Inqilab Logo

শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

রোহিঙ্গা ইস্যুতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নিশ্চুপ কেন প্রশ্ন রিজভীর

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১০ সেপ্টেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

বর্তমান সরকার জনগণের নয়, পরের শক্তিতে ক্ষমতায় আছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, যদি জনগণের ভোটে নির্বাচিত জবাবদিহিতামূলক গণতান্ত্রিক সরকার আজ দেশে ক্ষমতায় থাকত তাহলে ব্যাপক উদ্যোগ নিয়ে বিশ্ব স¤প্রদায়কে সাথে নিয়ে মায়ানমারের রোহিঙ্গা মুসলিম নিধন বন্ধের কার্যকর উদ্যোগ নেয়া সম্ভব ছিল। গতকাল (শনিবার) শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মায়ানমারের রোহিঙ্গাদের ওপর বর্বর নির্যাতনের প্রতিবাদে বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ আয়োজিত এক মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন।
সরকারের পররাষ্ট্রনীতির কড়া সমালোচনা এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রীর নিশ্চুপ ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে রিজভী বলেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রী কী করছেন? তিনি নিশ্চুপ হয়ে বসে রয়েছেন, তার কোনো উদ্যোগ নেই, কোনো ধরনের তৎপরতা নেই। আপনার (প্রধানমন্ত্রী) পররাষ্ট্রমন্ত্রী তো নিস্তব্ধ, নিথর, নীরব। কোনো ভূমিকা নেই। তিনি (মন্ত্রী) না যাচ্ছেন চীনে, না যাচ্ছেন ভারতে। আজকে তুরস্ক, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া... একটি ক্ষুদ্র মুসলিম দেশ মালদ্বীপ, তারাও পর্যন্ত বাণিজ্য সস্পর্ক ছিন্ন করেছে। আপনার দেশে রোহিঙ্গারা আসছে, আপনাদের তো কোনো বক্তব্য নেই। একে সরকারের কূটনৈতিক ব্যর্থতা আখ্যায়িত করে তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের ঢলকে সামাল দিয়ে তাদেরকে আশ্রয় দেওয়া এবং তাদেরকে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে তার (পররাষ্ট্রমন্ত্রীর) সামগ্রিক কর্মকান্ডের মধ্যে যে ধরনের স্তব্ধতা দেখছি, যে ধরনের দুর্বলতা দেখছি, সেটার আমরা নিন্দা জানাই।
সরকারের নতজানু নীতি নিয়ে চলছে অভিযোগ করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, আওয়ামী সরকারের একটা চরিত্র আছে। নিজের দেশের সমালোচকদের তারা রক্তাক্ত করবে, গুম করবে, অপহরণ করবে কিন্তু অন্য কোন দেশ থেকে যদি তাদের উপর আঘাত করে তখন তারা নতজানু। পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিশ্চুপ হয়ে বসে আছেন। কোন তৎপরতা নেই।
নির্যাতিত রোহিঙ্গাদের অবিলম্বে আশ্রয়, খাদ্য ও চিকিৎসা দেওয়ার দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, তাদেরকে আশ্রয় দেওয়া হোক, খাদ্য দেওয়া হোক, চিকিৎসার ব্যবস্থা নেওয়া হোক এবং দ্রæত মিয়ানমারের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক জোরালো করে তাদের ওপর চাপ প্রয়োগ করে রোহিঙ্গাদেরকে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করা হোক। নির্যাতিত নিপীড়িত রোহিঙ্গাদের জন্যে শিগগিরই মিয়ানমারের মধ্যে একটি সেইফ জোন তৈরিতে আন্তর্জাতিক স¤প্রদায়ের কাছে আহŸান জানিয়ে রিজভী বলেন, সেই সেইফ জোন তৈরি করে সেখানে নির্যাতিত রোহিঙ্গাদের আহার, বাসস্থান ও নিরাপত্তা ব্যবস্থার দাবি জানাচ্ছি।
সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের আহŸায়ক মাহমুদুর রহমানের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব প্রফেসর এজেডএম জাহিদ হোসেনের পরিচালনায় মানববন্ধন কর্মসূচিতে ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি শওকত মাহমুদ, ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ-ড্যাব এর প্রফেসর সিরাজুল ইসলাম, এসএম রফিকুল ইসলাম বাচ্চু, এগ্রিকারচারিস্ট অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ-এ্যাব এর হাসান জাফির তুহিন, ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রকৌশলী রিয়াজুল ইসলাম রিজু বক্তব্য রাখেন।###



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: রিজভীর

৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩
১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ