Inqilab Logo

শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

বাগেরহাটে সৎ বাবার লালসার শিকার স্কুলছাত্রী

| প্রকাশের সময় : ১০ অক্টোবর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

খুলনা ব্যুরো : বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলায় সৎ বাবার লালসার শিকার হয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা চালিয়েছেন ৭ম শ্রেণীতে পড়–য়া মেয়ে (১৪)। মাকে বালিশ চাপা দিয়ে মেরে ফেলার ভয়ভীতি দেখিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করেন সৎ বাবা শেখ মোঃ মারুফ। গত শনিবার মেয়েটি তার মাকে খুলে বললে এ ঘটনাটি প্রকাশ পায়। এর পরে ওই দিনই আত্মহত্যার উদ্দেশ্যে বিষ খায় মেয়েটি। তাকে প্রথমে ফকিরহাট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়ার পর খুমেক হাসপাতালে ৫-৬ ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়।
মেয়ের মা জানান, গত ১৪ বছর আগে তিন ছেলে মেয়েকে নিয়ে বিয়ে করেন ফকিরহাট উপজেলা যাত্রাপুরের বেনেগাতি গ্রামের বাসিন্দা ইখলাস উদ্দিন শেখের পুত্র শেখ মোঃ মারুফকে। ওই সময় সৎ বাবার লালসার শিকার মেয়েটি তখন কোলে।
তিনি বলেন, তিন ছেলে-মেয়ের মধ্যে ওই মেয়েটি মেঝ। গত শনিবার সকালে মেয়েটি তার মায়ের কাছে সব খুলে বলে। বিষয়টি জানার পর তিনি তার দ্বিতীয় স্বামী মারুফকে এ বিষয় জিজ্ঞাসা করলে সৎ বাবা বলেন, মেয়ে যাবতীয় খরচ ও চিকিৎসা আমি করবো, তুই কাউকে এ বিষয়টি জানা জানি করিস না। এই বললে স্ত্রী আছিয়া তাকে দা দিয়ে মারতে গেলে সে পালিয়ে যায়। এই ফাঁকে সকালে মেয়ে ভাতের সাথে বিষ মিশিয়ে খায়। তাকে প্রথমে ফকিরহাট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। ওখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ওয়াস করে খুমেকে রেফার্ড করেন।
মেয়ের মা জানান, তার মেঝ মেয়ে কোমলপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণীতে পড়ে। আর বড় মেয়ে রিয়া পড়েন ৮ম শ্রেণীতে। তার দ্বিতীয় স্বামীর ওপর একটু সন্দেহ হওয়ায় বড় মেয়েকে তার মামা কাছে ঢাকায় পাঠায় দেন। তিনি মাঝে মধ্যে খুলনায় তার এক ভাইয়ের বাসায় বেড়াতে আসতেন। মেয়েটি আলট্রাসোনা রিপোর্টে পাঁচ মাসের আন্তসত্ত¡া হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছেন চিকিৎসকরা।
লালসার শিকার ওই মেয়েটি জানান, তার সৎ বাবা মারুফ বলতো- তুই যদি আমার সাথে এই সব কাজ না করিস তাহলে তোর মাকে আমি বালিস চাপা দিয়ে মেরে ফেলবো। এ বিষয়ে কারো কাছে মুখ খুলবি না। এই সব ভয় দেখিয়ে তাকে এ পর্যন্ত চার বার ধর্ষণ করেছে। মেয়ে মা আছিয়া বেগম জানান, তার স্বামী মোঃ মারুফ ওই দিনের পর থেকে পলাতক রয়েছে। মেয়ে ঘুমের ঘরে আঁতকে উঠেন, আর বলতে থাকে আমার মাকে বালিশ চাপা দিয়ে মেরে ফেললো। এ বছর রোজার মধ্যে থেকে তার মেয়েকে সর্বনাশ করে আসছে তার স্বামী।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ