Inqilab Logo

শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারাদেশের ধর্ষণ মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির নির্দেশ আইনমন্ত্রীর

রুপা ধর্ষণ ও হত্যা মামলা অগ্রাধিকার পাবে

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

ধর্ষণ মামলার বিচারকাজ দ্রুততার সঙ্গে নিষ্পত্তির নির্দেশ দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক। আইনের শিক্ষার্থী জাকিয়া সুলতানা রুপা ধর্ষণ ও হত্যা মামলা অগ্রাধিকার দিয়ে দ্রুত নিষ্পত্তির উদ্যোগ নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।
গতকাল মঙ্গলবার সচিবালয়ে নিজ মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময়কালে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। আইনমন্ত্রী বলেন, ধর্ষণ মামলা যাতে দ্রুত নিষ্পত্তি হয়, সেজন্য প্রসিকিউশনকে নির্দেশ দিয়েছি। এর জন্য যা যা দরকার তারা যেন তা করে। ধর্ষণের মামলা পরিচালিত হয় নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালে। মামলাগুলো যাতে দ্রুত সম্পন্ন হয়, সে বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া হবে। ২৫ আগস্ট টাঙ্গাইলের মধুপুরে চলন্ত বাসে গণধর্ষণের পর হত্যার শিকার রুপার মামলার বিষয়ে সাংবাদিকরা জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘রুপা ধর্ষণের ঘটনার সঙ্গে জড়িতরা স্বীকার করেছে যে তারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে। অভিযোগপত্র যখনই আসবে তখন থেকেই যেন বিচার শুরু হয়, সে বিষয়ে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। যেদিনই তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে জমা হবে, সেদিন থেকেই বিচার শুরু হবে। এই হত্যার বিচার দ্রুত এবং তড়িৎ করার জন্য নির্দেশ দিয়েছি। এই সমস্ত মামলার বিচার ডিউ টু প্রসেস অনুযায়ী চলবে। দেশের আইন-শৃঙ্খলার বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, এবারের ঈদে মানুষের যাতায়াত ও আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সবই ভালো ছিল, মানুষ খুব সুন্দরভাবে ঈদ উদযাপন করেছে। মিয়ানমারে নির্যাতিত রোহিঙ্গাদের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, মিয়ানমারের ঘটনা দুঃখজনক। অমানবিক। এই বিষয়টির প্রতি বিশ্ববাসীর নজর দেয়া উচিত। জাতিসংঘের এগিয়ে আসা উচিত। এর একটি সুরাহা প্রয়োজন। অতি দ্রুত সুরাহা করা হোক। জাতিসংঘের ব্যবস্থা নেয়া উচিত।
জানা গেছে, গত ২৫ আগস্ট রাতে আইনের শিক্ষার্থী রুপা বগুড়া থেকে ছোঁয়া পরিবহনের একটি বাসে করে ময়মনসিংহ যাচ্ছিলেন। ওই সময় ওই তরুণী ছাড়াও বাসে পাঁচ-ছয়জন যাত্রী ছিল। অন্য যাত্রীরা সিরাজগঞ্জ মোড়, বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিমপ্রান্ত ও এলেঙ্গায় নেমে যান। এরপর বাসটি টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার কাছাকাছি এলে বাসচালকের সহকারী শামীম রুপাকে জোর করে বাসের পেছনের আসনে নিয়ে যায়। এ সময় রুপা তার কাছে থাকা পাঁচ হাজার টাকা ও মুঠোফোন শামীমকে দিয়ে তাকে নির্যাতন না করতে হাতজোড় করে অনুরোধ করেন। কিন্তু শামীম কোনো কথাই শোনেনি। পরে শামীম, আকরাম ও জাহাঙ্গীর তাকে ধর্ষণ করে। রুপা কান্নাকাটি ও চিৎকার করা শুরু করলে তারা তিনজন মুখ চেপে ধরে। একপর্যায়ে ঘাড় মটকে রুপাকে হত্যা করে। পরে মধুপুর উপজেলা সদর অতিক্রম করে বন এলাকায় রাস্তার পাশে লাশ ফেলে রেখে চলে যায়। এদিকে, রাতে মধুপুর বনের ভেতর সড়ক থেকে এক তরুণীর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পরের দিন ২৬ আগস্ট শনিবার নিহত তরুণীর পরিচয় না পেয়ে অজ্ঞাত হিসেবে তার লাশ দাফন করা হয় টাঙ্গাইল কেন্দ্রীয় কবরস্থানে। ২৮ আগস্ট সোমবার রাতে মধুপুর থানায় গিয়ে অজ্ঞাতনামা ওই তরুণীর ছবি ও পরনের সালোয়ার-কামিজ দেখে তরুণীর বড় ভাই হাফিজুর রহমান তাকে শনাক্ত করেন। পরে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ছোঁয়া পরিবহনের বাসচালকসহ (৩৫) পাঁচজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ধর্ষণ


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ