Inqilab Logo

শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

নন্দীগ্রামে মাদরাসা ছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যা

প্রকাশের সময় : ১৩ মার্চ, ২০১৬, ১২:০০ এএম

বগুড়া অফিস : বগুড়ার নন্দীগ্রামে মরিয়ম খাতুন (১১) নামে ৬ষ্ঠ শ্রেণির এক মাদরাসা ছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। স্থানীয় জনগণ ধর্ষককে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে। উপজেলার থালতা মাজগ্রাম গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আজ রোববার ভোর রাতে মরিয়ম মারা যায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, থালতা মাজগ্রাম গ্রামের দিনমজুর জামেদ আলী ওরফে একছার আলীর মেয়ে। থালতা মাজগ্রাম ফাজিল (ডিগ্রী) মাদরাসার ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী মরিয়ন খাতুনের (১১) সাথে একই গ্রামের বাদশা মিয়ার ছেলে ফরিদ মিয়ার (২৮) প্রেমের সম্পর্ক ছিল। শনিবার রাতে মরিয়মের পিতা বাড়িতে না থাকার সুযোগে ফরিদ মিয়া মরিয়মের শোবার ঘরে প্রবেশ করে তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে।
মরিয়মের পিতা বাড়িতে আসার পর মেয়ের ঘরে ধস্তাধস্তির শব্দ শুনে দরজা ভেঙ্গে ঘরের ভেতরে প্রবেশ করে। এ সময় ফরিদ মিয়া জানালা ভেঙ্গে পালিয়ে যায়।
মুমূর্ষু অবস্থায় মরিয়মকে প্রথমে দুপচাঁচিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পর আজ রোববার ভোর রাতে সে মারা যায়। গ্রামবাসী ধর্ষক ফরিদকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে।
নন্দীগ্রাম থানার ওসি হাসান শামীম ইকবাল জানান, ধর্ষণের ফলে রক্ত ক্ষরণে মেয়েটি মারা গেছে নাকি তাকে অন্য কোনভাবে হত্যা করা হয়েছে তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। লাশের ময়নাতদন্তের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যাবে। ধর্ষক ফরিদকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মামলার প্রস্তুতি চলছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ