Inqilab Logo

শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠক ফের আগামী সপ্তাহে

বক্তব্য দেবেন কফি আনান

প্রকাশের সময় : ১ অক্টোবর, ২০১৭, ১২:০০ এএম | আপডেট : ১১:২০ এএম, ২ অক্টোবর, ২০১৭


ইনকিলাব ডেস্ক
রোহিঙ্গা সঙ্কট নিয়ে আগামী সপ্তাহে ফের বৈঠকে মিলিত হচ্ছে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ। জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব কফি আনান ওই বৈঠকে বক্তব্য রাখবেন। রোহিঙ্গা সঙ্কট নিয়ে মিয়ানমার সরকার যে আন্তর্জাতিক কমিশন গঠন করেছিল তার প্রধান ছিলেন কফি আনান। আনান কমিশন নামেই সেটি পরিচিতি পায়। তবে তার দাফতরিক নাম ছিল রাখাইন উপদেষ্টা কমিশন।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সিএনএন জানায়, আগামী সপ্তাহে কফি আনানের বক্তব্য শুনবে নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যরা। রোহিঙ্গা সঙ্কট সমাধানে তিনি ৮৮টি সুপারিশ করেছিলেন। আন্তর্জাতিক স¤প্রদায় মনে করে, এসব সুপারিশ বাস্তবায়ন করলে রোহিঙ্গা সঙ্কটের স্থায়ী সমাধান সম্ভব।
জাতিসংঘে নিযুক্ত সুইডিশ রাষ্ট্রদূত ওলফ স্কুগ সিএনএনকে বলেন, কফি আনানের প্রতিবেদনে সামনে এগোনোর পথ বলে দেয়া হয়েছে। মিয়ানমার সরকারের দায়িত্ব এর আলোকে রোহিঙ্গা সঙ্কটের স্থায়ী সমাধান করা।
নিরাপত্তা পরিষদে বর্তমানে যে ১০টি দেশ অস্থায়ী সদস্য, সুইডেন তার একটি। নিরাপত্তা পরিষদ রোহিঙ্গা সঙ্কট নিয়ে গত এক মাসে তিন দফা বৈঠক করেছে।
এর মধ্যে ৩০ আগস্ট ও ১৩ সেপ্টেম্বরের বৈঠক ছিল রুদ্ধদ্বার। অন্যদিকে বৃহস্পতিবার আয়োজন করা হয় উন্মুক্ত বৈঠকের। এ বৈঠকে বক্তব্য রাখার জন্য আহŸান জানানো হয় জাতিসংঘের বর্তমান মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেসকে।
উল্লেখ্য, গত বছরের সেপ্টেম্বরে কফি আনানের নেতৃত্বে মিয়ানমারের ছয়জন এবং নেদারল্যান্ডস ও লেবাননের দু›জন নাগরিককে নিয়ে নয় সদস্যের কমিশন গঠন করে অং সান সু চির সরকার। কমিশনের সদস্যরা মিয়ানমারের সিত্তু, মংডু, বুথিডং, ইয়াঙ্গুন, নেপিদো ছাড়াও ব্যাঙ্কক, ঢাকা, কক্সবাজার ও জেনেভায় অন্তত ১৫৫টি বৈঠক করে।
প্রায় ১১০০ ব্যক্তির সঙ্গে আলোচনা করে কমিশন তাদের প্রতিবেদন তৈরি করে। আনান কমিশনের চূড়ান্ত প্রতিবেদনে ৮৮টি সুপারিশ করা হয়েছে। এতে রাখাইনের অর্থনৈতিক উন্নয়ন, মানবিক সহায়তা, লোকজনের অবাধ চলাচল ও নাগরিকত্ব আইনের বিষয়ে সুপারিশ করা হয়েছে।
২৪ আগস্ট কমিশন তাদের রিপোর্ট পেশ করে। সেদিন রাতেই কথিত রোহিঙ্গা বিদ্রোহীরা রাখাইনে সেনা চৌকিতে হামলা চালায় বলে অভিযোগ করে রোহিঙ্গাদের ওপর গণহত্যা শুরু করে মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনী। সেই গণহত্যা থেকে প্রাণ বাঁচাতে ইতোমধ্যেই ৫ লাখেরও বেশি মিয়ানমারের রোহিঙ্গা মুসলিম বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে। বাংলাদেশ তাদের আশ্রয় দিয়ে থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা এবং তারা যাতে নাগরিকত্বসহ সসম্মানে মিয়ানমারে স্বদেশে ফিরে যেতে পারে তার জন্য আন্তর্জাতিকভাবে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এ প্রচেষ্টায় সম্পৃক্ত করা হয়েছে জাতিসঙ্ঘসহ আন্তর্জাতিক অধিকাংশ সংস্থাকে। এখন তাদের উদ্যোগে চলছে মিয়ানমার ইস্যুতে একটি শান্তিপূর্ণ সমাধান প্রচেষ্টা। সূত্র : সিএনএন।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: নিরাপত্তা পরিষদ


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ