উত্তর : জেনে শুনে করলে গুনাহ হবে। জরুরী মুহূর্তে মানুষ আবর্জনার স্তুপ বা বর্জ্য ফেলার স্থানেও প্রস্রাব করে। সেখানে এমন কোনো কাগজ বা প্যাকেট থাকা বিচিত্র নয়। এক্ষেত্রে অজানা অবস্থায় কোনো লেখার ওপর প্রস্রাব লেগে গেলে অপারগতার ক্ষেত্রে গুনাহ হবে না। উত্তর দিয়েছেন : আল্লামা মুফতি উবায়দুর রহমান খান নদভীসূত্র : জামেউল ফাতাওয়া, ইসলামী ফিক্হ ও ফাতওয়া বিশ্বকোষ।প্রশ্ন পাঠাতে নিচের ইমেইল ব্যবহার করুন।[email protected] ...
উত্তর : নামাজ হওয়ার জন্য পুরুষের ক্ষেত্রে নাভী থেকে হাঁটু পর্যন্ত ঢেকে রাখা যথেষ্ট। এভাবে যদি কেউ বাধ্য হয়ে নামাজ পড়েন যে, তার একটি লুঙ্গি বা একটি গামছা আছে বড়, তাহলে এভাবেই তার নামাজ পরিপূর্ণ সহীহ হবে। আর যার নামাজ...
উত্তর : যদি মুসাফির অবস্থায় নামাজের সময় শেষ হওয়ার আগেই তিনি তার স্থানে পৌঁছে যান, শেষ ওয়াক্ত পাওয়া গেলে তিনি পুরো নামাজ পড়বেন। আর যদি এমন হয় যে, মুসাফির অবস্থায়ই তার নামাজের ওয়াক্তও শেষ হয়ে গেছে, গন্তব্যে পৌঁছার পর তার...
উত্তর : এই অবস্থায় মূলত যে মসজিদে উনি দিয়েছেন, সেই মসজিদের জন্যই এই জমি নির্ধারিত হয়ে গেছে। এ মসজিদ পরিচালকদের যদি কোনো সমস্যা থাকে, আমলগত বা সামান্য সুন্নাতের খেলাফ কিছু থেকে থাকে, তাহলে এ মসজিদের ব্যাপারে নতুন কোনো চিন্তা করা...
উত্তর : শশুর পুত্রবধুর সামনে পর্দা নেই। যেমন নেই নিজের বাবা, ভাই বা মামার সামনে নেই। শশুর যদি ধর্মীয় জ্ঞানে জ্ঞানী বা শিক্ষিত হন, তিনি নিজের কন্যার সাথে যেই মন নিয়ে রিকসায় বসবেন, পুত্রবধুর সাথেও যদি সেই নিয়েই বসেন, তাহলে...
উত্তর : এক্ষেত্রে আমাদের ইমাম আবু হানিফা রহ. এর মত হলো, উনি আর নতুন বিবাহিত জীবনের চিন্তা না করে ফেলুক। কারণ, নিখোজ লোকটি যদি মারা গিয়ে না থাকেন, তাহলে তার মৃত্যুর আগ পর্যন্তই ফিরে আসার সম্ভাবনা থেকে যায়। কাজেই সে...
উত্তর : এই কসমের কাফফারার ব্যাপারে আগে মাসআলাগুলো ছিল সে সুযোগগুলো আর নেই, যে এরকম একটা জরিমানা বা এরকম একটা শাস্তি। এই হিসাবে কসম ভাঙ্গার জন্য যে শরীয়ত নির্ধারিত নিয়ম আছে সেটি আপনি পালন করবেন। আর কোরআন শরীফ ছুয়ে কসম...
উত্তর : যে সমস্ত কাগজ হেফাজতে রাখা সম্ভব নয়, সেগুলোতে কোরআনের আয়াত বা আরবী ভাষায় বিসমিল্লাহ শরীফ না লেখা উচিত। কারণ, এগুলোর হেফাজত কেউ করে না, সম্ভবও নয়। একটা স্লিপ, টিকেট বা ক্যাশ মেমো মানুষ বেশিক্ষণ রাখে না, এসব ক্ষেত্রে...
উত্তর : সংগতি থাকলে ছেলের জন্য দু’টি খাশি। আর মেয়ের জন্য একটি খাশি। এটিই একটি সন্তান আল্লাহর দান হিসাবে পাওয়ার শুকরিয়া স্বরূপ এবং সন্তানটির বালা মুসিবত কেটে যাওয়ার জন্য দেয়া মুস্তাহাব। কেউ যদি না পারে, তাহলে কোনো বাধ্য বাধকতা নেই।...
উত্তর : পিরিয়ড চলাকালে নারীদের জন্য কোরআন পড়া নিষেধ। কোরআন শরীফ হাতে নিয়ে হোক বা মুখস্ত হোক। কোরআনের পরিপূর্ণ আয়াত এবং সূরা পড়া যায় না। অতএব, এপস দেখে বা কোরআন শরীফ দূর থেকে দেখেও পড়া যাবে না। নিজের মুখস্ত কোরআনও...
উত্তর : যদি টিস্যু পেপার ব্যবহার করার দ্বারা পবিত্রতা অর্জন হয়ে যায়, তাহলে কোনো কোনো ক্ষেত্রে শুধু টিস্যু পেপার ব্যবহার করলেই হয়। আর টিস্যুর পরে পানি ব্যবহার করতে পারলে উত্তম। দু’টি ব্যবহার করার জন্য পবিত্র কোরআনে মুসলমানদের প্রশংসা করা হয়েছে।...
উত্তর : নারীদের কণ্ঠ জরুরী কোনো কোনো ক্ষেত্র ছাড়া বাকী সব সময়ই শোনা শরীয়তে নিষিদ্ধ। এখন সেই কণ্ঠে যদি কোরআন তেলাওয়াতও করা হয়, সেটা পরপুরুষের শোনা ঠিক হবে না। এতে কোরআন শরীফের মাহাত্মের তুলনায় অনেক শ্রোতার ক্ষেত্রে নারীর কণ্ঠ হিসাবে...
উত্তর : সুদ যদি এসে যায় আর তা যদি আপনি তুলেন, তাহলে সুদ নেওয়ার গুনাহ তো আপনার হবে, সুদ খাওয়ার গুনাহ হয়তো হবে না। এজন্য সুদ নেওয়াটা হয়ে গেল, অতএব সুদ নেওয়ার জন্য আপনি গুনাহগার হবেন। পরে অন্য জায়গায় এটা...
উত্তর : এখানে সুদের সংমিশ্রণ থাকে, অতএব জায়েজ হবে না। ইউরোপে হোক বা বাংলাদেশে অথবা অন্য কোনো মুসলিম কমিউনিটিতে হোক। শরীয়তের মাসআলা সবক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। মুসলমান যেখানে গ্রাহক, সেখানে ব্যাংক যে দেশেরই হোক, যে মালিকানারই হোক সেখানে সুদের সাথে তার সংযুক্তি,...
উত্তর : জায়েজ হবে। কারণ, এখানে স্পিরিট আর স্পিরিট থাকে না। স্পিরিট ব্যবহারের পর এটি ওষুধে পরিণত হয় এবং এর পরিমাণ এতই কম যে, এটি আলাদাভাবে এক ফোটা গ্রহণ করলে স্পিরিটের কোনো ক্ষতি বা লাভ মানুষের হয় না। একটি জিনিষ...