Inqilab Logo

শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ঘরমুখো মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি জাতীয় কমিটির

| প্রকাশের সময় : ২৬ আগস্ট, ২০১৭, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : আসন্ন ঈদে নিরাপদ যাত্রা নিশ্চিত করতে ১০ দফা সুপারিশ তুলে ধরেছেন বিশিষ্টজনেরা। পাশাপাশি ঈদুল আযহা উপলক্ষে নিরাপদ যাতায়াত নিশ্চিত করতে সরকারের প্রতি আহŸান জানিয়েছেন তারা।
গতকাল শুক্রবার রাজধানীর পুরানা পল্টনের মুক্তি ভবনে ঈদে নিরাপদ যাতায়াত বিষয়ক এক পরামর্শমূলক আলোচনা সভায় তাঁরা এই আহŸান জানান। এবারের ঈদ-যাত্রা ঝুঁকিপূর্ণ বলেও মন্তব্য করেন তাঁরা। বেসরকারি সংগঠন নৌ, সড়ক ও রেলপথ রক্ষা জাতীয় কমিটি এই আলোচনা সভার আয়োজন করে। সংগঠনের প্রধান উপদেষ্টা ও প্রবীণ রাজনীতিবিদ মনজুরুল আহসান খানের সভাপতিত্বে। বক্তব্য রাখেন সাধারণ সম্পাদক আশীষ কুমার দে।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) অধ্যাপক ড. মীর তারেক আলী বলেন, প্রতি ঈদে ঢাকাসহ বড় শহরগুলো থেকে বিপুলসংখ্যক মানুষ গ্রামের বাড়িতে স্বজনদের কাছে যায়। তাই প্রতিবছর ঈদে নির্বিঘœ যাতায়াত নিয়ে নানা সমস্যা ও শংকা দেখা দেয় এবং ঈদের আগে তড়িঘড়ি করে সমাধানের চেষ্টা করা হয়। এভাবে শুধু ঈদকে সামনে রেখে দায়সারা সমাধানের চেষ্টা করলে হবে না, সংকট নিরসনে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা প্রণয়ন করতে হবে। এবার সড়ক ও নৌপথে দুর্ঘটনার আশংকা রয়েছে।
সভাপতির মনজুরুল আহসান খান বলেন, বন্যা ও অতি বর্ষণের কারণে অনেক সড়ক ও রেলপথ চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। এ অবস্থায় নৌপথের ওপর চাপ বেশি পড়বে। তাই এবার ঈদে সড়ক, নৌ ও রেলপথ তথা সমগ্র পরিবহন ব্যবস্থাই ঝুঁকিপূর্ণ। জনগণের নিরাপত্তা দেয়ার দায়িত্ব রাষ্ট্রের। তিনি বলেন, যেহেতু রাষ্ট্রের চালক সরকার, তাই নাগরিকদের নিরাপত্তার দায়িত্ব সরকারকেই নিতে হবে। দুর্ঘটনা ও জনভোগান্তি রোধে সরকারকে সর্বোচ্চ সতর্কতামূলক পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য সরকার ও সংশ্লিষ্ট সকল কর্তৃপক্ষের প্রতি আহŸান জানান।।
আলোচনা সভায় চলমান ঈদ-যাত্রায় জননিরাপত্তার স্বার্থে আগামী দু’সপ্তাহের জন্য নৌ, সড়ক ও রেলপথ রক্ষা জাতীয় কমিটির পক্ষ থেকে সরকারের উদ্দেশে আটটি অতি জরুরি সুপারিশ উত্থাপন করা হয়। সেগুলো হলো- সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল ও কমলাপুর রেলস্টেশনসহ রাজধানীর সকল বাস টার্মিনালে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনানহ সার্বক্ষণিক কঠোর নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ, লঞ্চ, বাস ও ট্রেনের ছাদসহ ট্রাকে যাত্রী বহন এবং সড়ক ও নৌপথে সব ধরনের অবৈধ যান চলাচল বন্ধ করা, পদ্মার শিমুলিয়া-কাঠালবাড়ি ও পাটুরিয়া- দৌলতদিয়া নৌপথে নিরবিচ্ছিন্ন ফেরি চলাচল ও যানবাহন পারাপারে নৈরাজ্য বন্ধে দুই ফেরিঘাটে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা, শিমুলিয়া-কাঠালবাড়ি ও পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে ত্রুটিপূর্ণ লঞ্চসহ ঝুঁকিপূর্ণ ক্ষুদ্র নৌযান চলাচল বন্ধ করা, ঢাকা-চট্টগ্রাম, ঢাক-টাঙ্গাইল ও ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের যানজট রোধে সর্বোচ্চ সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ, নৌপথে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনায় উপকূলীয় জেলা প্রশাসনের নির্বাহী হাকিমদের দায়িত্ব প্রদান, কোস্টগার্ড ও নৌ পুলিশের পাশাপাশি উপকূলীয় জেলার পুলিশ প্রশাসনকে নৌ নিরাপত্তায় সম্পৃক্তকরণ এবং প্রতিঘন্টায় টেলিভিশন ও বেতারে এবং সকল টার্মিনালে সার্বক্ষণিক লাউড স্পিকারে আবহাওয়া বার্তা প্রচার।
আলোচনায় সভায় সাংবাদিক নিখিল ভদ্রর সঞ্চালনায় অন্যান্যের মধ্যে আলোচনায় অংশ নেন সিটিজেন্স রাইট্স মুভমেন্টের জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি মো. এনায়েতুর রহিম, সাবেক সাংসদ এ্যাডভোকেট তাসনিম রানা, যাত্রী অধিকার পরিষদের সভাপতি তুসার রহমান, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) যুগ্ম সম্পাদক মিহির বিশ্বাস, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডবিøউটিএ) সাবেক পরিচালক এমদাদুল হক বাদশা, উন্নয়ন ধারা ট্রাস্টের সদস্য সচিব আমিনুর রসুল বাবুল এবং নৌ, সড়ক ও রেলপথ রক্ষা জাতীয় কমিটির যুগ্ম সম্পাদক, সেকেন্দার হায়াৎ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ