Inqilab Logo

শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

‘আমাকে মেরো না প্লিজ’

| প্রকাশের সময় : ২১ আগস্ট, ২০১৭, ১২:০০ এএম

ভিডিও নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে তোলপাড়

ইনকিলাব ডেস্ক : মারলেই কী সমাধান? গায়ে হাত দিলেই কী সুস্থ-স্বাভাবিক ভবিষ্যত পাবে শিশু? গত শনিবার থেকে গোটা সোশ্যাল সাইটে উঠেছে এমনই প্রশ্ন। আর সৌজন্যে ভাইরাল হওয়া এক শিশুর ভিডিও।
খুবই ছোটো। বয়স সাড়ে ৩ কি ৪ হবে। এরই মাঝে হাতের সামনে ঘর করা অঙ্ক খাতা। হাতে পেনসিল। চোখে মুখে ভয়, চোখে পানি ছল ছল। ইংরেজিতে ১ ২ ৩ ৪ শিখছে সে। কচি মাথা, সময় তো লাগবেই! কিন্তু শিক্ষিকার সেই ধৈর্য্য নেই। দ্রæতই শেখাতে হবে অঙ্কের সব কিছু। তাই তো, একটু ভুল করলেই গায়ে হাতে, গালে চড়!
বেচারা শিশু তো বলেই ফেলল, ‘আমাকে মেরো না প্লিজ, একটু ভালোবেসে পড়াও’! কিন্তু বাচ্চা যা বলছে, তাতে কী আসে যায়! মারের পর মার। মানসিক চাপ! কিন্তু অভিভাবক বা গৃহশিক্ষকরা কী ভেবে দেখেছেন? এটাই কী শিশুদের দেওয়া সুস্থ পরিবেশ? উত্তর অধরা। তাই তো সোশ্যাল নেটওয়ার্কে ভাইরাল ভিডিও।
এমনকি, এই ভিডিও টুইট করে অভিভাবকদের আচরণের দিকে আঙুল তুলেছেন বিরাট কোহলি, যুবরাজ ও শিখর ধাওয়ানরা!
কিন্তু আসল আসামি কে?
এক মহিলাকে তেতো গলায় বলতে শোনা যাচ্ছে, ওয়ান কোথায়? টু কোথায়? সে আঙুল বুলিয়ে দেখিয়ে চলেছে। থামলেই বকুনি, মোবাইলে তোলা ভাইরাল হওয়া সেই ভিডিওয়ে দেখা যাচ্ছে বাস্তবের এক ছবি। কিন্তু এই পরিস্থিতির জন্যে আসলে কে দায়ী, আসল আসামি কে? কাঠগড়ায় মহিলাকে তোলা হলেও, তিনিও তো সিস্টেমের দাস। স্কুলগুলির প্রভূত চাপ, আর সেই চাপের সামনে মাথা নোয়াতে কার্যত বাধ্য হন বাবা-মায়েরা। রেহাই নেই ছোট্ট চার বছরের শিশুরও। আগে সেখানে বদল কাম্য নয় কি?
ইনস্টাগ্রামে শনিবার ভিডিওটা শেয়ার করেন বিরাট কোহালি। ভারতের ক্রিকেট অধিনায়ক বিরাট ওই ভিডিওর নীচে লিখেছেন, মায়া-দয়া বলে কিছু নেই। বাচ্চাটার রাগ-যন্ত্রণা, কোনও কিছুকে পাত্তা না দিয়ে এক জন নিজের ইগোর বশে তাকে শিখতে বাধ্য করছে। জোর করলে বাচ্চা কিছুই শেখে না।
শিখর লিখেছেন, ‘এত অসহ্য ভিডিও আগে দেখিনি। বাবা-মা হওয়াটা বিরাট দায়িত্ব। বাচ্চারা যা হতে চায়, সে ভাবেই তাদের গড়ে তুলব আমরা।
ভিডিওটি দেখে যুবরাজের প্রতিক্রিয়া ‘একেবারেই গ্রহণযোগ্য নয়’।
তবে সবচেয়ে আগে কাঠগড়ায় শিশুটির মা বা গৃহশিক্ষিকা নয়, কাঠগড়ায় তোলা উচিৎ ভারতের পড়াশোনা ব্যবস্থাকে। স্কুলগুলি বাবা-মাকে চাপ দেয়, তারা সেই চাপের মুখে মাথা নত করে, নিজের সন্তানকে একেবারে নিঁখুত করার দৌড়ে ছোটে। আগে সেই পদ্ধতি পরিবর্তন কাম্য। সূত্র : নিউজ ১৮ ও এবিপি আনন্দ।



 

Show all comments
  • রুবেল ২১ আগস্ট, ২০১৭, ২:১৪ পিএম says : 0
    বাচ্চাদের উপর এত চাপ দেয়া ঠিক না
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ