Inqilab Logo

শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক গণ-আদালতে সু চির বিচার শুরু

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৭, ২:১৬ পিএম | আপডেট : ৩:২৪ পিএম, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৭

মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সিলর অং সান সু চি ও দেশটির সেনাপ্রধানসহ অন্য কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে একটি আন্তর্জাতিক গণ-আদালতে বিচার শুরু হয়েছে। আগামী শুক্রবার এ মামলার রায় ঘোষণা করা হবে। সু চিই প্রথম কোনো নোবেল জয়ী যিনি ব্যতিক্রমী এ আদালতে বিচারের সম্মুখীন হলেন এবং সম্ভবত দণ্ডিত হতে যাচ্ছেন।

গত সোমবার মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরে পার্মানেন্ট পিপলস ট্রাইব্যুনাল (পিপিটি) নামে ওই আদালতে শুনানি শুরু হয়। কুয়ালালামপুরের মালয় বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদে অনুষ্ঠিত এ শুনানিতে আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন বিশেষজ্ঞদের একটি প্যানেল অংশ নেয়।

এতে আমেরিকার জর্জ মাসন বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনোসাইড স্টাডিজ অ্যান্ড প্রিভেনশনের গবেষক অধ্যাপক গ্রেগরি স্ট্যানটন জবানবন্দি দিয়েছেন। তিনি বলেন, মানবতাবিরোধী অপরাধ ও গণহত্যার দায়ে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী, পুলিশ, অন্যান্য বৌদ্ধ মিলিশিয়া এবং দেশটির বর্তমান বেসামরিক সরকার অভিযুক্ত।

রোহিঙ্গাদের ব্যাপারে তিনি বলেন, তারা মিয়ানমারের সর্বস্তরে বঞ্চনা ও বৈষম্যের শিকার। ওই শুনানিতে বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হকও অংশ নেন।

আজ মঙ্গলবার ট্রাইব্যুনালে মিয়ানমারে মুসলিম নিপীড়ন বিষয়ে সাক্ষ্যপ্রমাণ উপস্থাপন করা হবে। বিকালে প্রসিকিউশনের পক্ষ থেকে সমাপনী বক্তব্য শেষে বিবাদী পক্ষ বক্তব্য রাখবেন।

আগামী বৃহস্পতিবার দিনভর বিচারকমণ্ডলীর সদস্যরা তাদের বক্তব্য পেশ করবেন। আট সদস্যের বিচারক প্যানেলে রয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ তদন্তে যুক্ত বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ ও আইনজীবীরা।

পিপিটি মালয়েশীয় শাখার সাংগঠনিক কমিটির সভাপতি চন্দ্র মোজাফফর বলেছেন, পাঁচ দিনের অধিবেশনে বিচারকরা প্রসিকিউশনের যুক্তিতর্ক, বিশেষজ্ঞ সাক্ষীদের মতামত, ভুক্তভোগীদের জবানবন্দি বিচার বিশ্লেষণ করবেন। শুক্রবার স্থানীয় সময় সকাল ১০টায় রায় ঘোষণা হবে। বিচারকদের এ রায় জেনেভায় জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিলসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংগঠন ও গোষ্ঠীর কাছে পাঠানো হবে।

এই ট্রাইব্যুনালে রোহিঙ্গা ও কাচিন সম্প্রদায়ের লোকজন তাদের বিরুদ্ধে পরিচালিত রাষ্ট্রীয় অপরাধের বর্ণনা দিয়েছেন।

বিভিন্ন গণমাধ্যম বলছে, মিয়ানমারে সহিংসতায় পুরুষরা যেমন হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন তেমনি নারীরা হয়েছেন ধর্ষণের শিকার। অনেক নারী আছেন যাদের ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে।

মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা শরণার্থী রোহিঙ্গা নারীদের একটা বড় অংশ দেশটির সেনাবাহিনীর হাতে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন।

পালিয়ে আসা পরিবারগুলো বলছে, অনেকে ধর্ষণের পর হত্যার শিকারও হয়েছেন।



 

Show all comments
  • khalilur rahman ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৭, ২:২৬ পিএম says : 0
    suchi is disqualifite the nobel
    Total Reply(1) Reply
    • Islam Shaikh ২০ সেপ্টেম্বর, ২০১৭, ১২:১২ এএম says : 4
      I think she will get another Novel Prize for for killing innocent Muslin people.
  • সাইফুল ইসলাম ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৭, ৪:৩৫ পিএম says : 0
    তাদেরকে ফাঁসি দিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করা হোক।
    Total Reply(0) Reply
  • আজাদ ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৭, ৫:৪২ পিএম says : 0
    ধন্যবাদ মালয়েশিয়া,আল্লাহ আপনার কাজের বরকত ও সহযোগিতা দান করুন।
    Total Reply(0) Reply
  • লোকমান ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৭, ৯:২৪ পিএম says : 0
    আমি দোয়া করি বিশ্য্ আদালতে যেন অং সাং সুচির ফাসির আদেশ হয়।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ