Inqilab Logo

শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

মধুপুরে চলন্ত বাসে কলেজ ছাত্রীকে গণধর্ষণের পর হত্যা

| প্রকাশের সময় : ৩০ আগস্ট, ২০১৭, ১২:০০ এএম

বাসের চালক হেলপারসহ আটক ৫

টাঙ্গাইল জেলা সংবাদদাতা : টাঙ্গাইলের মধুপুরে চলন্ত বাসে ঢাকার আইডিয়াল ‘ল” কলেজের ছাত্রী রুপা খাতুনকে গণধর্ষণ করে হত্যা ঘটনায় ঐ বাসের চালক হেলপারসহ ৫জনকে গ্রেফতার করেছে মধুপুর থানা পুলিশ। মঙ্গলবার বিকেলে গ্রেপ্তারকৃত বাসের তিন হেলপার জাহাঙ্গীর (২০), আকরাম (৩০) ও শামীম (৩৫)কে টাঙ্গাইল কোর্টে প্রেরণ করা হলে সন্ধ্যায় এই গ্রেপ্তারকৃত তিনজন আসামী সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জনবাবন্দি দিয়েছে। পরে তাদেরকে বিজ্ঞ আদালত জেলহাজতে প্রেরণের আদেশ দিয়েছেন।
গত শুক্রবার রাতে ঐ তরুণী বগুড়া থেকে ছোয়া পরিবহনের বাসে ময়মনসিংহ যাচ্ছিল। রাতে বনের সড়ক থেকে এক তরুণীর লাশ উদ্ধার করেছিল মধুপুর থানা পুলিশ। শনিবার নিহত তরুণীর পরিচয় না পেয়ে অজ্ঞাত হিসেবে তার লাশ দাফন করা হয়। সোমবার রাতে মধুপুর থানায় গিয়ে অজ্ঞাতনামা ঐ তরুণীর ছবি ও পড়নের সালোয়ার কামিজ দেখে নিহত তরুণীর ভাই হাফিজুর রহমান তার বোন হিসেবে তাকে সনাক্ত করেন এবং তার বোনের নাম রুপা খাতুন বলে জনান। সে ঢাকার আইডিয়াল ‘ল” কলেজে এলএলবি বিষয়ে অধ্যায়নরত ছিল। সে সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার আছানবাড়ী গ্রামের জিলহাস প্রামানীকের মেয়ে।
মধুপুর সার্কেলের সিনিয়ির সহকারি পুলিশ সুপার আলমগীর কবির জানান যায়, শুক্রবার রাত ১১ টার দিকে টাঙ্গাইল ময়মনসিংহ আঞ্চলিক মহাসড়কের মধুপুর উপজেলার পঁচিশ মাইল এলাকার বনাঞ্চলের রাস্তার ধারে এক তরুণীর রক্তাক্ত লাশ পড়ে থাকার খবর পায় মধুপুর থানা পুলিশ। ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশের সুরত হাল রিপোর্ট তৈরি করে লাশ থানায় নিয়ে আসে।
শারিরিকভাবে নির্যাতনের পর হত্যা করে অপরাধীরা নিরাপদ ভেবে অজ্ঞাত ওই তরুণীর লাশ বনের সড়কে ফেলে রেখে যায় ধারণা করে পুলিশ।
মধুপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সফিকুল ইসলাম, ওসি (তদন্ত) নজরুল ইসলাম, অরণখোলা পুলিশ ফাঁড়ির এসআই আমিনুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, লাশটি পাওয়ার পর প্রাথমিক সুরত হাল রিপোর্ট দেখেই এটিকে শারিরিক নির্যাতনের পর হত্যা করে ফেলে রাখা হয়েছিল উলে¬খ করে ঘটনার পরদিনই অজ্ঞাতদের আসামী করে একটি মামলা দায়ের করা হয়।
এরপর থেকেই ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটনে পুলিশী তৎপরতা অব্যাহত থাকে। সোমবার রাতে নিহত তরুণীর পরিচয় সনাক্ত হওয়ার পর তার বড় ভাইয়ের দেয়া তথ্যর উপর ভিত্তি করে অভিযান শুরু করে পুলিশ। বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে ঐ বাসের চালক হাবি, কন্ট্রাক্টার গেন্দু, গাড়ির হেলপার জাহাঙ্গীর, আকরাম ও শামীম এই ৫ জনকে গ্রেফতার করে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ধর্ষণ


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ