Inqilab Logo

শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

রোহিঙ্গা ইস্যুতে ইরানি সেনাপ্রধানকে পাকিস্তান সেনাপ্রধানের ফোন

ইনকিলাব ডেস্ক: | প্রকাশের সময় : ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

মিয়ানমারের রাখাইনে সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলিমদের দুর্দশার অবসান ঘটাতে মুসলিম বিশ্বকে ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন পাকিস্তান সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল কামার জাবেদ বাজওয়া ও ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান মোহাম্মদ হোসেইন বাকারি। রোহিঙ্গা নিপীড়নের ব্যাপারে রোববার টেলিফোনে আলাপকালে তারা এ আহ্বান জানান।
একই সঙ্গে দুই দেশের এ দুই সেনাপ্রধান রোহিঙ্গা নিপীড়নের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন। সংখ্যালঘু মুসলিমদের ওপর মিয়ানমার সেনাবাহিনীর চলমান নিপীড়নের অবসানে মুসলিম বিশ্বকে ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বান জানান তারা।
টেলিফোনে এ দুই সেনাপ্রধান মিয়ানমারের রোহিঙ্গা মুসলিমদের সহায়তায় দুই দেশের সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানোর উপায় নিয়ে আলোচনা করেন। তারা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার মিয়ানমারে রোহিঙ্গা স¤প্রদায়ের বিরুদ্ধে চলমান ‘অমানবিক’ ও ‘অপ্রীতিকর’ পরিস্থিতি বন্ধে মুসলিম বিশ্বকে আরও কার্যকর ব্যবস্থা ও সতায়তার আহ্বান জানান।
ইরানি সংবাদ সংস্থা তাসনিম নিউজ এজেন্সির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাজওয়া এবং বাকারি টেলিফোন আলোচনায় বলেন, মুসলিম দেশগুলোর সামরিক এবং বেসামরিক সংস্থাগুলো মিয়ানমারের নিপীড়িত মানুষের মাঝে ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম ত্বরান্বিত করতে তাদের সৈন্য ও সরঞ্জাম ব্যবহার করতে পারে।
মিয়ানমারের রোহিঙ্গারা দেশটিতে দীর্ঘদিন ধরে ব্যাপক বৈষম্যের শিকার হয়ে আসছে। ২০১২ ধর্মীয় সহিংসতার সময় তারা লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়। এসময় শতাধিক রোহিঙ্গা মুসলিমকে হত্যা করা হয়; বাস্তুচ্যুত হয় প্রায় ১ লাখ ৪০ হাজার রোহিঙ্গা।
শনিবার জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর বলছে, রাখাইনের সা¤প্রতিক সহিংসতায় প্রায় ৪ লাখ ১০ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। এদের অধিকাংশই নারী ও শিশু।



 

Show all comments
  • ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৭, ১১:৩২ এএম says : 0
    মায়ানমারের সামরিক বাহিনির লাগাম যদি একনি ধরে রাকা নাহয়,বভিস্সতে তারা উত্তর কোরিয়ার মত বয়া বহ হয়ে যাবে।
    Total Reply(0) Reply
  • মুইন ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৭, ৮:২৪ পিএম says : 0
    এখনই সময় মুসলিম বিশ্ব একজোট হওয়ার।এবংমায়ানমারকে উচিত শিক্ষা দেয়া, যাতে ভবিষ্যতে কেউ মুসলমানদের উপর চোখ রাঙ্গানোর সাহস না পায়।
    Total Reply(0) Reply
  • apu ২০ সেপ্টেম্বর, ২০১৭, ১:৫২ এএম says : 0
    সুচি যদি রহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেয় তাহলে সমস্যার ইতি টানা যেতে পারে আর যদি তা না করে তবে আমার মতামত ২ থেকে ৩ লাখ রহিঙ্গা যুবককে গেরিলা ট্রেনিং দিয়ে মাতৃভূমি উদ্ধারে পাঠানো উচিৎ এবং পরিস্থিতি নাজুক হলে বাংলাদেশের সৈন্য ঢুকাইয়া দিয়া রহিঙ্গাদের জন্য নিজেস্ব রাখাইন দেশ সৃষ্টিতে সহযোগীতা করা উচিৎ
    Total Reply(0) Reply
  • Monir ২০ সেপ্টেম্বর, ২০১৭, ৭:৩১ এএম says : 0
    It is the time to jihad against the traitor of Burmeese Junta. There will be no shortage or money and manpower InshaAllah. To all Muslim world, please unite to fight against this genocide and ethnic cleansing of muslim people in Burma.
    Total Reply(0) Reply
  • Salauddin Gazi ২১ সেপ্টেম্বর, ২০১৭, ৯:৫১ এএম says : 1
    পরাশক্তির সমর্থনে আরাকানের রোহীংগাদের নির্মূল অভিযান চলবেই । বাংলাদেশ এই বোঝা বইবে কেন ? রোহীংগারাতো এমনিতে মরে যাচ্ছে । ধরষন হত্যা নির্যাতন তাদের নিত্য ঘটনা। মৃত্যুই যখন নির্ধারিত তবে তারা কেন যুদ্ধ করে সন্মানের মৃত্যু গ্রহন করেনি। আমাদের আশ্রয় কেন্দ্র গুলি বন্ধ করে তাদের ফিরে যেতে বাধ্য করা হোক । ঠেলায় পরলে যুদ্ধ করতে শিখে যাবে।
    Total Reply(1) Reply
    • MUHAMMAD SAIDUR RAHMAN ২১ সেপ্টেম্বর, ২০১৭, ১১:৫৮ এএম says : 4
      CAN'T YOU USE ANY SOFT LANGUAGE IN FAVOR OF ROHINGYA MUSLIMS

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ