Inqilab Logo

শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

অবশেষে ব্রিটিশ ভিসা পেলেন নাজবিন

প্রকাশের সময় : ১৬ মার্চ, ২০১৬, ১২:০০ এএম

কূটনৈতিক সংবাদদাতা : সম্মানজনক ‘কমনওলেথ ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ডস-২০১৬’ নিতে যুক্তরাজ্যে যাওয়ার ভিসা পেয়েছেন বাংলাদেশের মেয়ে সওগাত নাজবিন খান। দুই দফা ভিসা প্রত্যাখ্যান হওয়ার পর গতকাল মঙ্গলবার সকালে ঢাকার ব্রিটিশ হাইকমিশন অবশেষে তাঁকে ডেকে নিয়ে ভিসা দেয়। উল্লেখ্য, ঢাকা থেকে ব্রিটিশ ভিসা অফিস দিল্লী সরিয়ে নেয়ার ফলে বাংলাদেশিরা নানা হয়রানির শিকার হচ্ছেন বলে অভিযোগ ওঠে। নাজবিনের ঘটনাটি প্রমাণ করে, অভিযোগগুলো মোটেই মিথ্যা নয়।
কমনওয়েলথ দিবস উপলক্ষে গত সোমবার আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ব্রিটিশ হাইকমিশনার অ্যালিসন ব্লেইক জানিয়েছিলেন, নাজবিনকে ভিসা দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তারা।
উল্লেখ্য, গত ১২ মার্চ নাজবিনের নির্ধারিত ফ্লাইট ছিল। তবে ভিসা না পাওয়ায় সে যাত্রায় লন্ডন যাওয়া হয়নি তার। এ ছাড়া দুবার ভিসা প্রত্যাখ্যান হওয়ার পর নাজবিনের লন্ডন যাওয়া নিয়ে বেশ সংশয় তৈরি হয়েছিল।
নাজবিন জানান, নয়াদিল্লী থেকে ইস্যু হওয়া ভিসাটি তিনি পেয়েছেন। আজ বুধবার সকালেই তিনি ব্রিটেনের উদ্দেশে বাংলাদেশ ছেড়ে যাবেন। তিনি বলেন, ইতিমধ্যে রানীর সঙ্গে নৈশভোজসহ আনুষ্ঠানিকতার দুদিন পেরিয়ে গেছে। এখন সান্ত¦না এটুকুই যে, আমি শুধু পুরস্কারটি আনতে যেতে পারব।
নাজবিন বলেন, এটি আমার দেশকে অপমান। আমি দু’বার ইউরোপ গিয়েছি। সাতটি দেশ ঘুরে এসেছি। জার্মানিতে পিএইচডি করার আমন্ত্রণ পেয়েছিলাম। অথচ আমাকে বলা হয়েছিল, আমি দেশে ফিরে আসব কি না সন্দেহ রয়েছে।
উন্নয়ন খাতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখায় ৩০-এর কম বয়সী বিশ্বের চারজন তরুণকে আগামীকাল ১৭ মার্চ লন্ডনে এই পুরস্কার তুলে দেয়া হবে। এশিয়া অঞ্চল থেকে পুরস্কারটি পাচ্ছেন ময়মনসিংহের তারাকান্দার গোহালকান্দি গ্রামের মেয়ে নাজবিন। পুরস্কার পাওয়া বাকি তিনজন ক্যামেরুন, পাপুয়া নিউগিনি ও জ্যামাইকার। তারা তিনজনই ইতিমধ্যে লন্ডনে পৌঁছে গেছেন।
প্রসঙ্গত, নাজবিন রাজধানীর ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শেষ করে ভারতে পরিবেশবান্ধব জ্বালানির বিষয়ে পড়াশোনা করেন। ২০১৪ সালের জুন মাসে দেশে ফিরে তার গ্রামের শিক্ষার্থীদের উন্নত শিক্ষার ব্যবস্থা করতে একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তৈরির কাজে হাত দেন নাজবিন। সেই লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠা করেন এইচএ ডিজিটাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ। যেখানে স্থানীয় শিক্ষার্থীদের উন্নত শহরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের আদলে শিক্ষা দেয়া হবে। প্রথম ছয় মাস চলে শিক্ষকদের বিনামূল্যে প্রশিক্ষণ। এরপর ২০১৫ সালের জানুয়ারি মাসে হতদরিদ্র পরিবারের সন্তানদের জন্য যাত্রা শুরু করে প্রতিষ্ঠানটি। বর্তমানে স্কুলে ৩০২ জন এবং কলেজে ৩৪ জন শিক্ষার্থী লেখাপড়া করছে। এটি সম্পূর্ণ অলাভজনক প্রতিষ্ঠান। নাজবিনের পৈতৃক ভিটায় পরিচালনা পর্ষদের সদস্যদের চাঁদা এবং স্কুলভবনে ভাড়া দেয়া কিছু প্রতিষ্ঠানের ভাড়ায় চলে এর কার্যক্রম।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: অবশেষে ব্রিটিশ ভিসা পেলেন নাজবিন
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ