Inqilab Logo

শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

রোহিঙ্গা শরণার্থীদের ঠেঙ্গারচরে সাময়িকভাবে আশ্রয় দেয়া হবে

সংসদে ত্রাণমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১১ সেপ্টেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

 মিয়ানমার থেকে আসা রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সবাইকে একখানে করে স›দ্বীপের কাছে ঠেঙ্গারচরে সাময়িকভাবে আশ্রয় দেওয়া হবে। এ লক্ষ্যে সরকার থেকে ইতোমধ্যে সেখানে প্রায় ১০ হাজার একর জায়গা সনাক্ত করা হয়েছে। মিয়ানমারে ফেরত যাওয়ার আগ পর্যন্ত রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সরকার থেকে খাদ্য, চিকিৎসা ও থাকার ব্যবস্থা করা হবে। একই সঙ্গে সারা বিশ্ববাসীকে জাগ্রত করে ক‚টনৈতিক তৎপরতার মাধ্যমে রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠানোর প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।
গতকাল রবিবার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে এ তথ্য জানান দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীরবিক্রম। সরকার দলীয় সংসদ কামাল আহমেদ মজুমদারের সম্পুরক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ ইস্যুতে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার না করার জন্য সবার প্রতি আহŸান জানিয়ে বলেন, এটা নিয়ে কেউ ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করার চেষ্টা করবেন না। করে কোন লাভ হবে না। সবার উচিত এখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সহযোগিতা করা, প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেওয়া। সবাই প্রধানমন্ত্রীকে সহযোগিতা করুন, এ সঙ্কটও আমরা মোকাবেলা করতে পারবো।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে শুরু হওয়া সংসদ অধিবেশনে মাত্র দু’দিন আগে ঘটনাস্থল পরিদর্শনের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করতে গিয়ে ত্রাণমন্ত্রী বলেন, মিয়ানমার থেকে গত ১৫-১৬ দিনে ¯্রােতের মতো রোহিঙ্গা শরনার্থীরা বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে এসব শরণার্থীরা দেশটি থেকে এসেছে, তাদের করুণ অবস্থা ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু যেমন জনগণের বন্ধু ছিলেন, তাঁর কন্যা শেখ হাসিনাও জনগণের বন্ধু। এ কারণে মিয়ানমার থেকে যেভাবে রোহিঙ্গাদের তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে, আমরাও যদি একই রকম আচরণ করতাম তখন কী হতো?
মন্ত্রী বলেন, মানবিক দিক বিবেচনা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্দেশ দিয়েছেন আমরা মিয়ানমার থেকে আসা রোহিঙ্গা শরনার্থীদের সাময়িক আশ্রয় দেব, খাওয়া ও চিকিৎসার ব্যবস্থা করবো। মিয়ানমার থেকে আসা রোহিঙ্গাদের আপাতত কক্সবাজারের উখিয়ায় রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এখানে দুই হাজার একর জায়গা বরাদ্দ করা হয়েছে। পরে স›দ্বীপের ঠেঙ্গারচরে সব রোহিঙ্গাদের একখানে করে ১০ হাজার একর জায়গায় সাময়িকভাবে পুনর্বাসনের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। একইসঙ্গে জোর ক‚টনৈতিক তৎপরতার মাধ্যমে বাংলাদেশে আসা মিয়ানমারের নাগরিকদের সেদেশে ফেরত পাঠানো হবে।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেন, দীর্ঘ ৪ মাস ধরে চলা ভয়াবহ বন্যা সরকার সফলভাবে মোকাবেলা করেছে। বন্যাকবলিত একজন মানুষও না খেয়ে থাকেনি। আমরা বন্যাদুর্গত মানুষদের খাদ্যসহ পুনর্বাসনে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছি।
সরকারি দলের সংসদ সদস্য এ কে এম রহমতুল্লাহ’র প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, ঢাকা মহানগরীতে ভ‚মিকম্পের ঝুঁকিতে থাকা আবাসনসমূহের সুনির্দিষ্ট তালিকা রয়েছে। রাজউক ও ঢাকা সিটি করপোরেশন এই তালিকা প্রস্তুত করেছে। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে ২১২টি এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে ১০৯টি ঝুঁকিপূর্ণ ভবন রয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: রোহিঙ্গা

১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ