Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

শিশু ধর্ষণ ও হত্যা অপকর্মের অভিযোগ কাল্টুর বিরুদ্ধে আহসান হাবিবের মা পলাতক

| প্রকাশের সময় : ৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

ফুলছড়ি (গাইবান্ধা) উপজেলা সংবাদদাতা : গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলা বাউসি গ্রামের প্রথম শ্রেণির ছাত্রী শিশু সিনথিয়াকে ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগে আটক দুইজনের মধ্যে মাজেদুল ইসলাম কাল্টুর বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপকর্মের তথ্য পাওয়া যাচ্ছে এলাকাবাসীর কাছ থেকে। মাজেদুল ইসলাম কাল্টু মাদকদ্রব্য সেবনসহ ফুলছড়ি বাজার এলাকায় বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকান্ড চালিয়ে আসছিল। এলাকাবাসী ও শিশু সিনথিয়ার পরিবারের ধারণা, কাল্টু অত্যন্ত সাহসী প্রকৃতির হওয়ায় তার সহযোগিতায় শিশুটিকে ধর্ষণ, হত্যা ও লাশ গুম করার চেষ্টা করা হয়। শিশু সিনথিয়া নিখোঁজ হওয়ার বিষয়টি এলাকাবাসী কিছুতেই মেনে নিতে পারছিলেন না। সন্দেহের সৃষ্টি হওয়ায় আহসান হাবিবের বাড়ির আশেপাশের লোকজন সর্বদা সজাগ থাকায় শিশুটির লাশ সরিয়ে নেয়ার পরিকল্পনা সফল হয়নি। উপায়ন্তুর না পেয়ে ঘাতকরা শিশু সিনথিয়ার লাশ সাইফুলের বাড়ির পাশে তার কচুরিপানার নিচে ঢেকে রাখে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য ফারুকুল ইসলাম ফারুক বলেন, শিশু সিনথিয়াকে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় আহসান হাবিবের মা সেতারা বেগম জড়িত থাকার কথা ভাবা হচ্ছে। কারণ তিনি সেদিন বাড়িতেই ছিলেন এবং বাড়ির একটি কক্ষ তিনি তালাবদ্ধ করে রাখেন। সিনথিয়ার পরিবারের লোকজন ও আমরা ওই কক্ষটি খুলে দিতে বললে সেতারা বেগম তা খুলে দিতে অস্বীকার করেছিলেন। এসময় সেতারা বেগম লোকজনকে বিভিন্নভাবে গালিগালাজ করেছেন। এ কারণে ধারণা করা হচ্ছে ওই কক্ষেই ধর্ষণ ও হত্যার পর সিনথিয়ার লাশ গোপন করে রাখা হয়েছিল। ধর্ষণ ও হত্যাকান্ডে জড়িত আকরাম হোসেন, সেতারা বেগমসহ তার পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের গ্রেফতারের দাবি জানান তিনি। ওই ছাত্রী একদিন স্কুলে যাওয়ার সময় মাজেদুল ইসলাম কাল্টু তার পথরোধ করে হাত ধরে টানাহেচড়া করে এবং শ্লীলতাহানী ঘটায়। বিষয়টি ওই ছাত্রীর বাবা জানতে পেরে মাজেদুল ইসলাম কাল্টুকে আটক করে ফুলছড়ি থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করে। পরবর্তীতে তাকে ফুলছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ভ্রাম্যমান আদালতে হাজির করা হয়। এসময় আদালত তাকে দুই মাসে কারাদন্ড প্রদান করে। কিন্তু মাজেদুল ইসলাম কাল্টু জেল থেকে বেড়িয়ে এসে আবারও মাদকদ্রব্য সেবনসহ বিভিন্ন অপকর্মে জড়িয়ে পড়ে। এলাকাবাসীর তথ্য মতে, মাজেদুল ইসলাম কাল্টু স্বল্প সময়ের মধ্যে দুইটি বিয়ে করলেও তার নির্যাতন সইতে না পেরে একজন বউও সংসার করতে পারেনি।
ফুলছড়ি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবু হায়দার মো. আশরাফুজ্জামান বলেন, গ্রেফতারকৃত দুই যুবককে পুলিশী হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৭দিনে রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে। আদালত রিমান্ড আবেদনের শুনানী দিন ধার্য করেছে ১১ সেপ্টেম্বর। এ ঘটনায় গ্রেফতারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদে সঠিক তথ্য পাওয়া যাবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, শিশু সিনথিয়াকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে নাকি অন্যভাবে তার মৃত্যু হয়েছে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে এ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যাবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ