Inqilab Logo

মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৩ বৈশাখ ১৪৩১, ০৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

মিয়ানমারের বিপন্ন রোহিঙ্গা সম্প্রদায় এবং বিশ্ব নেতৃৃত্বের দায়িত্ব

মোহাম্মদ আবদুল গফুর | প্রকাশের সময় : ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

‘রাখাইন ছাড়, নইলে তোদের সবাইকে খুন করব’-এ ধরনের হুমকি দেয়া হচ্ছে মিয়ানমারের রোহিঙ্গা নাগরিকদের। এ হুমকি দেয়া হচ্ছে গত ২৫ আগস্ট নতুন করে শুরু হওয়া রোহিঙ্গা নিধন অভিযানের পরিণতিতে লাখ লাখ রোহিঙ্গা প্রাণ নিয়ে প্রতিবেশী রাষ্ট্র বাংলাদেশে পালিয়ে আসার পর যেসব রোহিঙ্গা তাদের জন্মভূমিতে রয়ে গেছে তাদের বিরুদ্ধে। সাবেক বার্মা বর্তমানের মিয়ানমারে কিছু দিন পরপরই শুরু হচ্ছে যে রোহিঙ্গা-বিরোধী অভিযান, তারই অতি-সুপরিচিত চিত্র এটা।
‘রাখাইন ছাড়, নইলে তোদের সবাইকে খুন করব’Ñএ হুমকি দিয়েই মিয়ানমারের সেনাবাহিনী ও উগ্র বৌদ্ধরা বসে থাকেনি। বাস্তবে তারা তাদের বর্বর হুমকি কার্যকরও করেছে এবং করে চলেছে। তাই পত্র-পত্রিকায় শিরোনাম হয়েছে : “আরাকানের পথে পথে লাশ”। গত মঙ্গলবার দৈনিক কালের কণ্ঠ পত্রিকায় প্রথম পৃষ্ঠায় প্রকাশিত একটি খবরের শিরোনাম ছিল : “আল্লাহ, তোঁয়ার জমিনত আঁরে ইন কী দেহাইলা”। খবরের বিবরণীতে ছিল : হেলিকপ্টার থেকে বোমা ছোঁড়া হচ্ছে। গুলিও চলছে। বিপদ দেখে বুচিডংয়ের মলুপাড়ার রোহিঙ্গারা এক উঠানে জড়ো হয়ে পালানোর উপায় খুঁজছিল। হঠাৎ মিয়ানমার সেনাবাহিনীর গুলি। এ সময়ে অনেকে দৌঁড়ে পালিয়ে গেলেও বাকিদের ঘিরে ফেলে ২৫-৩০জন আর্মি। তাদের মধ্যে মেয়েদের উঠান থেকে ধরে আশেপাশের ঘরে নিয়ে যায় আর্মিরা। অনেক রোহিঙ্গাকে সেখানে হত্যাও করে। গত সোমবার দুপুর ১টার দিকে উখিয়ার ট্যাংখালী এলাকায় এমন তথ্য দিচ্ছিলেন ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী নুরুল আমিন নামের এক রোহিঙ্গা যুবক। গত রবিবার রাতেই বাবা নূর আলী ও মা আনছার বেগম-সহ নুরুল আমিনের পরিবারের ১০ জন শাহপরীর দ্বীপ সীমান্ত হয়ে কুতুপালংয়ে আসেন।
নুরুল আমিন বলেন, ব্যা জং নামের এক সেনা সদস্যের সন্তানকে বাসায় গিয়ে পড়াতেন মনুপাড়ার স্কুল শিক্ষক মো. সেলিম (৪০)। এই শিক্ষকসহ ৩০০ জনকে ব্যা জং নিজে হত্যা করেছে। দুপুরে ট্যাংখালী থেকে ছোট বোনকে নিয়ে নয়া পাড়ার ক্যাম্প এলাকায় আসার সময় অটোরিকশা যাত্রী নুরুল আমিন সে দেশের সেনাবাহিনীর গণহত্যা, নির্যাতন, নিপীড়নের এসব কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘দৌড়ে পাশের বাড়ীর পেছনের ঝোপে লুকিয়ে থাকি। সেখান থেকে গণহত্যার ঘটনা দেখেছি। সন্ধ্যার দিকে সেনাবাহিনী চলে যাওয়ার পর আমার আব্বু বলেন, ওরা (আমাদের আত্মীয় স্বজন) এখানে আছে কিনা চল দেখে আসি। সেখানে গিয়ে দেখি, কেউ বেঁচে নেই। জাহেদ হোসেন (৫৫), তাঁর ছেলে নুরুল ইসলাম (১৭), মো. সালাম (২০), মৌলভি আবদুল খালেক (৮৫), ও তাঁর ছেলে মো. সাদেকসহ আমাদের ২০ জন আত্মীয়কে গুলি করার পর জবাই করেছে। ১২ দিন বুচিডং ও মংডু জেলার কুন্দপাড়ার খাল, কুরচি খাল, নাফ নদী, কালা পাহাড় (হাজার ফুট উচ্চ)-সহ তিনটি পাহাড় বেয়ে এদেশে আসি’। দেরিতে আসা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘মনে করেছিলাম কিছুদিন গেলে পরিস্থিতি শান্ত হবে। কয়েকদিন ধরে বাংলাদেশে আসার পথে বিভিন্ন স্থানে লাশ দেখেছি। অনেক এলাকায় লাশ পচে গন্ধ বের হচ্ছে। আমরা সোজা পথে আসতে পারেনি। নালা, খাল, বিল, নদী ও পাহাড় বেয়ে আসার কারণে দেরি হয়েছে’।
মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে যখন চলছে বর্বর নির্যাতন, ঠিক সে সময়েই নিউইয়র্কে শুরু হয়েছে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭২তম অধিবেশন। স্বাভাবিকভাবেই রোহিঙ্গা সমস্যা বিশেষ গুরুত্ব পাবে এ অধিবেশনে যোগদানরত বিশ্ব নেতৃবৃন্দের কাছে। তারা এ ইস্যুতে কে কোন অবস্থান গ্রহণ করেন, তা বিশেষ গুরুত্বের দাবীদার। মানবিকতার দৃষ্টিতে বিচার করলে এ ব্যাপারে মিয়ানমারের নেতৃবৃন্দকে অবশ্যই আসামীর কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে। সেই ভয়েই যে মিয়ানমারের বর্তমান সরকারের নেত্রী শান্তিতে নোবেল বিজয়ী অং সান সুচি জাতিসংঘের এ অধিবেশনে যোগ না দেয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন, তা সুস্পষ্ট।
বিশ্বের অধিকাংশ দেশ মিয়ানমারের রোহিঙ্গা-নিধন অভিযানের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। যেসব দেশ ইতোপূর্বে রোহিঙ্গা ইস্যুতে মিয়ানমারের পক্ষে ছিল তাদের কেউ কেউ (যেমন ভারত) তার পূর্বেকার ভূমিকা পরিবর্তনের পথে এক ধাপ এগিয়েছে। যেসব দেশ নিজেদের সংকীর্ণ জাতীয় স্বার্থে এতদিন মিয়ানমারের পক্ষে অবস্থান গ্রহণ করেছিল, এবং এখনও অনেকটা সেরকম রয়েছে, তাদের অন্যতম চীন। আমরা আশা করতে চাই, বিশ্ব মানবিকতার স্বার্থে চীন তার সে অনাকাংখিত ভূমিকা পরিবর্তন করে অদূর ভবিষ্যতে কাংখিত মানবিক ভূমিকা গ্রহণে এগিয়ে আসবে। অতীতে চীনের বর্তমান নেতৃত্ব আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে বিশ্বমানবিকতার মুক্তির স্বপক্ষে যে ভূমিকা রেখেছে তার ফলে তার পক্ষে বিশ্ববাসীর প্রশংসা লাভ সম্ভব হয়। সে নিরিখে রোহিঙ্গা ইস্যুতে মিয়ানমারের সামরিক জান্তার বহুল-নিন্দিত ভূমিকার প্রতি চীনের মত একটি মুক্তিকামী দেশের সমর্থন অব্যাহত রাখা শুধু নির্যাতিত রোহিঙ্গাদের জন্য মরার ওপর খাঁড়ার ঘাই হবে না, চীনের নিজের মূল্যায়নও কাংখিত বিবেচিত হবে না।
আমাদের এ বক্তব্য শুধু চীনের জন্য নয়, এখনও যেসব দেশ নানা কারণে রোহিঙ্গা-ইস্যুতে মিয়ানমারের সামরিক জান্তার পক্ষে অবস্থান অব্যাহত রেখেছে তাদের জন্যও আমাদের এ বক্তব্য সমভাবে প্রযোজ্য। তবে আমরা অবশ্যই পৃথিবীর সকল দেশের জন্য একই উপদেশ দিতে যাব না। পৃথিবীতে এমন রাষ্ট্রও রয়েছে, যার জন্মই হয়েছে অবৈধ পন্থায়, অবৈধ অমানবিক লক্ষ্যে। যেমন ইসরাইল। মধ্যপ্রাচ্যের বিষফোঁড়া-রূপী এই রাষ্ট্রটির সম্পর্কে বলা যায় তার জন্মই ছিল আজন্ম পাপ। ইসরাইল সম্পর্কে এধরনের কঠিন বাক্য উচ্চারণ করতে হচ্ছে এ কারণে যে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর মধ্যে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে বর্বর দৃষ্টিভঙ্গী সৃষ্টির মূলে ইসরাইলী গোয়েন্দা বাহিনীর একটি ঘৃণ্য ভূমিকা ছিল। নইলে আজকের মিয়ানমারের এবং সেকালের বার্মার স্বাধীনতা সংগ্রামের নেতৃবৃন্দের মধ্যে স্বাধীনতা সংগ্রামকালে যে শ্লোগানটি সবাইকে ঐক্যবদ্ধ স্বাধীনতা সংগ্রামে উদবুদ্ধ করেছিল, তা ছিল বর্মা ফর বার্মিজ। অর্থাৎ বার্মার সকল অধিবাসীদের জন্যই বার্মা। সেই ঐক্যচেতনাকে প্রথম দ্বিধাবিভক্ত করতে চেষ্টা চালায় বার্মার তৎকালীন বৃটিশ ঔপনিবেশিক শাসকবৃন্দ। বার্মিজ স্বাধীনতা সংগ্রামীদের ঐক্য-চেতনাকে বিনষ্ট করে দেয়ার লক্ষ্যে বৃটিশ শাসকরা যে শ্লোগানটি প্রচলিত করার চেষ্টা চালায় তা হচ্ছে বার্মা ফর বার্মিজ বুদ্ধিষ্টস। অর্থাৎ বর্মা শুধু বর্মার বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের জন্য। এরফলে বার্মায় শত শত বছর ধরে বসবাসকারী মুসলমান রোহিঙ্গাদের বর্মায় বহিরাগত প্রমাণের অপচেষ্টা চালানো হয়। সা¤্রাজ্যবাদী চক্রান্তের সে ধারাবাহিকতায়ই যে বর্মার সেনাবাহিনী ও এক শ্রেণীর উগ্র বৌদ্ধ ধর্মনেতাদের দ্বারা বর্তমান রোহিঙ্গা সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে, একথা বিশেষভাবে বুঝিয়ে বলার অপেক্ষা রাখেনা।
আমরা আগেও বলেছি, আজও পুনরায় বলছি শুধু এক ধর্মের মানুষ বসবাস করে এমন দেশ পৃথিবীতে খুঁজে পাওয়া যাবে না। বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্র হিসাবে পরিচিত ভারতে সনাতন তথা হিন্দু ধর্মের লোক বেশী হলেও এখানে বাস করে বহু মুসলমান, খৃস্টান, শিখ, জৈন ইত্যাদি ধর্মের লোক। বাংলাদেশ একটি মুসলমান প্রধান দেশ হিসাবে পরিচিত হলেও এখানে বাস করে বহু হিন্দু, খৃস্টান, এমন কি বহু বৌদ্ধও। সুতরাং বৌদ্ধ প্রধান বার্মা তথা মিয়ানমারে বাস করবে বহু মুসলমান রোহিঙ্গা তাতে বিচিত্র কি আছে!
মিয়ানমার থেকে রোহিঙ্গা বিতাড়নের যে বর্বর অমানবিক অভিযান শুরু হয়েছে, তার ফলে সব চাইতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মিয়ানমারের নিকটতম প্রতিবেশী রাষ্ট্র বাংলাদেশ। সকলেই জানেন, বাংলাদেশ এমনিতেই বিশ্বের সবচাইতে জনবহুল দেশসমূহের অন্যতম। বাংলাদেশের মত একটি জনবহুল দেশের পক্ষে লক্ষ লক্ষ শরণার্থী রোহিঙ্গাদের বাড়তি জনসংখ্যার বোঝা সামাল দেয়া একেবারেই অসম্ভব। বাংলাদেশ মানবিকতা বিবেচনায় জন্মভূমি থেকে বিতাড়িত অসহায় রোহিঙ্গাদের সাময়িকভাবে আশ্রয় দিতে বাধ্য হলেও বেশী দিন এ বাড়তি জনসংখ্যার বোঝা সামাল দেয়া আমাদের পক্ষে সম্ভব হবে না।
তাছাড়া মিয়ানমারের সেনাবাহিনী ও উগ্র বৌদ্ধদের অন্যায় আবদারের কাছে আত্মসমর্থন করতে যদি বাংলাদেশ বাধ্য হয়, তা হলে যে কোন দেশের ক্ষমতাধরদের পক্ষে সংশ্লিষ্ট দেশের নাগরিকদের কোন অংশকে ইচ্ছামত বের করে দিয়ে পাশের দেশে ঠেলে দেয়া এমন এক অনাকাংখিত রেওয়াজে পরিণত হবে, যা বিশ্বের বর্তমান জনসংখ্যা ভারসাম্যকেই অসম্ভব করে তুলতে বাধ্য। এ প্রেক্ষাপটেই বর্তমানে নিউইয়র্কে অধিবেশনরত জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে বিশ্ব নেতৃবৃন্দকে রোহিঙ্গা সমস্যা বিশেষ গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা, পর্যালোচনা ও মানবিকতা-ভিত্তিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের আহŸান জানাতে চাই।
রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে বিভিন্ন মহল থেকে বিভিন্ন প্রস্তাব উত্থাপিত হয়েছে ও হচ্ছে। বিশেষত রোহিঙ্গা সমস্যার সর্বশেষ পরিস্থিতি এমন এক সময়ে সৃষ্টি হয়েছে যখন নিউইয়র্কে শুরু হয়েছে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশন। রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে আলোচনা প্রসঙ্গে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপের জন্য বিশ্ব নেতৃবৃন্দের প্রতি আহŸান জানিয়েছে আন্তর্জাতিক হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচ আর ডাবলিউ)। মিয়ানমারের সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলমানদের উপর জাতিগত নিধন চালিয়ে চার লাখেরও বেশী রোহিঙ্গাকে পালিয়ে যেতে বাধ্য করার দায়ে দেশটির সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে এ নিষেধাজ্ঞা আরোপের আহŸান জানায় এইচ আর ডাবলিউ।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন পত্রিকা নিউইয়র্ক টাইমস “স্কুইজ মিয়ানমারস মিলিটারী” শীর্ষক সম্পাদকীয় লিখে দাবী জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রকে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে অবরোধ জারী করে জানিয়ে দিতে হবে যে রোহিঙ্গাদের নাগরিক অধিকার দিয়ে পুনর্বাসন না করা পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকবে। পত্রিকাটি বলেছে এক বছর আগে ওবামা প্রশাসন মিয়ানমারের উপর থেকে অবরোধ তুলে নেয়ার সময়ই তারা বলেছিলো, এর পরিণতি ভালো হবে না এবং শেষ পর্যন্ত তাই হয়েছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের তীব্র নিন্দার পরও মিয়ানমার পোড়ামাটি নীতিতে অটল থাকায় নিউইয়র্ক টাইমস যুক্তরাষ্ট্র সরকারের প্রতি মিয়ানমারের উপর নতুন করে অবরোধ আরোপের দাবী জানিয়েছে।
এদিকে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ যুক্তরাষ্ট্রের ট্রাম্প সরকারের উদ্দেশ্যে বলেছে, যুক্তরাষ্ট্রের উচিৎ মিয়ানমারের সেনা প্রধান সিনিয়র জেনারেল সিন তাং চেইনকে ইউএস স্পেশালি ডেজিগনেটেড ন্যাশনালস (এসডি এন) তালিকায় নিয়ে আসা হোক। এই তালিকায় আনার অর্থ হচ্ছে মার্কিন আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে কোনো ধরনের আর্থিক লেনদেনে যাওয়ার অধিকার রহিত হবে, যুক্তরাষ্ট্র ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা আরোপ হবে এবং যুক্তরাষ্ট্রে থাকা তাদের সব সম্পদ বাজেয়াপ্ত বলে গন্য হবে। এইচ আর ডাবলিউ আরও বলেছে, একইভাবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং এর সদস্য সমূহের উচিৎ হবে এ ধরনের অর্থনৈতিক বিধিনিষেধ ও ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা। বর্তমানে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে অস্ত্র নিষেধাজ্ঞার আওতা বাড়িয়ে সব ধরনের সামরিক সহযোগিতা এর অন্তুর্ভূক্ত করার দাবী জানিয়েছে এইচ আর ডাবলিউ। মিয়ানমারের রোহিঙ্গা নিধন ও বিতাড়নের অভিযানের বিরুদ্ধে জাতিসংঘ ও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা কী কী বাস্তব ব্যবস্থা গ্রহণ করে, তা দেখাতে আমরা অধীর আগ্রহে থাকব।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মিয়ানমার


আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ