯ সালের জানুয়ারির আগে বাংলাদেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এতে টানা তৃতীয় মেয়াদে নির্বাচিত হবেন ভারতের বন্ধু-ভাবাপন্ন শেখ হাসিনা। সম্প্রতি ভারতের দ্য হিন্দু পত্রিকার এক নিবন্ধে এ কথা বলা হয়েছে। ‘ওয়াচ আউট ফর টারবুলেন্স ইন বাংলাদেশ’ শিরোনামের ওই নিবন্ধে বলা হয়েছে, ২০০৯ সালের জানুয়ারিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার পর থেকে বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের স্থিতিশীল সম্পর্ক বজায় রয়েছে। সহযোগিতামূলক প্রবৃদ্ধির ক্ষেত্রে বাংলাদেশের রাজনীতিতে তার দিক-নির্দেশনা উত্তর-পূর্বাঞ্চলে শান্তি ও প্রবৃদ্ধির ধারা বজায় রাখতে ভারতকে সহায়তা করেছে।
অনেকেই মনে করেন, ২০১৪ সালের জানুয়ারির নির্বাচনে দ্বিতীয় মেয়াদের তার ক্ষমতায় আসার ক্ষেত্রে ভারত সহযোগিতা করেছে। তবে এই অভিযোগ অতিরঞ্জিত। ২০১৪ সালের নির্বাচনে প্রধান বিরোধী দল বিএনপি নির্বাচন বর্জনের সময় পরীক্ষিত কৌশলকে শেষ অবলম্বন করে রেখেছিলেন। ইতোমধ্যে সুপ্রিম কোর্ট তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থাকে অসাংবিধানিক বলে ঘোষণা দেন। এই পরিপ্রেক্ষিতে সংসদ বিলুপ্ত না করেই নির্বাচন করার দায়িত্ব পায় সরকার। এর বিরোধিতা করা বিএনপির জন্য সঠিক ছিল। কিন্তু সমস্যা ছিল যে তারা কট্টর জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ নিয়েছিল। বিশেষ আদালত যুদ্ধাপরাধীদের সাজা দিতে শুরু করলে বিএনপি এবং জামায়াত ২০১৩ সালে বাংলাদেশে ব্যাপক সহিংসতা চালায়। বিএনপি মনে করেছিল, এর মাধ্যমে নির্দিষ্ট সময়ে নির্বাচন করতে শেখ হাসিনার চেষ্টা ব্যর্থ করা সম্ভব হবে। কিন্তু এ কৌশলের ফল উল্টো হয়েছে। শেখ হাসিনা কিছু বিরোধী দল নিয়ে নির্বাচনে অগ্রসর হতে থাকেন। আওয়ামী লীগ ৩০০ আসনের মধ্যে ১৫৩ আসনে বিনা প্রতিদ্ব›িদ্বতায় জয়লাভ করে। সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যৌক্তিক বিকল্প এবং আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার স্বার্থে আওয়ামী লীগের জয়কে স্বীকৃতি দেয় ভারত।
এই সময়ে দুই দেশের সম্পর্ক নতুন মাত্রা পেয়েছে। দুই দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক সহযোগিতা বেড়েছে। তবে রাজনৈতিক ক্ষেত্রে এই পরিবর্তন উৎসাহব্যঞ্জক নয়। জামায়াতের মেরুদন্ড ভেঙে গেছে। তাদের অনেক নেতা নিহত হয়েছে; না হয় পালিয়ে বেড়াচ্ছে। সম্পত্তি জব্দ করার জন্য জামায়াত অর্থনৈতিকভাবেও দুর্বল হয়ে পড়েছে। তবে ২০১৩ সালে হেফাজতে ইসলামের মাধ্যমে নতুন ইসলামী শক্তির উত্থান ঘটেছে। বাংলাদেশের রাজনীতিতে অসাম্প্রদায়িক-উদার দল হিসেবে আওয়ামী লীগের পরিচয় থাকলেও তারা হেফাজতের সঙ্গে সমঝোতা করেছে।
দ্য হিন্দুর নিবন্ধে বলা হয়েছে, ক্ষমতাসীন দলের জনপ্রিয়তা কমছে। সরকারবিরোধী মনোভাব ও গত কয়েক বছরে কার্যত এক দলের শাসনের কারণেই এটা হয়েছে। ২০১৪ সাল থেকে এইচএম এরশাদের দল জাতীয় পার্টি ‘প্রক্সি’ বিরোধী দলের ভ‚মিকায় আছে। যারা আগামী নির্বাচনে হেফাজতে ইসলামকে নিয়ে জোট করতে আগ্রহী। এ ক্ষেত্রে জয় নিশ্চিত করতে কট্টর মৌলবাদীদের ভোট ভাগ করাটা আওয়ামী লীগের একটি কৌশলগত পদক্ষেপ।
নিবন্ধে আরো বলা হয়েছে, নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া কী করবেন সেটাই এখন বড় প্রশ্ন হয়ে দেখা দিয়েছে। যদি নির্বাচনের আগে তিনি জেলে যান, কিংবা গ্রেফতার এড়াতে ছেলের মতো দেশ ছাড়েন সেক্ষেত্রে বিএনপি কীভাবে অগ্রসর হবে? বাংলাদেশে এখন এমন প্রশ্ন উড়ে বেড়াচ্ছে। তবে মৌলবাদী শক্তির পৃষ্ঠপোষক হিসেবে খালেদার ভাবমূর্তি নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে ব্যাপক উদ্বেগ রয়েছে। এই অশান্ত সময়ে তারা কি খালেদা জিয়াকে সমর্থনের ঝুঁকি নেবে? তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হলো ২০১৪ সালের পর থেকে বিএনপি ভারতবিরোধী কথা বলা থেকে বিরত রয়েছে। এটি বাংলাদেশের রাজনীতিতে কি নতুন সূচনা? এই প্রশ্নের উত্তর একমাত্র খালেদা জিয়া জানেন, যিনি এখন লন্ডনে অবস্থান করছেন।



 

Show all comments
  • মনির ২১ আগস্ট, ২০১৭, ১২:২৬ পিএম says : 5
    ভারতের দ্য হিন্দু পত্রিকার কাছে আমার প্রশ্ন: আপনারা কেমনে জানেন যে, টানা তৃতীয় মেয়াদে নির্বাচিত আওয়ামীলীগ নির্বাচিত হবে।
    Total Reply(0) Reply
  • তারিন ২১ আগস্ট, ২০১৭, ১২:৩০ পিএম says : 4
    এই নিবন্ধে ২ ধরনের কথা বলা হয়েছে: ১. দ্য হিন্দুর নিবন্ধে বলা হয়েছে, ক্ষমতাসীন দলের জনপ্রিয়তা কমছে। ২. আগামী ২০১৯ সালের জানুয়ারির আগে বাংলাদেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এতে টানা তৃতীয় মেয়াদে নির্বাচিত হবেন ভারতের বন্ধু-ভাবাপন্ন শেখ হাসিনা। এখন প্রশ্ন হলে: জনপ্রিয়তা কমলে নির্বাচিত হবেন কিভাবে ?
    Total Reply(1) Reply
    • Islam ২৩ আগস্ট, ২০১৭, ১০:৫৭ এএম says : 4
      ??? ??? ???????? ?????? ??????? ????
  • Laboni ২১ আগস্ট, ২০১৭, ১২:৩০ পিএম says : 6
    i am agree with this article
    Total Reply(0) Reply
  • কাসেম ২১ আগস্ট, ২০১৭, ১২:৩১ পিএম says : 0
    লন্ডন থেকে ফেরার পরে বাকীটা বুঝা যাবে।
    Total Reply(0) Reply
  • কামাল ২১ আগস্ট, ২০১৭, ১২:৩৪ পিএম says : 3
    তার দিকেই তাকিয়ে আছে এদেশের মানুষ
    Total Reply(0) Reply
  • বাদশা ২১ আগস্ট, ২০১৭, ১২:৩৫ পিএম says : 0
    বাংলাদেশের রাজনীতিতে অসাম্প্রদায়িক-উদার দল হিসেবে আওয়ামী লীগের পরিচয় থাকলেও তারা হেফাজতের সঙ্গে সমঝোতা করেছে। ................. তাহলে কী ঘটনা সত্য ?
    Total Reply(0) Reply
  • পাবেল ২১ আগস্ট, ২০১৭, ১২:৩৭ পিএম says : 0
    হায়রে দেশ ! যার ভবিষ্যত বলে দেয় অন্য দেশ !
    Total Reply(1) Reply
    • santosh ২৩ আগস্ট, ২০১৭, ১:৩৯ এএম says : 4
      khub bhalo likhechen
  • জেরিন ২১ আগস্ট, ২০১৭, ১২:৩৯ পিএম says : 2
    আমরাও জানি যে, এটাই হচ্ছে বা হবে।
    Total Reply(0) Reply
  • বারী ২১ আগস্ট, ২০১৭, ১২:৩৯ পিএম says : 0
    তাহলে কী আমরা এবারও ভোটাধিকার ফেরত পাবো না ?
    Total Reply(1) Reply
    • Elious ২১ আগস্ট, ২০১৭, ১২:৪০ পিএম says : 4
      vai tar to kono lokkhon dekhte passi na
  • bokul hasan ২১ আগস্ট, ২০১৭, ২:৪৬ পিএম says : 0
    apnader prapti sheser dike, bangladesh k ki diyesen?
    Total Reply(0) Reply
  • Miah Muhammad Adel ২২ আগস্ট, ২০১৭, ১১:৫৬ এএম says : 0
    When words are thrown for Bangladesh's interests, they are colored to be against India. India is a long-term sucker of Bangladesh's vital natural resources.
    Total Reply(0) Reply
  • আব্দুল বারী ২৪ আগস্ট, ২০১৭, ৮:১০ এএম says : 0
    মন্তব্য হচেছ আমাদের দেশের ভবিষ্যত ভারত বলতে পারে , আমরা বলতে পারি না কেন?
    Total Reply(0) Reply
  • abdul momin ২৬ আগস্ট, ২০১৭, ৬:৪১ এএম says : 0
    ভারত আওয়ামীলীগের পক্ষ নেওয়ার কারনে বাংলাদেশের জনগনের সাথে ভারতীয় জনগনের দুরত্ব বা ভারতের প্রতি বাংলাদেশের জনগনের মনে তিব্র ঘৃনার জন্ম হয়ছে
    Total Reply(0) Reply
  • Hira ২৭ আগস্ট, ২০১৭, ৩:৪১ এএম says : 0
    Article and comments are absolutely right
    Total Reply(0) Reply
  • shahalom ৩০ আগস্ট, ২০১৭, ৯:২৫ এএম says : 0
    আমাদের দেশের ভবিষ্যত ভারত বলতে পারে , আমরা বলতে পারি না কেন?
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: খালেদা জিয়া

২২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩
২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ