Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

নীরব ভূমিকায় রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ সরকার হারাচ্ছে রাজস্ব

সামাজিক বনায়নের বৃক্ষ নিধন

প্রকাশের সময় : ২৩ জানুয়ারি, ২০১৬, ১২:০০ এএম

বদরগঞ্জ (রংপুর) উপজেলা সংবাদদাতা : রংপুরের বদরগঞ্জে রেললাইনের ধারে লাগানো বিভিন্ন প্রজাতের গাছ কর্তনের হিড়িক পড়েছে। ফলে সরকারের সামাজিক বনায়ন প্রকল্প কর্মসূচি ভেস্তে যেতে চলেছে। সেই সাথে সরকার হারাচ্ছে লাখ লাখ টাকার রাজস্ব। সামাজিক বনায়ন প্রকল্পের উপকারভোগী সদস্য কর্তৃক বৃক্ষ নিধনের মহৎসোব চললেও বনবিভাগ ও রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ নীরব ভূমিকা পালন করছে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বিগত ২০০৪Ñ০৫ সালে সামজিক বনায়ন প্রকল্প কর্মসূচির আওতায় বদরগঞ্জ- রংপুর রেললাইনের দুই ধারে রোপণ করা হয় আকাশ মনি ও ইউক্যালিপটাস জাতের গাছ। কিন্তু রোপণের ২০ বছর অতিবাহিত হলেও সরকারি বিধি মোতাবেক গাছগুলো কর্তন করা হচ্ছে না। এতে করে গাছ চোরদের কালো থাবায় সাবাড় হয়ে যাচ্ছে মূল্যবান গাছপালা। বনবিভাগ কর্তৃপক্ষ গাছ চুরির ব্যাপারে থানায় দু’একটি লোক দেখানোর মামলা করলেও পুলিশ গাছচোরদেরকে গ্রেফতার করছে না। এমনকি রেলওয়ে কর্তৃপক্ষকে গাছ চুরির বিষয়টি সম্পর্কে অবগত করার পরেও তারাও কোন প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করছে না। সে কারণে দিন দিন বেপরোয়া হয়ে উঠছে গাছ চোররা। আউলিয়াগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশন এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, রেল লাইনের ধারের ৪/৫টি আকাশ মনি গাছ কেটে ফেলেছে একদল গাছ চোর। এসময় বদরগঞ্জ লোহানীপাড়া বন বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিট কর্মকর্তা শাহাজাহান আলী সরকারকে অবগত করার পরেও তিনি ঘটনাস্থলে আসেননি। এছাড়াও আউলিয়াগঞ্জ বনবিভাগের সভাপতি ফজলু হক, জোবেদ আলী রেললাইনের ধারের গাছ কাটার সময় স্থানিয় লোকজন বিট কর্মকর্তাকে অবগত করার পরেও তিনি বিষয়টি এড়িয়ে গেছেন। এবিষয়ে বিট কর্মকর্তা শাহাজাহান আলী সরকার জানান, রংপুরে অবস্থান করায় ঘটাস্থলে উপস্থিত হতে পারিনি। গাছ কাটার ব্যাপারে চোরদের সনাক্ত করে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও আউলিয়াগঞ্জ বনবিভাগের উপকারভোগী সদস্যের সভাপতি আব্দুর রশিদ বলে, সামজিক বনায়ন প্রকল্প কর্মসূচির আওতায় লাগানো গাছগুলো কর্তনের নির্ধারিত সময় পার হয়ে গেছে। অথচ গাছগুলো কর্তন করা অভাবে গাছগুলো দিনরাত চুরি হয়ে যাচ্ছে। দীর্ঘদিন ধরে বিট কর্মকর্তা সরকারি বিধিমোতাবেক গাছ কর্তনের ব্যাপারে উপকারভোগীদের আশ্বস্থ করলেও অদ্যবধি তা বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়নি।  বদরগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার আব্দুল মাজেদের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, রেললাইনের গাছ চুরির ব্যাপারে কর্তৃপক্ষকে একাধিকবার অবগতকরা হলেও তারা কোন আইনি পদক্ষেপ নেয়নি। এ ব্যাপারে বদরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার খন্দকার ইসতিয়াক আহমেদ বলেন- রেললাইনের ধারে লাগানো গাছগুলো সাধারণত তদারকি করেন বনবিভাগ ও রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। তাদের সাথে যোগাযোগ করে গাছ চোরদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: নীরব ভূমিকায় রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ সরকার হারাচ্ছে রাজস্ব
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ