Inqilab Logo

শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

নদীর হাঁটু পানিতে লাশের সারি

মিয়ানমারের আরাকানে বৌদ্ধদের বিভীষিকাময় গণহত্যা

ইনকিলাব ডেস্ক: | প্রকাশের সময় : ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

মিয়ানমারের বৌদ্ধরা যে কতটা সহিংস তার প্রমাণ ক্রমেই বেরিয়ে আসছে। আরাকানের একটি নদীতে হাঁটু পানিতে ভাসছে লাশের পর লাশ। এ দৃশ্য যেন বৌদ্ধদের অসভ্যতারই সাক্ষ্য দিচ্ছে। আরকান টিভি খবর দিয়েছে, বার্মার সীমান্তবর্তী এলাকা মংডুর শাহাব বাজারে এক লাশভর্তি নদীর সন্ধান পেয়েছে রোহিঙ্গারা। আশ্রিত রোহিঙ্গাদের একটি দল গোপনীয়ভাবে তাদের গ্রামে খাদ্যদ্রব্য নিতে আসলে পথ হারিয়ে ফেলে। দুর্গম পাহাড়ি পথ মাড়িয়ে সম্মুখে যেতে যেতে একটি নদীর পাড়ে গিয়ে থামে তারা। বাতাসে দুর্গন্ধ ভেসে আসায় নদীর পাড় ধরে এগিয়ে যায় রোহিঙ্গারা। এসময় নদীর হাঁটু পানিতে লাশের পর লাশ ভাসতে দেখে ভড়কে যায় দলটি। প্রত্যক্ষদর্শী রোহিঙ্গা দলটির ভাষ্য, নারী, শিশু ও পুরুষের অগণিত লাশ পড়ে আছে ওই নদীতে। লাশের বিদ্ঘুটে পচা গন্ধ বাতাসে ছড়িয়ে পড়েছে। শেয়াল-কুকুরের খাওয়া লাশের হাড়গোড় ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে বিলের ধারে ও নদীর পাড়ে। সব লাশই রোহিঙ্গার বলে জানান তারা। তাদের ধারণা পাঁচশো’র চেয়ে কম হবে না লাশের সংখ্যা। প্রত্যক্ষদর্শী দলটি আরো জানান, নদীটি টেকনাফের নাফ নদীর কোন শাখা নদী হতে পারে। শাহাব বাজারের উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া নদীটির সাতকাইন্না পাড়া এলাকায় লাশগুলো ফেলা হয়েছে বলে আন্দাজ করছে তারা। উল্লেখ্য, ২৪ আগস্ট থেকে শুরু হওয়া চলমান সেনাবাহিনীর গণহত্যায় হাজার হাজার রোহিঙ্গা হত্যার শিকার হয়েছে। এদের অনেকের লাশ গণকবর দিয়েছে সৈন্যরা। আবার অনেক লাশ জঙ্গলে ও লোকালয় থেকে বিচ্ছিন্ন নদীতে ফেলে দেয়। এ লাশগুলোও সৈন্যরা হত্যা পরবর্তী ফেলে দিয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। রোহিঙ্গারা এসবের আন্তর্জাতিক তদন্ত দাবি করছে। আরকান টিভি,রয়টার্স।



 

Show all comments
  • mohammed.ismail ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৭, ১০:৩৪ এএম says : 0
    Need investigation by UNO representative within short period and on the based of it report should take serious action plan by UNO as if in future ,they would not take any tuture to Rohinga Muslim .Regarding this Bangladesh Govt.should take necessary step how to overcome present situation & Permanently send back the rohinga to mayanmer with the help of all muslim countries as well as UNO .
    Total Reply(0) Reply
  • Mir Irfan Hossain ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৭, ১২:১৯ পিএম says : 0
    অধিকাংশ পুরুষ হত্যা করা হয়েছে।
    Total Reply(0) Reply
  • Alam Bin Robayet ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৭, ২:১৫ পিএম says : 0
    আগে আমরা নদীতে আল্লাহ নেয়ামত হিসাবে পেতাম মাছ।আর এখন পাই আমার ভাই আর বোনের লাশ।
    Total Reply(0) Reply
  • Touhidul Islam ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৭, ২:১৭ পিএম says : 0
    হে আল্লাহ তাদের রক্ষা করুম....আমিন
    Total Reply(0) Reply
  • মনির ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৭, ২:১৯ পিএম says : 0
    ato julum Allah Rohingya der upor dicce nischoy Allah khub sighroy uttom somadan diben
    Total Reply(0) Reply
  • আতিক ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৭, ২:৫২ পিএম says : 0
    এই গণহত্যার বিচার চাই
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ