উত্তর: মাহে রমজান ও অন্যান্য সময়ে নিম্নোক্ত দোয়া ও দরুদ সামর্থ অনুসারে বেশি পাঠ করা আবশ্যক। দোয়া নং ১:- আল্লাহুম্মা ইন্নাকা আফুব্বুন তুহিব্বুল আফওয়া ফা’ফু আন্নি। (মুসনাদে আহমাদ)দোয়া নং ২:- লা হাওলা ওয়ালা কুওয়্যাতা ইল্লা বিল্লাহ। (সহীহ বুখারী)দরুদ নং ১:- সাল্লাল্লাহু আলান নাবিয়্যিল উম্মিয়্যি (বায়হাকী) উত্তর দিয়েছেন: মাওলানা এ.কে.এম. ফজলুর রহমান মুন্শী...
উত্তর: এক অজু দিয়ে অধিক নামাজ পড়ার মধ্যে কোনো সওয়াব নেই। একাধিক ওয়াক্তের নামাজ এক অজু দিয়ে পড়ার বিষয়টিও কোনো ফযিলতের নয়। এমন অজু ভেঙ্গে গেলে কোনো ক্ষতিরও সম্ভাবনা নেই। স্বাভাবিকভাবে যদি অজু থেকে যায়, তাহলে তা দিয়ে যত ওয়াক্ত...
উত্তর: বাথরুম বা ট্রায়াল রুমে কিংবা একাকী নিজ কক্ষে কাপড় পাল্টানোর কারণে রোজা ভাঙ্গে না। তবে এ ধরনের আচরণে ক্ষেত্রভেদে রোজার ক্ষতি হয়। কোনো আড়াল ছাড়া পরিপূর্ণ বিবস্ত্র হওয়া শরীয়তে পছন্দনীয় নয়। এমনকি পেশাব পায়খানা বা একান্ত ব্যক্তিগত প্রয়োজনে কাপড়...
উত্তর: বেগানা নারী/পুরুষের সাথে শরীয়ত সম্মত কারণ ছাড়া জরুরী আলাপচারিতাও নিষিদ্ধ। শরীয়ত সম্মতি দিলে প্রয়োজন পরিমাণ যোগাযোগ করা জায়েজ। এখানে যে ধরনের চ্যাটিং/ভিডিও চ্যাটিং ইত্যাদির কথা বলা হয়েছে, তা রোজা না রেখেও করা যাবে না। রোজা রেখে তো প্রশ্নই উঠে...
উত্তর: শরীয়তের বিধান হলো, রমজানে শ্রমিকের কাজ কমিয়ে দেওয়া। আল্লাহ তায়ালা তখন এই মালিকের পাপের বোঝা কমিয়ে সহজে জান্নাত দিবেন। প্রয়োজনে দ্বিগুণ শ্রমিক নিয়োগ দিয়ে হলেও জরুরী কাজ সম্পন্ন করতে হবে, কিন্তু তাদের রোজা রাখা থেকে বিরত করা যাবে না।...
উত্তর: মোবাইলে ইসলামী পোস্ট দেওয়া বা শেয়ার করা যদি মানুষকে ইসলাম সম্পর্কে জানানোর উদ্দেশ্যে হয়, তাহলে এতে নেকী পাওয়া যাবে। তবে শর্ত হলো, এতে কোনো নাজায়েজ বিষয়ের মিশ্রণ থাকতে পারবে না। নিছক দীন প্রচারের উদ্দেশ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ব্যবহার উলামায়ে...
উত্তর : রোগাক্রান্ত হওয়ার কারণে কেউ যদি রোজা রাখতে না পারে তবে সে উক্ত দিন বা দিনগুলোর রোজার কাজা পরবর্তীতে আদায় করবে। কাফফারা দিতে হবে না। প্রমাণ : (১) আল কুরআন : সূরা বাকারাহ, আয়াত-১৮৪, (২) কাওকাবুদ্ দুরয়ী শরহে- কূদুরী :...
উত্তর: ইফতার যদি গিফটের মতো দেওয়া হয়, তাহলে গরীব ধনী সবাইকেই দেওয়া যায়। সবাই তা খেতেও পারে। যদি দানের নিয়ত করা হয়, তাহলে কেবল গরীবরাই তা খেতে পারে, ধনীরা নয়। ইফতার যে নিয়তেই দেওয়া হোক, সওয়াব পাওয়া যাবে। অবশ্য গরীবদের...
উত্তর : রোজা রাখা ফরজ। আর তারাবির নামাজ সুন্নত। এ দু’টি আমলের মর্যাদা ভিন্ন ভিন্ন। সওয়াব পাওয়ার আশার গর্ভবতী মহিলা যদি তারাবিহ নামাজ পড়েন- পড়তে পারেন। না পড়লে তার কোনো গোনাহ হবে না। প্রমাণ : (১) মুসনাদে আহমদ ও সুনানে নাসাঈ...
উত্তর : কোরআন আরবি লেখা দেখে পড়াই কর্তব্য। মুখস্থ পড়ার চেয়ে দেখে পড়ার সওয়াব দ্বিগুণ। একটি সওয়াব পড়ার, অপরটি কোরআনের হরফগুলো দেখার। বাংলা উচ্চারণ দেখে কোরআন পড়া কখনোই সহিহ হয়না। এতে অক্ষরের উচ্চারণ ভুল হয়ে কোরআনের অর্থ বিকৃত হওয়ার সম্ভাবনা...
উত্তর: একান্ত অনিচ্ছাসত্ত্বে এমন হলে রোজার কোনো ক্ষতি হবে না। প্রশ্নে বর্ণিত অবস্থায় রোজা ভাঙ্গেও না। তবে রোজা অবস্থায় এসব ব্রাউজিং যথাসাধ্য এড়িয়ে চলা উত্তম। রোজা রেখে ইচ্ছাকৃতভাবে অশ্লিল দৃশ্য, পোস্ট বা ভিডিও দেখলে শক্ত গোনাহ হবে। রোজার উপকারিতা ও...
উত্তর : হ্যাঁ, রোজা ভঙ্গ হয়ে যাবে। এই দিনের রোজার কাজা পরবর্তীতে আদায় করতে হবে। তবে হ্যাঁ, মাসিক শুরু হওয়ার পর দিনের অবশিষ্ট সময়টুকু পানাহার থেকে বিরত থাকা উত্তম। প্রমাণ : (১) ফতোয়ায়ে আলমগিরী খন্ড-২, যে কারণে রোজা ভঙ্গ হয়ে যায়-...
উত্তর: শারীরিক অসুস্থতা দূরীভূত হওয়ার পর উভয় সময়কার রোজার কাজা আদায় করতে হবে। কাফফারা দিতে হবে না। প্রমাণ : (১) ফতোয়ায়ে হিন্দিয়া : খন্ড-১, হায়েজ পরিচ্ছেদ পৃ: ২০১, আজমগড়, ১৯০১। (২) জাওহারাতুন নাইয়্যারাহ : পৃ: ৯৭, বৈরুত, ১৮৯৬। উত্তর দিচ্ছেন :...
উত্তর: পবিত্র কোরআনে যাকাত প্রদানের জন্য আল্লাহ তায়ালা ৮ টি খাত নির্ধারণ করে দিয়েছেন। এর মধ্যে, ‘ফি সাবিলিল্লাহ’ একটি খাত। আলেমরা একমত যে, এটি জিহাদের খাত। সরাসরি এতে টিভি, মিডিয়া, দল/সংগঠন ইত্যাদি পড়ে না। অতএব, অধিকাংশ উলামা বলেন উল্লেখিত এসব...
উত্তর: খাদ্য হালাল হলে বিধর্মী ব্যক্তির বাড়িতেও ইফতার করা যায়। বিধর্মী ব্যক্তি পরিচিত, কর্মচারী বা অপরিচিত যাই হোক না কেন, তাকে যাকাত দেওয়া যাবে না। প্রয়োজনে সাধারণ টাকা থেকে দান করতে হবে। যাকাত মুসলমানদেরই প্রাপ্য। কারণ যাকাত একটি ফরজ ইবাদত।...