Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

রোহিঙ্গাদের প্রতি বিশ্বমাতার বুক পেতে দিয়েছেন শেখ হাসিনা-মাহবুবউল আলম হানিফ

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

মিয়ানমারের রাখাইনে রোহিঙ্গাদের উপর নিপীড়িন-নির্যাতনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মানবতার পরিচয় দিয়ে বিশ্ব মাতার বুক পেতে দিয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ।
গতকাল সোমবার বিকালে রাজধানীর ঢাকেশ্বরী মন্দিরে মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের শারদীয় দূর্গোৎসব উপলক্ষ্যে বস্ত্র বিতরণের অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।
মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, বঙ্গবন্ধু আমাদের স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন এই বাংলাদেশ হবে, সকল ধর্ম-বর্ণের মানুষের জন্য সুখী সমৃদ্ধ একটি দেশ। যেখানে ধর্ম-বর্ণ নিয়ে হানাহানি থাকবে না। সেটাই ছিল আমাদের লক্ষ্য। কিন্তু মাঝখানে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর বাংলাদেশে একটি অশুভ শক্তির আবির্ভাব ঘটে। এরপর এদের বিরুদ্ধে আমাদের অনেক লড়াই সংগ্রাম করতে হয়েছে।
বিএনপি-জামায়াতকে উদ্দেশ্য করে হানিফ বলেন, আমাদের দেশে একটি দল আছে। যারা অশুভ শক্তির জোট করেছে। একাত্তরে যারা আমাদের মা-বোনের উপর নির্যাতন চালিয়েছে। এরা সেই যুদ্ধাপরাধী দলের সঙ্গে জোট করে বারবার বাংলাদেশের সা¤প্রদায়িক স¤প্রীতিকে নষ্ট করার ষড়যন্ত্র করেছে। তারা এখনও তৎপর। এরা বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে দিতে চায় না।
এদের প্রভু মৌলবাদী ও জঙ্গিগোষ্ঠীর হোতা পাকিস্তান বলে অভিযোগ করেন হানিফ। পাশাপাশি এরা পাকিস্তানের নির্দেশেই সব সময় বাংলাদেশের বিরুদ্ধে চক্রান্ত করে অগ্রযাত্রাকে ব্যাহত করতে চায় বলেও দাবি করেন তিনি।
বাংলাদেশে পালিয়ে আসা মিয়ানমারের রোহিঙ্গা শরণার্থীদের দুঃখ-দুর্দশার চিত্র তুলে ধরে হানিফ বলেন, ওখানে শুধু মুসলমাদের উপর নয়, হিন্দুস¤প্রদায়ের উপরও অমানুষিক নির্যাতন করছে। কিন্তু আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, ওনি বিশ্ব মায়ের মতো বুক আগলিয়ে দিয়েছেন। আমাদের দেশ নি¤œ মধ্যম আয়ের দেশ। এই ছোট্ট দেশে ১৬ কোটি মানুষের খাওয়া-পড়ানো অনেক কঠিন কাজ। তারপরও প্রধানমন্ত্রী এই সকল মানুষের উপর হত্যা-নির্যাতনের কারণে তাদেরকে আশ্রয় দিয়েছেন। তাদেরকে বুক পেতে আগলিয়ে নিয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, আমাদের প্রধানমন্ত্রী এই সমস্ত নির্যাতিত-নিপীড়িত মানুষকে আশ্রয় দিয়ে গোটা বিশ্বে প্রশংসিত হয়েছেন। সারা বিশ্বের মানুষ প্রধানমন্ত্রীর প্রশংসা করেছেন। তিনি এই মানুষকে আশ্রয় দিয়ে মানবতার পরিচয় দিয়েছেন। সেই কারণে তিনি মানবতার জননী বা মানবতার মাতা হিসেবে ব্রিটিশ মিডিয়ায় অভিহিত হয়েছেন। কারণ তিনি তিনি মায়ের মমতা দিয়ে অসহায়-নিপীড়িত-নির্যাতিত মানুষকে বুকে টেনে নিেেয় তাদের আশ্রয় ও অন্নের ব্যবস্থা করেছেন বলেও উল্লেখ করেন হানিফ।
তিনি বলেন, আর আমাদের সেই অশুভ শক্তির দল বিএনপি-জামায়াত, এরা এখনও সরকারের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করে যাচ্ছে। আমাদের অবাক হতে হয়। এই রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘের অধিবেশনে সুনির্দিষ্টভাবে ৫দফা প্রস্তাব দিয়ে গোটা বিশ্ববাসীকে ওনি জাগিয়ে তোলার চেষ্টা করেছেন। বিশ্ববাসীকে এই রোহিঙ্গাদের পাশে দাড়ানো এবং সমস্যার সমাধানের জন্য আন্তর্জাতিক স¤প্রদায়কে আহŸান জানিয়েছেন।
যেকারণে বিশ্বের শক্তিধর দেশগুলোকে প্রধানমন্ত্রীর আহŸানে সাড়া দিয়ে জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদেও বৈঠক ডেকেছেন এবং নিরাপত্তা পরিষদের মাধ্যমেই মিয়ানমারের সরকারের উপর চাপ সৃষ্টি করে রোহিঙ্গা সমস্যার দ্রæত সমাধানের ব্যাপারে বৈঠক ডেকেছেন বলেও দাবি করেন হানিফ। বিশ্বের সকলেই প্রধানমন্ত্রীর এই পদক্ষেপের প্রশংসা করেছেন। আর তখন আমাদের দেশের এই অশুভ শক্তিরা প্রধানমন্ত্রীর সফলতায় ঈর্ষান্বিত হয়ে মিথ্যাচারে লিপ্ত আছেন।
দেশবাসীর প্রতি আহŸান জানিয়ে হানিফ বলেন, আজকে জাতির সামনে পরিষ্কার হয়েছে। গত নয়টি বছর প্রধানমন্ত্রী নিরলস পরিশ্রম করে তার দক্ষতা বিচক্ষণা, প্রাজ্ঞতা এবং মেধা দিয়ে বাংলাদেশকে একটি উচ্চতর পর্যায়ে নিয়ে এসেছেন। বাংলাদেশকে নিয়ে এখন বিশ্ববাসী আশা প্রকাশ করছেন। বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে বিবেচিত হবে বলে তারা আশা প্রকাশ করছেন। তাই শেখ হাসিনা যতদিন এই বাংলাদেশের ক্ষমতায় থাকবেন ততদিন বাংলাদেশের মানুষ এগিয়ে যাবে অর্থনৈতিক মুক্তির পথে এবং ততদিন দেশ এগিয়ে যাবে বলে দাবি করেন হানিফ।
একারণে দূর্গা দেবীর কাছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দীর্ঘায়ু কামনার জন্য হিন্দুধর্মাবলম্বীদের প্রার্থনা করার আহŸান তিনি। কারণ প্রধানমন্ত্রী সুস্থ ও জীবিত থাকলে সকল সমস্যা সমাধান করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবেন বলে উল্লেখ করেন। বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি মনিন্দ্র কুমার নাথের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আফম বাহাউদ্দিন নাছিম, পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক তাপস কুমার পাল প্রমুখ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: রোহিঙ্গা

১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ